alt

অর্থ-বাণিজ্য

একই দিনে দুই দফায় বাড়লো পেঁয়াজের দাম

আমিরুল মোমিনিন সাগর : শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এক দিনে দুই দফায় বেড়েছে এর দাম। ফের বেড়েছে আলু, আদা ও রসুনের দামও।

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমে এসেছিল। ফিরেছিল কিছুটা স্বস্তিও। দু’দিনের বৃষ্টির কারণে সবজির দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে কম দামে জিনিস কেনার আশায় টিসিবির ট্রাকে ভিড় বেড়েছে সাধারণ মানুষদের। বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনেছে তারা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার ও সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারসহ বেশকিছু এলাকার মুদি দোকান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় রাশেদ হোসেনের সঙ্গে। বাজারে দামের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজারের তো কোনো আগা মাথা নাই। দেশি পেঁয়াজ কিনলাম কেজি ১৬০ টাকা। ১৮০ টাকাও আছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা।’

‘তদারকি সংস্থা যে কি করে? মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে আমার। এগুলার জন্য কঠোর হতে হবে। আসলে আমরা যারা ভোক্তা কিছু করার নেই। চরমভাবে নির্গ্রীহিত আমরা।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আল আমিন সংবাদকে বলেন, ‘আজ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৬০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। কাল থেকে আর এই দামে হয়তো বিক্রি করতে পারবো না। কারণ আজকেই পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ছে। শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি কেজি ১৩০ টাকা আর ভারতীয়টা ১১০ টাকায়।’

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আনিস সংবাদকে বলেন, ‘সকালে এক পাল্লা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৭৫০ টাকা আর এখন দুপরে বিক্রি করছি ৮০০ টাকা। আর শুক্রবার বিক্রি করেছি ৭০০ টাকায়।’

হঠাৎ দামবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিজনের শেষ সময় এটা। মোকামে সরবরাহ কম। হাটে আজকে ১ মণ দেশি পেঁয়াজ কিনতে ৬ হাজার টাকা লেগেছে।’

এ বাজারেই পাইকারিতে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেন খলিল মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সকালে বিক্রি করেছি ১০৫ টাকা। আর এখন দুপুরে বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। আজ আমাদের শ্যাম বাজারে ১৩০ টাকা লেগেছে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে।’

তিনি বলেন, আমরা যাদের কাছ থেকে মাল কিনি তারা আমাদের বলেছে, ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আসবে না। সে কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ফলে দাম এখন দিন দিন বাড়তেই থাকবে, জানান খলিল মিয়া।

দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন। কেজি ২৪০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এছাড়া, আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

রাজধানী কাওরান বাজারে আলুর পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স জনতা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা বাদল সংবাদকে জানান পাইকারি হিসেবে ৬৫ কেজি ওজনের ১ বস্তা ডায়মন্ড জাতের আলু তিনি বিক্রি করছেন ৩ হাজার ১০০ টাকায়। আর কার্ডিনাল জাতের আলু ৩ হাজার ৫০ টাকায়।

তবে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে মাংস ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া দামেই। কেজি ৬৫০ টাকা। তবে, খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির লাল ডিমের কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

দীর্ঘদিন ধরে কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস বিক্রয় করেন খবির। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকার দাম বাইন্ধা দিছে কেজি ৬৫০ টাকা, ওই দামেই বিক্রি করতেছি।’ বেঁধে দেয়া দামে ‘কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা লস হয়’, যোগ করেন তিনি।

‘নির্বাচনের লাইগা দামটা কমাইছে। কিন্তু গরুর দামতো কমেনি,’ যোগ করেন পাশের দোকানের গরুর মাংস বিক্রেতা সুমন। তিনি আরও বলেন, “ব্যবসা করতে হইলে সরকারের কতা শুনতে হবে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে।”

সুমনের দোকান থেকেই গরুর মাংস কিনে ফিরছিলেন রেজাউল মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ছয় মাসেরও বেশি সময় হবে, গরুর মাংস কিনি নাই। দাম কমেছে শুনে কিনলাম, কেজি ৬৫০ টাকায়।’

পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত

আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুক্রবার এ আদেশ জারি করে সেদেশের সরকার।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় তাহলে তা বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সেসময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল ডিজিএফটি।

তারও আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং রপ্তানির লাগাম টানতে গত আগস্টে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়, পেঁয়াজের নতুন এই রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

ছবি

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

tab

অর্থ-বাণিজ্য

একই দিনে দুই দফায় বাড়লো পেঁয়াজের দাম

আমিরুল মোমিনিন সাগর

শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এক দিনে দুই দফায় বেড়েছে এর দাম। ফের বেড়েছে আলু, আদা ও রসুনের দামও।

