সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখিয়েছে বীমা খাত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বৃদ্ধির শীর্ষ ১০টি স্থানের ৯টিই দখল করেছে বীমা খাতের কোম্পানি। এরমধ্যে ৬০ শতাংশের উপরে দাম বেড়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের। ৪টির দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের উপরে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষ ছিল গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। অপরদিকে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় সপ্তাহজুড়ে দাম বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও গত সপ্তাহে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডাদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটির আগের বছরগুলোর লভ্যাংশের চিত্রও খুব একটা ভালো না। লভ্যাংশের ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ারনির্ভর গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ এবং ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল প্রভাতী ইনস্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ দেয়া হয়। জবাবে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা এশিয়া ইনস্যুরেন্সের ৪২ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্সের ৩৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ২৬ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্সের ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ দাম বেড়েছে। এদিকে, মূল্যসূচক বাড়লেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে এ অর্থ হারালেন তারা।
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার
শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখিয়েছে বীমা খাত। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বৃদ্ধির শীর্ষ ১০টি স্থানের ৯টিই দখল করেছে বীমা খাতের কোম্পানি। এরমধ্যে ৬০ শতাংশের উপরে দাম বেড়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের। ৪টির দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশের উপরে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষ ছিল গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে। অপরদিকে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৯১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় সপ্তাহজুড়ে দাম বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও গত সপ্তাহে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডাদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটির আগের বছরগুলোর লভ্যাংশের চিত্রও খুব একটা ভালো না। লভ্যাংশের ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ারনির্ভর গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ৭ শতাংশ এবং ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল প্রভাতী ইনস্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬০ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ডিএসই থেকে কোম্পানিটিকে নোটিশ দেয়া হয়। জবাবে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় থাকা এশিয়া ইনস্যুরেন্সের ৪২ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাইম ইনস্যুরেন্সের ৩৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ, পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ২৬ শতাংশ, তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্সের ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ দাম বেড়েছে। এদিকে, মূল্যসূচক বাড়লেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে টানা তিন সপ্তাহে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে এ অর্থ হারালেন তারা।