alt

অর্থ-বাণিজ্য

টাকা-ডলার অদলবদলের সুবিধা চালু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার অদলবদল করতে পারবে। সর্বনি¤œ ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ হিসাব করে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন এ ব্যবস্থা প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে থাকা অতিরিক্ত ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা যায়। তবে প্রয়োজনের সময় ওই ডলার আবার ফেরত পাওয়া যাবে, এ নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থায় সেই নিশ্চয়তা রয়েছে। এ জন্য বেশির ভাগ ব্যাংক সোয়াপ করতে আগ্রহী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে একে অপরের মধ্যে ডলার ও টাকার অদলবদল করে থাকে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এ অদলবদলের সুবিধা চালু হলো। মুদ্রা ব্যবস্থাপনার আওতায় নতুন এ বিধান চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে উদ্বৃত্ত ডলার থাকলে এখন তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তারা সমপরিমাণ টাকা ধার নিতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয় পক্ষই লাভবান হবে। কারণ, উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে। আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার পেয়ে যাবে।’

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ কাদরী বলেন. ‘আগেও সোয়াপ চালু ছিল। তবে সেটা ব্যাংক টু ব্যাংক। আর এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোয়াপের মাধ্যমে ডলারের বিনিময় নগদ টাকা নেয়া যাবে। এটা দরকার ছিল। এতে ব্যাংকগুলোর এখন তারল্য সংকট থাকবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ ব্যবস্থার আওতায় সর্বনি¤œ ৫০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাবে। অদলবদলের মেয়াদ হবে সর্বনি¤œ ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। মুদ্রা অদলবদলের এ সুবিধা নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেবে, ওই দিনের ডলারের বিনিময়মূল্য হিসেবে সমপরিমাণ টাকা পেয়ে যাবে। একইভাবে নির্ধারিত সময় পর টাকা জমা দিয়ে ডলার ফেরত নিতে পারবে।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩০ দিনের চুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক কোটি ডলার অদলবদল করছে। তাহলে ওই ব্যাংক ডলারের আজকের ১১০ টাকা দাম হিসাবে ১১০ কোটি টাকা পেয়ে যাবে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী, ৩০ দিন পর ওই ব্যাংক এক কোটি ডলার ফেরতে নিতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ হিসাব করে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে। এর মধ্যে ডলারের দামে ওঠানামা হলেও সমপরিমাণ ডলার ফেরত পাবে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ব্যবস্থার ফলে সুবিধা হবে উভয় পক্ষের। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ব্যাংকগুলোর সাধারণ ব্যাংকিং থেকে অফশোর ইউনিটে ডলার স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি মূল ব্যাংক থেকে অফশোর ইউনিটে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা-ও চলতি বছরের মধ্যে ফেরত আনতে বলা হয়েছে। অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার স্থানান্তর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ব্যবসার জন্য বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ডলার ধার এনেছে, তা ব্যবহার করতে পারছে না। এখন এসব ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা নিতে পারলে সেই অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের জমা বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে। তাই ডলার-টাকা অদলবদলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্বর্ণের দামে রেকর্ড, প্রতি ভরি ১ লাখ সাড়ে ৭২ হাজার টাকা

সিপিডির গবেষণা: ৪৫ শতাংশ কোম্পানি বলছে কর কর্মকর্তারা ঘুষ চেয়েছেন

আমদানি মূল্য পরিশোধে উত্তম চর্চা অনুসরণের নির্দেশ

ছবি

শেয়ারবাজারে ফের বড় পতন

গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা

ছবি

৪২ দিন পর রিজার্ভ ফের বেড়ে দাঁড়ালো ২১ বিলিয়ন ডলারে

ছবি

বিদেশি বিনিয়োগে সুবাতাস, অক্টোবর-ডিসেম্বরে বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ

ছবি

মডেল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব

বিনা খরচে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে হিসাব খুলতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা

চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতিতে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

ধারাবাহিক পতন চলছে শেয়ারবাজারে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি

ছবি

তৈরি পোশাক খাতে নতুন কারখানা চালু হচ্ছে

ছবি

৯ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা

স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ

ছবি

৩১৬ চালকলের লাইসেন্স বাতিল

আমানত ও ঋণের সুদের তথ্য দিতে হবে মাসের ১০ তারিখের মধ্যে

ছবি

নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ নিয়ে ফিরলো দারাজ ফিউচার লিডারস প্রোগ্রাম

