alt

অর্থ-বাণিজ্য

চাল তেল-চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানো হচ্ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি চালের বস্তায় মূল্যতালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ ও জাত উল্লেখ থাকতে হবে। এজন্য কোনো কোনো এলাকায় কোন কোন জাতের ধান উৎপাদন হয় তার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাওয়া হয়েছে।

ভোক্তারা কি ২০ ফেব্রুয়ারি পর থেকে স্বস্তি পাবেন? এবং প্রধানমন্ত্রী যে চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেটার প্রভাব কবে থেকে পড়বে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি স্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। কারণ আজ বা কালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবো। আমি বলতে পারি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন, তার আগেই আমরা ট্যারিফটা পুনর্নির্ধারণ পাবো বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত আছেন। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ট্যারিফ কমিশন আমদানি ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে আমরা যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবো যেটার দ্রুত ইফেক্ট আপনারা পাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যারিফে চারটি পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিয়ে রেখে, যদি কেউ মনে করে কম দামে চাল এনে বাজারে বিপণন করবে। সে ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টা হলো মুক্তবাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেয়া। যাতে বাজারে কখনো সরবরাহে ঘাটতি না থাকে।

টিটু বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসছি যে, বাজার ব্যবস্থাপনাটাকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো স্থানে যেন কারসাজি না হয়। ভোক্তা অধিকার যখন অভিযানে যান তখন তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না, কোন চাল কবে উৎপাদন হয়েছে, মেয়াদ কতদিন, দাম কত। এ জন্য আজ যে বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় যদি চালের তিনটি মৌসুম বোরো, আউশ ও আমন; কোন এলাকায় কোন ধান, জাত, সিজনে হয় এই তিনটা উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দেবে।

তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলারদের নির্দেশনা দেবে যে ধান ভাঙাবে সে ধানের উৎপাদনের বছর ও মিলিংয়ের তারিখ, উৎপাদন মূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরা মূল্য এগুলো বস্তায় উল্লেখ থাকবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের একটা আইন আছে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর আন্ডারে কৃষি বিপণনের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের সব কৃষি উৎপাদিত পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষিবিভাগ থেকে আমাদের দেয়া হবে। তবে একেক জায়গায় উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ একেক রকম হবে। এই তথ্যটা দিলে তখন কারওয়ান বাজারে দাম কত, মানিকগঞ্জে বা চট্টগ্রামে দাম কত সেটা জানতে পারবো। সে জন্য আমরা প্রাইজ ডিসকাভারির ব্যবস্থা করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার কিন্তু তার নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করবে, চাহিদার ও সরবরাহের ভিত্তিতে। আমরা যেটা করবো সেটা হলো যৌক্তিক মূল্য আমরা দিয়ে দেবো। এখন কে ওই দামের থেকে বেশি বা কমে বিক্রি করছে সেটা মনিটরিং করবো। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই- এই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের যেন উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্যের সরবরাহটা ঠিক রাখা।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার কন্ট্রোল করা না, বাজার ব্যবস্থাপনা হলো যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ এবং মজুদ ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর একটি বিষয়ে বলতে চাই যাতে ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি আসে। কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা যে মাঝে মাঝে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানি করতাম, এবার বাজার মনিটরিং করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দেবো। অফসিজন থেকে পিকসিজনে কী পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।

চালের বস্তায় দাম বাড়িয়ে লেখা হলে কী করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে দাম বাড়িয়ে লেখার কোনো সুযোগ নাই। এখানে ভ্যারাইটিভিত্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে কৃষি আইন অনুযায়ী। এটা সর্বোচ্চ মূল্য বাস্তবায়ন করবে মিলার পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় আর ভোক্তা পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনটি মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয় করে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি বাজারে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। এখানে আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখেন, আমরা পজিটিভ কিছু দিতে পারবো। আমরা সবাই যদি একটু দায়িত্বশীল হই তাহলে ভোক্তারা উপকৃত হবে।

