alt

অর্থ-বাণিজ্য

প্রায় বন্ধ নাফনদী পাড়ের বাণিজ্য, রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মায়ানমার সীমান্তে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চলমান যুদ্ধে থমকে গেছে নাফ নদীর উভয় পাড়ের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কয়েক মাস ধরে এ লড়াইয়ের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তাতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। মায়ানমারের রাখাইনের মংডু ও আকিয়াবসহ বিভিন্ন নদীবন্দরের সঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। কিন্তু এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে টেকনাফ বন্দরের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ।

টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমার থেকে আসে কাঠ, সুপারি, মাছ, আদা, হলুদ, মরিচ, পেয়াঁজ, শুটকি, ছোলা, ডাল, চাল, আচার। অপরদিকে টেকনাফ থেকে সেখানে যায় প্লাস্টিক সামগ্রী, তৈরি পোশাক, চিপস, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, ওষুধ, প্রসাধনী ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।

টেকনাফ স্থল বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম একপ্রকার স্থবিরই বলা চলে। এখানকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

আগে যেখানে প্রতি মাসে দেড়শ থেকে দুইশ ইঞ্জিনচালিত বড় বোটে করে পণ্য আনা-নেওয়া হত, সেখানে গত আড়াই মাসে এসেছে ২৫ থেকে ৩০টি।

গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত টেকনাফ বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধই ছিল বলে এক কর্মকর্তা জানান। নভেম্বরে মিয়ানমারের রাখাইনে কারফিউ চলছিল।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে মূলত রাখাইন রাজ্য হয়ে। রাখাইনের রাজধানী সিত্তও, যাকে বলা হয় আকিয়াব। মংডু এ রাজ্যেরই অংশ।

মায়ানমারে যে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ জোট করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তার অন্যতম আরাকান আর্মি (এএ) মূলত রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়ছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়ে ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে। রাখাইনে আরাকান আর্মি তুমুল আক্রমণ চালালে নভেম্বরে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তখন থেকেই রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেমে যায়, যে অবস্থা এখনও চলছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরে দেখা যায়, বন্দরের জেটি ফাঁকা পড়ে আছে। দুই কার্গো ট্রলার ও একটি জাহাজ রয়েছে। কার্যক্রম তেমন না থাকায়, বন্দরের কর্মরত শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকানপাটও প্রায় বন্ধ।

স্বাভাবিক সময়ে আগে বন্দরের প্রধান ফটকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জটলা দেখা মিললেও বুধবার সেখানে গিয়ে কোনো যানবাহন চোখে পড়েনি। নাফ নদীতেও নেই পণ্যবোঝাই ট্রলার-জাহাজ।

তবে বন্দরের খোলা জায়গা ও গুদামে মায়ানমার থেকে আগে আসা বিভিন্ন ধরনের কাঠ, আদা, সুপারি, শুঁটকি, নারিকেল, আচারসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু পণ্য মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে পুরো টেকনাফ বন্দরে শুনশান নীরবতা, অলস সময় পার করছেন শ্রমিক ও বন্দরের কর্মকর্তারা।

গেল অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে আমদানি ১৯৯২১৯ মে.টন রপ্তানি ৩৫২৩ মে. টন রাজস্ব আয় ৭.৬৩ কোটি টাকা। স্থল বন্দরের শ্রমিকদের মাঝি আবদুল আমিন বলেন, অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ টি ট্রাক লোড-আনলোড হয়, কিন্তু ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এখন এক সপ্তাহে চার-পাঁচটির বেশি ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক সিআইপি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কয়েক মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমেছে।

আকিয়াব বন্দরে কিনে রাখা শত শত টন আদা, নারকেল, মাছ ও সুপারি মজুদ আছে। এগুলো না আনতে পারলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হবে।

বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় রাজস্ব না আসার কথা বলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনও।

বন্দর কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মংডু থেকে অনেক পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আকিয়াব ও ইয়াঙ্গুন বন্দরে জাহাজ চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। সর্বশেষ গেল শুক্রবার দুটি ট্রলারে করে দেড় হাজার বস্তা আদা, নারিকেল, আচার, সুপারি,শুঁটকি আমদানি হয়েছে।

এদিকে, মায়ানমারের অভ্যন্তরে তুমুল লড়াইয়ের কারণে সীমান্তে স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। ওপারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদী ও উপকূলীয় অংশে নিরাপত্তায় টহল জোরদার করার কথা বলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী-কোস্ট গার্ড।

ছবি

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৯ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার উন্নয়নে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন

করব্যবস্থার জটিলতা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা: ঢাকা চেম্বার সভাপতি

ছবি

রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

ছবি

অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলনের খরচ বাড়ছে

ছবি

অবৈধ তামাক পণ্য জব্দে অভিযানে নামছে এনবিআর

নিবন্ধন না থাকা প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট জালে আনতে নতুন উদ্যোগ

ছবি

সয়াবিন তেলের সংকট আরও বাড়ছে, চালের দাম সামান্য কমছে পাইকারিতে

ছবি

রাজধানীর গুলশান অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সাথে ডিসিসিআই’র মতবিনিময়

ছবি

পরপর পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

বাজেট নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে সুপারিশ চাইল এনবিআর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র আরিফ হোসেন

শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে কমিটি গঠন অর্থ মন্ত্রণালয়ের

ছবি

১১তম এশিয়া এ্যাপারেল এক্সোপোতে বাংলাদেশের ২০টি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান

