জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রলে কমেছে ৩ টাকা এবং অকটেনে কমেছে ৪ টাকা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে নতুন দর কার্যকর হচ্ছে। দাম কমানোর হার ডিজেল ও কেরোসিনে ০.৬৯ শতাংশ, অকটেনে ৩.০৭ শতাংশ এবং পেট্রলে ২.৪ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে- এ ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করা হলো।
প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রথমবার দাম সমন্বয় করতে গিয়ে দেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে বলে কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তবে দাম কতটা কমবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
বিপিসির লোকসান এবং ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ।
লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে করা ১৩৫ টাকা। পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৫১.১৬ শতাংশ ও ৫১. ৬৮ শতাংশ।
এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট এই চার ধরণের জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমিয়ে অকেটেন ১৩০, পেট্রল ১২৫, ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা করা হয়। সেই দাম বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত বহাল থাকে। প্রথম বার স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে দাম কিছুটা কমলো, যা শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে কার্যকর হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তারা বলছেন, ডিজেলের দাম কমলে বাস ও ট্রাক মালিকদের খরচ কমবে। সেচের ব্যয়ও কমবে। অকটেন ও পেট্রলের দাম কমলে ব্যয় কমবে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। যদি বাস ও ট্রাকভাড়া না কমে, তাহলে পণ্যের পরিবহন ব্যয়ও কমবে না। সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না।
বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪
জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রলে কমেছে ৩ টাকা এবং অকটেনে কমেছে ৪ টাকা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে নতুন দর কার্যকর হচ্ছে। দাম কমানোর হার ডিজেল ও কেরোসিনে ০.৬৯ শতাংশ, অকটেনে ৩.০৭ শতাংশ এবং পেট্রলে ২.৪ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে- এ ঘোষণা আগেই দেওয়া ছিল। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করা হলো।
প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রথমবার দাম সমন্বয় করতে গিয়ে দেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে বলে কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তবে দাম কতটা কমবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
বিপিসির লোকসান এবং ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২ শতাংশ।
লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে করা ১৩৫ টাকা। পেট্রল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৫১.১৬ শতাংশ ও ৫১. ৬৮ শতাংশ।
এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট এই চার ধরণের জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমিয়ে অকেটেন ১৩০, পেট্রল ১২৫, ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা করা হয়। সেই দাম বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত বহাল থাকে। প্রথম বার স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে দাম কিছুটা কমলো, যা শুক্রবার (৮ মার্চ) থেকে কার্যকর হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তারা বলছেন, ডিজেলের দাম কমলে বাস ও ট্রাক মালিকদের খরচ কমবে। সেচের ব্যয়ও কমবে। অকটেন ও পেট্রলের দাম কমলে ব্যয় কমবে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। যদি বাস ও ট্রাকভাড়া না কমে, তাহলে পণ্যের পরিবহন ব্যয়ও কমবে না। সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না।