alt

অর্থ-বাণিজ্য

পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

২০২২ সালের মধ্যে স্থানীয় পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এমন দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম। রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে শিশুশ্রম দূরীকরণে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ)। ‘স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানার শিশুশ্রম নিরসন : সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলএফের নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন।

কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোকে মডেল ধরে বিএলএফের তৈরি করা এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সেখানকার কারখানাগুলোতে শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত শিশুদের শতকরা হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার এবং ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। তবে এমন তথ্য নাকচ করেছেন সভায় উপস্থিত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বলেন, আমার এলাকায় অর্থাৎ কেরানীগঞ্জে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী কোন শিশু শ্রমিক নেই। আমাদের কারখানাগুলোতে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। শিশুশ্রম আমাদের এলাকায় আছে, সব জায়গাতেই আছে তবে এই প্রতিবেদনে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে নেই। কিন্তু যথাযথ তথ্য উপাত্ত এবং নিয়ম মেনেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিএলএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে শিশুশ্রম কবে নাগাদ শূন্যে নামিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে জানতে চান। এর উত্তরে প্রতিনিধিরা জানান, ২০২২ সাল নাগাদ এ খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করা যাবে। এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, আমিও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ২০২২ সালের মধ্যে এ খাতকে আমরা শিশুশ্রম মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কলেবর খুব স্বল্প তবে আমাদের পরিধি অনেক বড়। প্রায় ৬ কোটি পরিবারের সঙ্গে আমাদের কাজ। এ স্থানীয় পোশাক খাতে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ নারী কর্মী এবং ৬০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ কর্মী আছেন। সেই হিসেবে এ মন্ত্রণালয় নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। আমরা আশা করছি, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ খাতে শ্রম দেয়া শিশুদের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।

গোলটেবিল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে আইনজীবী সালমা আলী, বিএনএফের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান এবং মহাসচিব এজেডএম কামরুল আনামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

২০২২ সালের মধ্যে স্থানীয় পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। শ্রমিকদের এমন দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম। রোববার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে শিশুশ্রম দূরীকরণে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ)। ‘স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানার শিশুশ্রম নিরসন : সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলএফের নির্বাহী পরিচালক একেএম আশরাফ উদ্দিন।

কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোকে মডেল ধরে বিএলএফের তৈরি করা এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সেখানকার কারখানাগুলোতে শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত শিশুদের শতকরা হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার এবং ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। তবে এমন তথ্য নাকচ করেছেন সভায় উপস্থিত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বলেন, আমার এলাকায় অর্থাৎ কেরানীগঞ্জে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী কোন শিশু শ্রমিক নেই। আমাদের কারখানাগুলোতে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। শিশুশ্রম আমাদের এলাকায় আছে, সব জায়গাতেই আছে তবে এই প্রতিবেদনে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে নেই। কিন্তু যথাযথ তথ্য উপাত্ত এবং নিয়ম মেনেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিএলএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে শিশুশ্রম কবে নাগাদ শূন্যে নামিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে জানতে চান। এর উত্তরে প্রতিনিধিরা জানান, ২০২২ সাল নাগাদ এ খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করা যাবে। এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, আমিও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ২০২২ সালের মধ্যে এ খাতকে আমরা শিশুশ্রম মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কলেবর খুব স্বল্প তবে আমাদের পরিধি অনেক বড়। প্রায় ৬ কোটি পরিবারের সঙ্গে আমাদের কাজ। এ স্থানীয় পোশাক খাতে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ নারী কর্মী এবং ৬০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ কর্মী আছেন। সেই হিসেবে এ মন্ত্রণালয় নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। আমরা আশা করছি, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ খাতে শ্রম দেয়া শিশুদের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।

গোলটেবিল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে আইনজীবী সালমা আলী, বিএনএফের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান এবং মহাসচিব এজেডএম কামরুল আনামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

back to top