ছবি

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি দেড় লাখ টাকা ছুঁইছুঁই

ছবি

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রামে এসএমই ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আইসিসি বাংলাদেশ এর কর্মশালা

৮৮৮ কোটি টাকার সার ও ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার

নগদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের জালিয়াতির মামলা

বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সব লকার ফ্রিজ

ছবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণে ‘ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন রোডম্যাপ’ বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পনা

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সম্পদ স্থগিতের অনুরোধ

ছবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশ বিমান সংস্কার: দুটি ভাগ করার সুপারিশ টাস্কফোর্সের

ছবি

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে

১১৮তম প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত

জানুয়ারিতে রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধের সুপারিশ অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ টাস্কফোসের

ছবি

গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি সিরামিকশিল্প মালিকদের

ছবি

৭ মাসেই ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স

ছবি

তরুণদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম উদযাপিত

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে আসছে অপো রেনো১৩ সিরিজ

১শ’ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

ছবি

পণ্য সরবরাহ-বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলাদা কমিশন গঠনের প্রস্তাব

tab

অর্থ-বাণিজ্য

প্রায় বন্ধ নাফনদী পাড়ের বাণিজ্য, রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

জেলা বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মায়ানমার সীমান্তে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর চলমান যুদ্ধে থমকে গেছে নাফ নদীর উভয় পাড়ের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কয়েক মাস ধরে এ লড়াইয়ের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তাতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। মায়ানমারের রাখাইনের মংডু ও আকিয়াবসহ বিভিন্ন নদীবন্দরের সঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। কিন্তু এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে টেকনাফ বন্দরের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ।

টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমার থেকে আসে কাঠ, সুপারি, মাছ, আদা, হলুদ, মরিচ, পেয়াঁজ, শুটকি, ছোলা, ডাল, চাল, আচার। অপরদিকে টেকনাফ থেকে সেখানে যায় প্লাস্টিক সামগ্রী, তৈরি পোশাক, চিপস, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, ওষুধ, প্রসাধনী ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।

টেকনাফ স্থল বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম একপ্রকার স্থবিরই বলা চলে। এখানকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।

আগে যেখানে প্রতি মাসে দেড়শ থেকে দুইশ ইঞ্জিনচালিত বড় বোটে করে পণ্য আনা-নেওয়া হত, সেখানে গত আড়াই মাসে এসেছে ২৫ থেকে ৩০টি।

গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত টেকনাফ বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধই ছিল বলে এক কর্মকর্তা জানান। নভেম্বরে মিয়ানমারের রাখাইনে কারফিউ চলছিল।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে মূলত রাখাইন রাজ্য হয়ে। রাখাইনের রাজধানী সিত্তও, যাকে বলা হয় আকিয়াব। মংডু এ রাজ্যেরই অংশ।

মায়ানমারে যে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ জোট করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তার অন্যতম আরাকান আর্মি (এএ) মূলত রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়ছে।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়ে ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে। রাখাইনে আরাকান আর্মি তুমুল আক্রমণ চালালে নভেম্বরে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তখন থেকেই রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেমে যায়, যে অবস্থা এখনও চলছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ স্থলবন্দরে দেখা যায়, বন্দরের জেটি ফাঁকা পড়ে আছে। দুই কার্গো ট্রলার ও একটি জাহাজ রয়েছে। কার্যক্রম তেমন না থাকায়, বন্দরের কর্মরত শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকানপাটও প্রায় বন্ধ।

স্বাভাবিক সময়ে আগে বন্দরের প্রধান ফটকে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের জটলা দেখা মিললেও বুধবার সেখানে গিয়ে কোনো যানবাহন চোখে পড়েনি। নাফ নদীতেও নেই পণ্যবোঝাই ট্রলার-জাহাজ।

তবে বন্দরের খোলা জায়গা ও গুদামে মায়ানমার থেকে আগে আসা বিভিন্ন ধরনের কাঠ, আদা, সুপারি, শুঁটকি, নারিকেল, আচারসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু পণ্য মজুদ রয়েছে। অন্যদিকে পুরো টেকনাফ বন্দরে শুনশান নীরবতা, অলস সময় পার করছেন শ্রমিক ও বন্দরের কর্মকর্তারা।

গেল অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে আমদানি ১৯৯২১৯ মে.টন রপ্তানি ৩৫২৩ মে. টন রাজস্ব আয় ৭.৬৩ কোটি টাকা। স্থল বন্দরের শ্রমিকদের মাঝি আবদুল আমিন বলেন, অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ টি ট্রাক লোড-আনলোড হয়, কিন্তু ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এখন এক সপ্তাহে চার-পাঁচটির বেশি ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক সিআইপি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কয়েক মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কমেছে।

আকিয়াব বন্দরে কিনে রাখা শত শত টন আদা, নারকেল, মাছ ও সুপারি মজুদ আছে। এগুলো না আনতে পারলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হবে।

বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় রাজস্ব না আসার কথা বলেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনও।

বন্দর কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে মংডু থেকে অনেক পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আকিয়াব ও ইয়াঙ্গুন বন্দরে জাহাজ চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। সর্বশেষ গেল শুক্রবার দুটি ট্রলারে করে দেড় হাজার বস্তা আদা, নারিকেল, আচার, সুপারি,শুঁটকি আমদানি হয়েছে।

এদিকে, মায়ানমারের অভ্যন্তরে তুমুল লড়াইয়ের কারণে সীমান্তে স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ। ওপারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদী ও উপকূলীয় অংশে নিরাপত্তায় টহল জোরদার করার কথা বলেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী-কোস্ট গার্ড।

back to top