অর্থনীতি ‘খুবই নাজুক’, ৩৪ বছরে এমন ‘টানাপোড়েন দেখেননি’ ব্যবসায়ীরা

ছবি

শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে ডিএসইর একগুচ্ছ পদক্ষেপ

ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি

সবজিতে স্বস্তি মিললেও পেঁয়াজ, মুরগি ও চাল বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

ছবি

জেসিআই মুন্সিগঞ্জ চ্যাপ্টারের লোকাল প্রেসিডেন্ট সাকিফ আহমেদ

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণরের সাথে ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎ

ছবি

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে এনবিআর

ছবি

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি: সর্বোচ্চ ১২.৫৫ শতাংশ

ছবি

নীতি সংশোধনের আগে অংশীজনদের সাথে পরামর্শ না করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিকি

ছবি

ডিসিসিআইতে ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অর্থনৈতিক সংস্কার ও বাজেট বিষয়ে শ্বেতপত্র কমিটির দিনব্যাপী সিম্পোজিয়াম

ছবি

নতুন বছর উপলেক্ষে ক্যামন সিরিজে বিশেষ অফার দিচ্ছে টেকনো

ছবি

দিনে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলকে নগদ

ছবি

মনির হোসেনের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় ফিরল ছোট মেয়াদের ডেটা প্যাকেজ

ছবি

রিয়াদে ইউএনসিসিডি ‘সিওপি-১৬’ সম্মেলনে প্রিয়শপ

ছবি

ন্যাশনাল পেমেন্ট এগ্রিগেটর হিসেবে আসছে ‘একপে’

ছবি

উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় শতাধিক পণ্যে বাড়ল ভ্যাট-শুল্ক, আতঙ্কে ভোক্তারা

ছবি

সবজিতে ভরপুর বাজার, কমেছে দামও

ছবি

মেরামতের জন্য মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

ছবি

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্তি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

একনেকে ৪,২৪৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

চালের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে: মজুতদারির অভিযোগ তুলে সরকারের উদ্যোগ

ছবি

মোটরসাইকেল ও এসি শিল্পে কর দ্বিগুণ, রাজস্ব বাড়াতে সরকারের নতুন পদক্ষেপ

ছবি

মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি শিল্পে আয়কর দ্বিগুণ হল

প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি : বাংলাদেশ ব্যাংক

বিবিএস এর পরিসংখ্যান : প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি তলানিতে, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে

ছবি

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৪.২৩ শতাংশ

ছবি

আরো পাঁচ ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে

‘এই চালতো খামু ৫০ টাকায়, ৬৮ টাকায় ক্যা?’

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা: ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ১ টাকা ব্যবধান নির্ধারণ

ছবি

ডিসেম্বরে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১৮%, তৈরি পোশাকে স্বস্তি

ছবি

জেসিআই ঢাকা পাইওনিয়ার এর নতুন প্রেসিডেন্ট তাসদীখ হাবীব

ছবি

ডিসেম্বরে রেকর্ড রেমিটেন্স: এক মাসে এলো ২৬৪ কোটি ডলার

ছবি

বেক্সিমকোর তিন কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি

ছবি

বিকাশ-এর সেন্ড মানি সেবার আদ্যোপান্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চাল তেল-চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানো হচ্ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর-এই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসবেন, আমরা আশা করছি, তার আগেই চার পণ্যের শুল্ক কমানো সংক্রান্ত অর্ডার (প্রজ্ঞাপন) হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি চালের বস্তায় মূল্যতালিকা এবং উৎপাদনের তারিখ ও জাত উল্লেখ থাকতে হবে। এজন্য কোনো কোনো এলাকায় কোন কোন জাতের ধান উৎপাদন হয় তার তালিকা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাওয়া হয়েছে।

ভোক্তারা কি ২০ ফেব্রুয়ারি পর থেকে স্বস্তি পাবেন? এবং প্রধানমন্ত্রী যে চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন সেটার প্রভাব কবে থেকে পড়বে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি স্বস্তি শুরু হয়ে গেছে। কারণ আজ বা কালকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন পেয়ে যাবো। আমি বলতে পারি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসবেন, তার আগেই আমরা ট্যারিফটা পুনর্নির্ধারণ পাবো বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত আছেন। আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ট্যারিফ কমিশন আমদানি ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বসে আমরা যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবো যেটার দ্রুত ইফেক্ট আপনারা পাবেন।