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমে এসেছিল। ফিরেছিল কিছুটা স্বস্তিও। দু’দিনের বৃষ্টির কারণে সবজির দামও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে কম দামে জিনিস কেনার আশায় টিসিবির ট্রাকে ভিড় বেড়েছে সাধারণ মানুষদের। বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনেছে তারা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার ও সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারসহ বেশকিছু এলাকার মুদি দোকান ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।

রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় রাশেদ হোসেনের সঙ্গে। বাজারে দামের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজারের তো কোনো আগা মাথা নাই। দেশি পেঁয়াজ কিনলাম কেজি ১৬০ টাকা। ১৮০ টাকাও আছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা।’

‘তদারকি সংস্থা যে কি করে? মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে আমার। এগুলার জন্য কঠোর হতে হবে। আসলে আমরা যারা ভোক্তা কিছু করার নেই। চরমভাবে নির্গ্রীহিত আমরা।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আল আমিন সংবাদকে বলেন, ‘আজ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৬০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। কাল থেকে আর এই দামে হয়তো বিক্রি করতে পারবো না। কারণ আজকেই পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়ছে। শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি কেজি ১৩০ টাকা আর ভারতীয়টা ১১০ টাকায়।’

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আনিস সংবাদকে বলেন, ‘সকালে এক পাল্লা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৭৫০ টাকা আর এখন দুপরে বিক্রি করছি ৮০০ টাকা। আর শুক্রবার বিক্রি করেছি ৭০০ টাকায়।’

হঠাৎ দামবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিজনের শেষ সময় এটা। মোকামে সরবরাহ কম। হাটে আজকে ১ মণ দেশি পেঁয়াজ কিনতে ৬ হাজার টাকা লেগেছে।’

এ বাজারেই পাইকারিতে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেন খলিল মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সকালে বিক্রি করেছি ১০৫ টাকা। আর এখন দুপুরে বিক্রি করছি ১৪০ টাকায়। আজ আমাদের শ্যাম বাজারে ১৩০ টাকা লেগেছে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে।’

তিনি বলেন, আমরা যাদের কাছ থেকে মাল কিনি তারা আমাদের বলেছে, ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আসবে না। সে কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি।

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। ফলে দাম এখন দিন দিন বাড়তেই থাকবে, জানান খলিল মিয়া।

দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি রসুন। কেজি ২৪০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এছাড়া, আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

রাজধানী কাওরান বাজারে আলুর পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স জনতা বাণিজ্যালয়ের বিক্রেতা বাদল সংবাদকে জানান পাইকারি হিসেবে ৬৫ কেজি ওজনের ১ বস্তা ডায়মন্ড জাতের আলু তিনি বিক্রি করছেন ৩ হাজার ১০০ টাকায়। আর কার্ডিনাল জাতের আলু ৩ হাজার ৫০ টাকায়।

তবে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে মাংস ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া দামেই। কেজি ৬৫০ টাকা। তবে, খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির লাল ডিমের কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়।

দীর্ঘদিন ধরে কারওয়ান বাজারের গরুর মাংস বিক্রয় করেন খবির। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকার দাম বাইন্ধা দিছে কেজি ৬৫০ টাকা, ওই দামেই বিক্রি করতেছি।’ বেঁধে দেয়া দামে ‘কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা লস হয়’, যোগ করেন তিনি।

‘নির্বাচনের লাইগা দামটা কমাইছে। কিন্তু গরুর দামতো কমেনি,’ যোগ করেন পাশের দোকানের গরুর মাংস বিক্রেতা সুমন। তিনি আরও বলেন, “ব্যবসা করতে হইলে সরকারের কতা শুনতে হবে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হবে।”

সুমনের দোকান থেকেই গরুর মাংস কিনে ফিরছিলেন রেজাউল মিয়া। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ছয় মাসেরও বেশি সময় হবে, গরুর মাংস কিনি নাই। দাম কমেছে শুনে কিনলাম, কেজি ৬৫০ টাকায়।’

পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করল ভারত

আগামী বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুক্রবার এ আদেশ জারি করে সেদেশের সরকার।

ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বিজ্ঞপ্তিতে।

তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় তাহলে তা বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটিতে।

এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সেসময় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল ডিজিএফটি।

তারও আগে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং রপ্তানির লাগাম টানতে গত আগস্টে ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সেই সময় জানানো হয়, পেঁয়াজের নতুন এই রপ্তানি শুল্ক আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

back to top