ছবি

অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও বড় বাজারের তুলনায় কম

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে

ছবি

দেশ–বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে ‘ভাটা’

অভ্যন্তরীণ পর্যটনের বিকাশে জোর নতুন পর্যটন উপদেষ্টার

গ্রিন ডাটা সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ছবি

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

নেদারল্যান্ডসে চলছে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ ইন ইউরোপ’ প্রদর্শনী

ছবি

চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নএডিপি বাস্তবায়ন

পুঁজিবাজারের সমস্যা-সমাধানের অ্যাকশন প্ল্যান দাখিলের নির্দেশ

ছবি

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি

ছবি

প্রচলিত প্রবৃদ্ধির মডেল পর্যালোচনা করা প্রয়োজন: হোসেন জিল্লুর রহমান

ছবি

মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ভ্যাটের রিসিট দেন না, অভিযোগ এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়

ছবি

বাজেটে প্রথম অগ্রাধিকার ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ’, সুযোগ তৈরি হবে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের

প্রতি তিন মাসে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

তৈরি পোশাকে করপোরেট কর অপরিবর্তিত চান ব্যবসায়ীরা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

টাকা-ডলার অদলবদলের সুবিধা চালু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার অদলবদল করতে পারবে। সর্বনি¤œ ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ হিসাব করে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন এ ব্যবস্থা প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে থাকা অতিরিক্ত ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা যায়। তবে প্রয়োজনের সময় ওই ডলার আবার ফেরত পাওয়া যাবে, এ নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু অদলবদল বা সোয়াপ ব্যবস্থায় সেই নিশ্চয়তা রয়েছে। এ জন্য বেশির ভাগ ব্যাংক সোয়াপ করতে আগ্রহী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে একে অপরের মধ্যে ডলার ও টাকার অদলবদল করে থাকে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এ অদলবদলের সুবিধা চালু হলো। মুদ্রা ব্যবস্থাপনার আওতায় নতুন এ বিধান চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে উদ্বৃত্ত ডলার থাকলে এখন তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তারা সমপরিমাণ টাকা ধার নিতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয় পক্ষই লাভবান হবে। কারণ, উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে। আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার পেয়ে যাবে।’

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ কাদরী বলেন. ‘আগেও সোয়াপ চালু ছিল। তবে সেটা ব্যাংক টু ব্যাংক। আর এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোয়াপের মাধ্যমে ডলারের বিনিময় নগদ টাকা নেয়া যাবে। এটা দরকার ছিল। এতে ব্যাংকগুলোর এখন তারল্য সংকট থাকবে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ ব্যবস্থার আওতায় সর্বনি¤œ ৫০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাবে। অদলবদলের মেয়াদ হবে সর্বনি¤œ ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন। মুদ্রা অদলবদলের এ সুবিধা নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেবে, ওই দিনের ডলারের বিনিময়মূল্য হিসেবে সমপরিমাণ টাকা পেয়ে যাবে। একইভাবে নির্ধারিত সময় পর টাকা জমা দিয়ে ডলার ফেরত নিতে পারবে।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কোনো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩০ দিনের চুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক কোটি ডলার অদলবদল করছে। তাহলে ওই ব্যাংক ডলারের আজকের ১১০ টাকা দাম হিসাবে ১১০ কোটি টাকা পেয়ে যাবে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী, ৩০ দিন পর ওই ব্যাংক এক কোটি ডলার ফেরতে নিতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ হিসাব করে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে। এর মধ্যে ডলারের দামে ওঠানামা হলেও সমপরিমাণ ডলার ফেরত পাবে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ ব্যবস্থার ফলে সুবিধা হবে উভয় পক্ষের। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ব্যাংকগুলোর সাধারণ ব্যাংকিং থেকে অফশোর ইউনিটে ডলার স্থানান্তর বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি মূল ব্যাংক থেকে অফশোর ইউনিটে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা-ও চলতি বছরের মধ্যে ফেরত আনতে বলা হয়েছে। অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার স্থানান্তর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ব্যবসার জন্য বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ডলার ধার এনেছে, তা ব্যবহার করতে পারছে না। এখন এসব ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা নিতে পারলে সেই অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের জমা বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে। তাই ডলার-টাকা অদলবদলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

back to top