প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের ১৯ লাখ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল, গতিহীন পুঁজিবাজারে গতি ফেরার জন্য বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর পাশাপাশি দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় পুঁজিবাজার সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি। তিনি বিভিন্ন ধরনের যে কর কাঠামোর প্রস্তাব করেছেন, তাতেও পুঁজিবাজারের জন্য কোনো ছাড় নেই।
বর্তমানে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) আয়করের হার ২০ শতাংশ। তবে এর জন্য পরিপালন করতে হয় কিছু শর্ত। এগুলো হচ্ছে, কোম্পানির সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি, ব্যয় এবং বিনিয়োগ আনুষ্ঠানিক মাধ্যম তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন। এই শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) আয়করের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এর সঙ্গে কোনো শর্ত যুক্ত নেই। আগামী অর্থবছরেও এই হারে আলোচিত কোম্পানিগুলোকে কর দিতে হবে। বাজেটে এটি কমানোও হয়নি, বাড়ানোও হয়নি।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানির আয়করের হার ৪০ শতাংশ এবং সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানির কর হার ৪৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরেও এটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। ব্যাংক না হয়েও শুধু নামের সঙ্গে ব্যাংক শব্দটি যুক্ত থাকার কারণে আগামী অর্থবছরেও তীব্র সংকটে থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকের সমান হারে কর পরিশোধ করতে হবে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩ তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় তিনি ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে বাজেট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের ১৯ লাখ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো সুখবর নেই। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল, গতিহীন পুঁজিবাজারে গতি ফেরার জন্য বাজেটে কর্পোরেট কর কমানোর পাশাপাশি দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় পুঁজিবাজার সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেননি। তিনি বিভিন্ন ধরনের যে কর কাঠামোর প্রস্তাব করেছেন, তাতেও পুঁজিবাজারের জন্য কোনো ছাড় নেই।
বর্তমানে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) আয়করের হার ২০ শতাংশ। তবে এর জন্য পরিপালন করতে হয় কিছু শর্ত। এগুলো হচ্ছে, কোম্পানির সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি, ব্যয় এবং বিনিয়োগ আনুষ্ঠানিক মাধ্যম তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন। এই শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোর (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) আয়করের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হয় ২৫ শতাংশ।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। এর সঙ্গে কোনো শর্ত যুক্ত নেই। আগামী অর্থবছরেও এই হারে আলোচিত কোম্পানিগুলোকে কর দিতে হবে। বাজেটে এটি কমানোও হয়নি, বাড়ানোও হয়নি।
বর্তমানে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানির আয়করের হার ৪০ শতাংশ এবং সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানির কর হার ৪৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরেও এটি বহাল থাকবে।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। ব্যাংক না হয়েও শুধু নামের সঙ্গে ব্যাংক শব্দটি যুক্ত থাকার কারণে আগামী অর্থবছরেও তীব্র সংকটে থাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকের সমান হারে কর পরিশোধ করতে হবে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩ তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় তিনি ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে বাজেট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।