কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে প্রথমবারের মতো একটি সমঝোতা স্মারককে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা। এর আওতায় গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি সহায়তায় অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আর্জেন্টিনার ইকনোমিক ন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা আগেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়ন।
কৃষিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আর্জেন্টিনা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের ওপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে।’
বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন কৃষিপণ্য আর্জেন্টিনায় রপ্তানির সম্ভাবনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানিরও পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে।’ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রয়েছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে সেইসব খাতে কাজ করার সুযোগ বাড়ল।’
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
কৃষিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে প্রথমবারের মতো একটি সমঝোতা স্মারককে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা। এর আওতায় গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি সহায়তায় অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আর্জেন্টিনার ইকনোমিক ন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা আগেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তার পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সমঝোতা স্মারকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো হলো- জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি, মাটি ব্যবস্থাপনা, প্রিসিসন কৃষি, সেচ ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর অপচয় রোধ, উত্তম কৃষি চর্চা, কৃষিপণ্যের বিপণন ও ভ্যালু চেইন উন্নয়ন।
কৃষিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আর্জেন্টিনা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে গম ও সয়াবিন আমদানিসহ স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তিগত সহায়তায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। আমরা আর্জেন্টিনা থেকে গম, সয়াবিনসহ গবাদিপশুর বিভিন্ন খাবার আমদানি করি। প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকি। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের ওপরে। সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে আর্জেন্টিনা থেকে ভালো দামে গম ও সয়াবিন আনতে পারব। এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসা হবে। আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে।’
বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন কৃষিপণ্য আর্জেন্টিনায় রপ্তানির সম্ভাবনা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আম, আনারস রপ্তানি করতে পারে আর্জেন্টিনায়। আলুসহ চিপস রপ্তানিরও পরিকল্পনা রয়েছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত করে আর্জেন্টিনায় রপ্তানি করা যাবে।’ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক সুযোগ রয়েছে। সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে সেইসব খাতে কাজ করার সুযোগ বাড়ল।’