alt

অর্থ-বাণিজ্য

করোনায় আমদানি বাণিজ্য কমেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

করোনার মধ্যেও রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশে প্রচুর পরিমাণে ডলার আসছে। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বাড়ছে। চাঙা হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। তবে এর বিপরীতে টানা কয়েক মাস ধরে আমদানিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মহামারীর প্রভাবে কমেছে আমদানি বাণিজ্য। প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসিও তেমনভাবে খোলা হচ্ছে না। তাই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বাড়লেও শিল্পায়ন হচ্ছে না। নতুন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় নতুন করে কর্মসংস্থানও হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। আগের বছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি হয়েছিল এক হাজার ৩২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ৬৫১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে আগের বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগস্টে আমদানি ব্যয় কমেছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর জুলাইতে কমেছে ১৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। করোনা মহামারীর আগে প্রতিমাসে পণ্য আমদানিতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হলেও এখন তা তিন বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি সংক্রান্ত সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হচ্ছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট ) বিভিন্ন পণ্য আমদানি জন্য ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ওই দুই মাসে ৯৫০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এই হিসাবে দুই মাসে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যসব পণ্যের এলসি খোলার পরিমাণও কমেছে। শিল্প স্থাপনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ২৫ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৯৯ কোটি ২৮ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এই বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে তা ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য গত বছর ওই দুই মাসে ৩২০ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এ বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের। অর্থাৎ আমদানি কমেছে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একইভাবে শিল্প খাতের মধ্যবর্তী পণ্য আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জ্বালানি তেল আমদানির এলসি কমেছে ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের কমেছে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৮ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ৮৯৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল, এ বছরের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর সেদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে চীন থেকে আমদানি শুরু হলেও সেই ধাক্কা এখনও রয়ে গেছে। মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইাসের প্রকোপ দেখা দিলে এপ্রিল মাসে পণ্য আমদানি তলানিতে নেমে আসে। ওই মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ১৬০ কোটি ডলারের এলসি খুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা, যা ছিল গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৬৮ শতাংশ কম। আর আগের মাস মার্চের চেয়ে ২৬৩ শতাংশ কম। গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫২৬ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর গত মার্চ মাসে এলসি খোলা হয়েছিল ৪৯৭ কোটি ডলারের। লকডাউন ওঠার পর এ বছরের জুন থেকে এলসি খোলার পরিমাণ বাড়লেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখনও তা অনেক কম।

যদিও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে ৯৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। এই তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আগের বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের বছরের প্রথম তিন রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে এখন ৪১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংক একীভূত হয়ে হবে দুই

ছবি

এবার একীভূত হচ্ছে ‘সোনালীর সাথে বিডিবিএল’ ও ‘কৃষির সাথে রাকাব’

ছবি

শেয়ার প্রতি ১ পয়সা লভ্যাংশ দেবে একমি পেস্টিসাইড

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেডের কর্মীদের জন্য মেটলাইফের বীমা সুরক্ষা

গাজীপুরে এক বছরে ট্রাফিক পুলিশের ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়

ছবি

প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করল সাউথইস্ট ব্যাংক

ছবি

ডেমরায় বাস গ্যারেজে আগুন

ছবি

নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সেইহারে বাড়েনি তামাকপণ্যের দাম

ছবি

প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়া সেই ভূমি অফিস কর্মী সাময়িক বরখাস্ত

ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বাড়লো

ছবি

বেক্সিমকোর ২ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিলো বিএসইসি

শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে কাজ করব : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ছবি

ঈদে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট বাড়াল বিমান

tab

অর্থ-বাণিজ্য

করোনায় আমদানি বাণিজ্য কমেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

করোনার মধ্যেও রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশে প্রচুর পরিমাণে ডলার আসছে। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বাড়ছে। চাঙা হচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। তবে এর বিপরীতে টানা কয়েক মাস ধরে আমদানিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মহামারীর প্রভাবে কমেছে আমদানি বাণিজ্য। প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসিও তেমনভাবে খোলা হচ্ছে না। তাই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বাড়লেও শিল্পায়ন হচ্ছে না। নতুন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় নতুন করে কর্মসংস্থানও হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। আগের বছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি হয়েছিল এক হাজার ৩২৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ৬৫১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে আগের বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। আগস্টে আমদানি ব্যয় কমেছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর জুলাইতে কমেছে ১৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। করোনা মহামারীর আগে প্রতিমাসে পণ্য আমদানিতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হলেও এখন তা তিন বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি সংক্রান্ত সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হচ্ছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট ) বিভিন্ন পণ্য আমদানি জন্য ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ওই দুই মাসে ৯৫০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এই হিসাবে দুই মাসে এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যসব পণ্যের এলসি খোলার পরিমাণও কমেছে। শিল্প স্থাপনের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ২৫ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্ট এই দুই মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৯৯ কোটি ২৮ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এই বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে তা ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য গত বছর ওই দুই মাসে ৩২০ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। এ বছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছে ২৮৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের। অর্থাৎ আমদানি কমেছে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একইভাবে শিল্প খাতের মধ্যবর্তী পণ্য আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জ্বালানি তেল আমদানির এলসি কমেছে ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের কমেছে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৮ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ৮৯৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল, এ বছরের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৩৬ কোটি ডলারের এলসি। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর সেদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে চীন থেকে আমদানি শুরু হলেও সেই ধাক্কা এখনও রয়ে গেছে। মার্চ মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইাসের প্রকোপ দেখা দিলে এপ্রিল মাসে পণ্য আমদানি তলানিতে নেমে আসে। ওই মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ১৬০ কোটি ডলারের এলসি খুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা, যা ছিল গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৬৮ শতাংশ কম। আর আগের মাস মার্চের চেয়ে ২৬৩ শতাংশ কম। গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫২৬ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। আর গত মার্চ মাসে এলসি খোলা হয়েছিল ৪৯৭ কোটি ডলারের। লকডাউন ওঠার পর এ বছরের জুন থেকে এলসি খোলার পরিমাণ বাড়লেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখনও তা অনেক কম।

যদিও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর তিন মাসে ৯৮৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। এই তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আগের বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের বছরের প্রথম তিন রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে এখন ৪১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

back to top