# ব্যাংক খাতের ভালোর জন্যই আমরা ব্যাংক একীভুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি: বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র
জাতীয় স্বার্থে ব্যাংক একীভূত করতে ব্যাংক মালিকরা বাধ্য বলে জানিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আও বলেন, ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে আমাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল তা কেটে গেছে। গভর্নর আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা বুঝতে পেরেছি ব্যাংক একীভূত হলে কারো ক্ষতি হবে না, দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে এবং ভাল ব্যাংকও আরো শক্তিশালী হবে। তবে, ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে এক্সিম ব্যাংকের এ চেয়ারম্যান বলেন, পত্রপত্রিকায় শুনেছি ব্যাংক একীভূত হবে, এতে আমাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। আজ গভর্নরের সাথে বিস্তারিত কথা হয়েছে তিনি আমাদেরকে বুঝিয়েছেন তাই আমাদের আতঙ্ক কেটে গেছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একইভূত করার উদাহরণ রয়েছে। তাই জাতীয় স্বার্থে আমরা এটি মেনে নেব। তিনি বলেন, সরকার যদি চায় তাহলে জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে আমরা বাধ্য।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। মালিকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একীভূত হবে নাকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত দিবে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়নি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আমরা জাতীয় স্বার্থে মেনে নেব।
বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, একীভূত নিয়ে সুন্দর কথা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া মালয়েশিয়া বা ইউরোপ প্রত্যেকটা প্রত্যেক দেশেই এই একীভূত হয়। কোনো কোনো ব্যাংক যে কোনো কারণে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এটা সারা পৃথিবীতে হয়। আমেরিকাতেও হয়েছে। আমাদের এখানেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু কিছু ব্যাংক খারাপ হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই ভালো আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নিয়ে আমাদের কথা হয়নি। কোন ব্যাংক খারাপ কি ভালো এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বেশিরভাগ ব্যাংকই ভালো আছে। গভর্নর এবং অডিট কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে এতে করে দেখা যায় মোটামুটি ৯০ ভাগ ব্যাংকই আমাদের ভালো আছে। হয়তো ১০ ভাগ খারাপ আছে। এটা থাকতেই পারে। সারা ওয়াল্ডেই তা আছে। এটা ভালো ব্যাংকের সাথে একত্রিত হতে পারে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কি ফর্মুলায় হবে তা এখনও কোনোকিছু ঠিক হয়নাই।
এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মোটেই কোনো উদ্বেগের মধ্যে নাই। ব্যাংক একত্রীকরণ হলে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। সরকার জনগণের স্বার্থে যে কাজই করবে আমরা সমর্থন করবো।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের ভালোর জন্যই আমরা ব্যাংক একীভুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সামনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ রয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করব কিভাবে একটিভূত করা যায়।
তিনি বলেন এমনও হতে পারে যে কোন ব্যাংক একইভূত করার প্রয়োজন হবে না। ইতোমধ্যে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করার জন্য পিসিএ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ আমরা দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে পারব। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন কোন ব্যাংক একইভূত করার প্রয়োজন রয়েছে।তখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ব্যাংক একইভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মেজবাউল হক বলেন, অন্যান্য দেশের উদাহরণ গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরাও চাই মালিকরা সিদ্ধান্ত নিক। যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।
# ব্যাংক খাতের ভালোর জন্যই আমরা ব্যাংক একীভুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি: বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র
সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
জাতীয় স্বার্থে ব্যাংক একীভূত করতে ব্যাংক মালিকরা বাধ্য বলে জানিয়েছেন বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আও বলেন, ব্যাংক একীভূত করা নিয়ে আমাদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল তা কেটে গেছে। গভর্নর আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা বুঝতে পেরেছি ব্যাংক একীভূত হলে কারো ক্ষতি হবে না, দুর্বল ব্যাংক শক্তিশালী হবে এবং ভাল ব্যাংকও আরো শক্তিশালী হবে। তবে, ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে এক্সিম ব্যাংকের এ চেয়ারম্যান বলেন, পত্রপত্রিকায় শুনেছি ব্যাংক একীভূত হবে, এতে আমাদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। আজ গভর্নরের সাথে বিস্তারিত কথা হয়েছে তিনি আমাদেরকে বুঝিয়েছেন তাই আমাদের আতঙ্ক কেটে গেছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একইভূত করার উদাহরণ রয়েছে। তাই জাতীয় স্বার্থে আমরা এটি মেনে নেব। তিনি বলেন, সরকার যদি চায় তাহলে জাতীয় স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত মানতে আমরা বাধ্য।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। মালিকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একীভূত হবে নাকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত দিবে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়নি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আমরা জাতীয় স্বার্থে মেনে নেব।
বিএবি চেয়ারম্যান বলেন, একীভূত নিয়ে সুন্দর কথা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া মালয়েশিয়া বা ইউরোপ প্রত্যেকটা প্রত্যেক দেশেই এই একীভূত হয়। কোনো কোনো ব্যাংক যে কোনো কারণে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এটা সারা পৃথিবীতে হয়। আমেরিকাতেও হয়েছে। আমাদের এখানেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছু কিছু ব্যাংক খারাপ হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকই ভালো আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নিয়ে আমাদের কথা হয়নি। কোন ব্যাংক খারাপ কি ভালো এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি। বেশিরভাগ ব্যাংকই ভালো আছে। গভর্নর এবং অডিট কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে এতে করে দেখা যায় মোটামুটি ৯০ ভাগ ব্যাংকই আমাদের ভালো আছে। হয়তো ১০ ভাগ খারাপ আছে। এটা থাকতেই পারে। সারা ওয়াল্ডেই তা আছে। এটা ভালো ব্যাংকের সাথে একত্রিত হতে পারে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না। কি ফর্মুলায় হবে তা এখনও কোনোকিছু ঠিক হয়নাই।
এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মোটেই কোনো উদ্বেগের মধ্যে নাই। ব্যাংক একত্রীকরণ হলে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। সরকার জনগণের স্বার্থে যে কাজই করবে আমরা সমর্থন করবো।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের ভালোর জন্যই আমরা ব্যাংক একীভুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সামনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদাহরণ রয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করব কিভাবে একটিভূত করা যায়।
তিনি বলেন এমনও হতে পারে যে কোন ব্যাংক একইভূত করার প্রয়োজন হবে না। ইতোমধ্যে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করার জন্য পিসিএ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ আমরা দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে পারব। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কোন কোন ব্যাংক একইভূত করার প্রয়োজন রয়েছে।তখন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ব্যাংক একইভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মেজবাউল হক বলেন, অন্যান্য দেশের উদাহরণ গুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরাও চাই মালিকরা সিদ্ধান্ত নিক। যদি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।