তিনি বলেন, আমাদের ট্যারিফে চারটি পণ্য হলো- ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চাল। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন চাল যেহেতু আমদানি করতে হয় না, তাই উচ্চ ট্যারিফ না দিয়ে রেখে, যদি কেউ মনে করে কম দামে চাল এনে বাজারে বিপণন করবে। সে ক্ষেত্রে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। বিষয়টা হলো মুক্তবাজার করে ভোক্তাদের নিরাপত্তা দেয়া। যাতে বাজারে কখনো সরবরাহে ঘাটতি না থাকে।

টিটু বলেন, আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসছি যে, বাজার ব্যবস্থাপনাটাকে ঢেলে সাজাতে চাচ্ছি। ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে কোনো স্থানে যেন কারসাজি না হয়। ভোক্তা অধিকার যখন অভিযানে যান তখন তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকে না, কোন চাল কবে উৎপাদন হয়েছে, মেয়াদ কতদিন, দাম কত। এ জন্য আজ যে বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় যদি চালের তিনটি মৌসুম বোরো, আউশ ও আমন; কোন এলাকায় কোন ধান, জাত, সিজনে হয় এই তিনটা উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে দেবে।

তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় মিলারদের নির্দেশনা দেবে যে ধান ভাঙাবে সে ধানের উৎপাদনের বছর ও মিলিংয়ের তারিখ, উৎপাদন মূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরা মূল্য এগুলো বস্তায় উল্লেখ থাকবে। সেই ব্যবস্থা আমরা করবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমাদের একটা আইন আছে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ এর আন্ডারে কৃষি বিপণনের বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী আমাদের সব কৃষি উৎপাদিত পণ্যের এলাকাভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে কৃষিবিভাগ থেকে আমাদের দেয়া হবে। তবে একেক জায়গায় উৎপাদন খরচ ও পরিবহন খরচ একেক রকম হবে। এই তথ্যটা দিলে তখন কারওয়ান বাজারে দাম কত, মানিকগঞ্জে বা চট্টগ্রামে দাম কত সেটা জানতে পারবো। সে জন্য আমরা প্রাইজ ডিসকাভারির ব্যবস্থা করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার কিন্তু তার নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করবে, চাহিদার ও সরবরাহের ভিত্তিতে। আমরা যেটা করবো সেটা হলো যৌক্তিক মূল্য আমরা দিয়ে দেবো। এখন কে ওই দামের থেকে বেশি বা কমে বিক্রি করছে সেটা মনিটরিং করবো। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য একটাই- এই বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের যেন উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্যের সরবরাহটা ঠিক রাখা।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা মানে বাজার কন্ট্রোল করা না, বাজার ব্যবস্থাপনা হলো যৌক্তিক মূল্যে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা। আর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো খাদ্যের উৎপাদন, সংগ্রহ এবং মজুদ ব্যবস্থাটাকে ঠিক রাখা। তারা সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেবে সেই অনুযায়ী আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবো।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর একটি বিষয়ে বলতে চাই যাতে ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি আসে। কৃষি মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা যে মাঝে মাঝে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানি করতাম, এবার বাজার মনিটরিং করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে দেবো। অফসিজন থেকে পিকসিজনে কী পর্যায়ে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। এতে ভোক্তা থেকে উৎপাদক পর্যায়ে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।

চালের বস্তায় দাম বাড়িয়ে লেখা হলে কী করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে দাম বাড়িয়ে লেখার কোনো সুযোগ নাই। এখানে ভ্যারাইটিভিত্তিক দাম নির্ধারণ করে দেবে কৃষি আইন অনুযায়ী। এটা সর্বোচ্চ মূল্য বাস্তবায়ন করবে মিলার পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় আর ভোক্তা পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনটি মন্ত্রণালয় যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয় করে। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি বাজারে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় এটাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে। এখানে আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখেন, আমরা পজিটিভ কিছু দিতে পারবো। আমরা সবাই যদি একটু দায়িত্বশীল হই তাহলে ভোক্তারা উপকৃত হবে।

back to top