ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম (এলপি গ্যাস) দাম টানা পাঁচ মাসে পাঁচ দফা বেড়েছে। রান্নায় বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য ডিসেম্বর মাসে ভোক্তাকে দিতে হবে ১ হাজার ৪০৪ টাকা, নভেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা; বেড়েছে ২৩ টাকা।
অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে সমপরিমাণ (১২ কেজি) এলপিজি সিলিন্ডারে ১৮টা বেড়েছিল। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে বেড়েছিল ৭৯ টাকা, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছিল ১৪৪ টাকা এবং জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে দাম বেড়েছিল ১৪১ টাকা। সে হিসেবে ১২ কেজি সিলিন্ডারে জুলাইয়ের তুলনায় ডিসেম্বরে দাম বেড়েছে ৪০৫ টাকা; বা ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে।
ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকো ঘোষিত সিপি অনুযায়ী এলপিজির কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রনের গড় মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি টন ৬১৬ দশমিক ৫০ ডলার, যা আগের মাস নভেম্বরেও একই ছিল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারদর অপরিবর্তিত থাকলেও ডলার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দাম বেড়েছে। গত মাসে ডলারের গড়দর ছিল ১১৩ টাকা ৯২ পয়সা, যা চলতি মাসে কিছুটা বাড়িয়ে ১১৬ টাকা ৩৯ পয়সা ধরা হয়েছে।
তবে বাজারে বিইআরসি নির্ধারিত দামে বেসরকারি এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, আগেও পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ অধিকাংশ ভোক্তার।
ডিসেম্বর মাসের জন্য বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারের (রেকটিকুলেটেড) এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ২০ পয়সা, যা নভেম্বরে ১১১ টাকা ২৬ পয়সা ছিল। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা, যা এতদিন ছিল ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগের ৫৯১ টাকাই রয়েছে। যদিও এই এলপিজি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কারণ এটি এক থেকে সোয়া ১ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে পারে।
এক দশক আগে সরকার আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বাসাবাড়ি, রেস্তোরাঁ, হোটেলগুলো গ্যাস সংযোগ না পেয়ে এলপিজি ব্যবহার শুরু করে।
বর্তমানে বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। বাসাবাড়িতে রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্প-কারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এলপিজির বাজারের ৯৯ শতাংশই বেসরকারি খাতের দখলে।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের দাম (এলপি গ্যাস) দাম টানা পাঁচ মাসে পাঁচ দফা বেড়েছে। রান্নায় বহুল ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য ডিসেম্বর মাসে ভোক্তাকে দিতে হবে ১ হাজার ৪০৪ টাকা, নভেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা; বেড়েছে ২৩ টাকা।
অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে সমপরিমাণ (১২ কেজি) এলপিজি সিলিন্ডারে ১৮টা বেড়েছিল। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে বেড়েছিল ৭৯ টাকা, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছিল ১৪৪ টাকা এবং জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে দাম বেড়েছিল ১৪১ টাকা। সে হিসেবে ১২ কেজি সিলিন্ডারে জুলাইয়ের তুলনায় ডিসেম্বরে দাম বেড়েছে ৪০৫ টাকা; বা ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে।
ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকো ঘোষিত সিপি অনুযায়ী এলপিজির কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রনের গড় মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি টন ৬১৬ দশমিক ৫০ ডলার, যা আগের মাস নভেম্বরেও একই ছিল।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্তর্জাতিক বাজারদর অপরিবর্তিত থাকলেও ডলার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দাম বেড়েছে। গত মাসে ডলারের গড়দর ছিল ১১৩ টাকা ৯২ পয়সা, যা চলতি মাসে কিছুটা বাড়িয়ে ১১৬ টাকা ৩৯ পয়সা ধরা হয়েছে।
তবে বাজারে বিইআরসি নির্ধারিত দামে বেসরকারি এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না, আগেও পাওয়া যায়নি, এমন অভিযোগ অধিকাংশ ভোক্তার।
ডিসেম্বর মাসের জন্য বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারের (রেকটিকুলেটেড) এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ২০ পয়সা, যা নভেম্বরে ১১১ টাকা ২৬ পয়সা ছিল। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা, যা এতদিন ছিল ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সা।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগের ৫৯১ টাকাই রয়েছে। যদিও এই এলপিজি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় না। কারণ এটি এক থেকে সোয়া ১ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে পারে।
এক দশক আগে সরকার আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর এলপি গ্যাসের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বাসাবাড়ি, রেস্তোরাঁ, হোটেলগুলো গ্যাস সংযোগ না পেয়ে এলপিজি ব্যবহার শুরু করে।
বর্তমানে বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। বাসাবাড়িতে রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্প-কারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এলপিজির বাজারের ৯৯ শতাংশই বেসরকারি খাতের দখলে।