রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ প্রস্তাবিত বাজেট-কে ইতিবাচক বলে অভিহিত করলেও এটা ব্যবসায়ীদের জন্য চাপের বাজেট বলে মন্তব্য করেছে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু হেনা রেজাউল করিম লিখিত বক্তব্যে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বাড়ার ফলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর। সেই সাথে সরকার বিদেশি ঋণ, সুদ ও ভর্তুকির মতো ব্যয় মেটাতে কর অব্যাহতি ও শুল্ক-করে ছাড় কমিয়ে রাজস্ব আয়ের যে কৌশল গ্রহণ করেছে এর ফলে শুধু মধ্যবিত্ত নয়, নিম্ন ও উচ্চবিত্তদের ওপরেও নানা ক্ষেত্রে করের চাপ বাড়বে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেয়ার যে পরিকল্পনা করছে এর ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান আরো সংকুচিত হবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা প্রকাশ করছে। এছাড়াও বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বাড়ার ফলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর। তাই রংপুর চেম্বার প্রস্তাবিত বাজেট-কে ব্যবসায়ীদের চাপের বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে।
এ ছাড়াও রংপুর চেম্বার প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের হার বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানোয় করদাতারা নতুন করে মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপে পড়বে এবং বেশকিছু পণ্যের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে ও আমদানিতে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি বাড়ানোর প্রস্তাব করার ফলে পণ্য মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং সাধারণ জনগণের কষ্ট আরো বাড়বে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধি করায় অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় আরো বেড়ে যাবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা প্রকাশ করছে
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। কেননা বৈধ আয়ের ওপর ৩০% আর অবৈধ আয়ের ওপর ১৫% কর। তাই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দিয়ে বরং এদের কঠোর হস্তে আইনের মাধ্যমে দমন করা উচিত বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। এতে বৈধ করদাতারা নিরুৎসাহিত ও ক্ষুব্ধ হবেন। তাই সংশোধিত বাজেটে এটা রহিত করা দরকার।প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রংপুরে প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনস্থাপনসহ উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’’ গঠন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রংপুর বিভাগের শিল্পায়নের জন্য ট্যাক্স হলি ডের মেয়াদ ১৫ বছর করা ও ‘‘আলাদা বাজেট বরাদ্দ’’-এর বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত থাকা উচিত ছিল বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তাই রংপুর চেম্বার সংশোধিত বাজেটে রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বৃহৎ শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে দ্রæত মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান। সেই সাথে প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করারোপ করায় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত হবে বলে মনে করেন। তাই কর না বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যান্ডরোল বিহীন নকল বিড়ি বাজারজাত করতে না পারে সে দিকে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন। ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ির কারণে সরকার বিড়ি খাত থেকে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তাই রংপুর চেম্বার সংশোধিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর যৌক্তিক কর নির্ধারণপূর্বক ব্যান্ডরোল বিহীন নকল বিড়ি উৎপাদন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান। এছাড়া তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রবৃদ্ধির পথ যাতে সংকুচিত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি চাপে থাকা সামষ্টিক অর্থনীতি ও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বেসরকারি বিনিয়োগে কিভাবে প্রাণ ফেরানো যায় সে ব্যাপারে সংশোধিত বাজেট পদক্ষেপ গ্রণের আহŸান জানান। এছাড়া তিনি ব্যবসা সহজীকরণ সূচক, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ব্যাংক ঋণ ও গ্যাস-বিদ্যুতের সহজলভ্যতার বিষয়গুলো মেটাতে না পারলে বিনিয়োগ কখনোই বাড়বে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভিত্তি মজবুত না হলে অর্থনীতি কোনদিন টেকসই হবে না। তাই তিনি সংশোধিত বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার আহŸান জানান।
বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪
রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ প্রস্তাবিত বাজেট-কে ইতিবাচক বলে অভিহিত করলেও এটা ব্যবসায়ীদের জন্য চাপের বাজেট বলে মন্তব্য করেছে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু হেনা রেজাউল করিম লিখিত বক্তব্যে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বাড়ার ফলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর। সেই সাথে সরকার বিদেশি ঋণ, সুদ ও ভর্তুকির মতো ব্যয় মেটাতে কর অব্যাহতি ও শুল্ক-করে ছাড় কমিয়ে রাজস্ব আয়ের যে কৌশল গ্রহণ করেছে এর ফলে শুধু মধ্যবিত্ত নয়, নিম্ন ও উচ্চবিত্তদের ওপরেও নানা ক্ষেত্রে করের চাপ বাড়বে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেয়ার যে পরিকল্পনা করছে এর ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান আরো সংকুচিত হবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা প্রকাশ করছে। এছাড়াও বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বাড়ার ফলে রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়বে ব্যবসায়ীদের ওপর। তাই রংপুর চেম্বার প্রস্তাবিত বাজেট-কে ব্যবসায়ীদের চাপের বাজেট বলে আখ্যায়িত করেছে।
এ ছাড়াও রংপুর চেম্বার প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকে রাখা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের হার বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানোয় করদাতারা নতুন করে মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপে পড়বে এবং বেশকিছু পণ্যের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে ও আমদানিতে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি বাড়ানোর প্রস্তাব করার ফলে পণ্য মূল্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং সাধারণ জনগণের কষ্ট আরো বাড়বে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধি করায় অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় আরো বেড়ে যাবে বলে রংপুর চেম্বার আশংকা প্রকাশ করছে
অন্যদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। কেননা বৈধ আয়ের ওপর ৩০% আর অবৈধ আয়ের ওপর ১৫% কর। তাই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দিয়ে বরং এদের কঠোর হস্তে আইনের মাধ্যমে দমন করা উচিত বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। এতে বৈধ করদাতারা নিরুৎসাহিত ও ক্ষুব্ধ হবেন। তাই সংশোধিত বাজেটে এটা রহিত করা দরকার।প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য রংপুরে প্রস্তাবিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনস্থাপনসহ উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে ‘‘নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্ট্রি’’ গঠন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রংপুর বিভাগের শিল্পায়নের জন্য ট্যাক্স হলি ডের মেয়াদ ১৫ বছর করা ও ‘‘আলাদা বাজেট বরাদ্দ’’-এর বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত থাকা উচিত ছিল বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তাই রংপুর চেম্বার সংশোধিত বাজেটে রংপুর অঞ্চলের দারিদ্র্য নিরসন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বৃহৎ শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে দ্রæত মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান। সেই সাথে প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করারোপ করায় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত হবে বলে মনে করেন। তাই কর না বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যান্ডরোল বিহীন নকল বিড়ি বাজারজাত করতে না পারে সে দিকে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন। ব্যান্ডরোল বিহীন বিড়ির কারণে সরকার বিড়ি খাত থেকে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তাই রংপুর চেম্বার সংশোধিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর যৌক্তিক কর নির্ধারণপূর্বক ব্যান্ডরোল বিহীন নকল বিড়ি উৎপাদন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহŸান জানান। এছাড়া তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রবৃদ্ধির পথ যাতে সংকুচিত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি চাপে থাকা সামষ্টিক অর্থনীতি ও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বেসরকারি বিনিয়োগে কিভাবে প্রাণ ফেরানো যায় সে ব্যাপারে সংশোধিত বাজেট পদক্ষেপ গ্রণের আহŸান জানান। এছাড়া তিনি ব্যবসা সহজীকরণ সূচক, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ব্যাংক ঋণ ও গ্যাস-বিদ্যুতের সহজলভ্যতার বিষয়গুলো মেটাতে না পারলে বিনিয়োগ কখনোই বাড়বে না বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভিত্তি মজবুত না হলে অর্থনীতি কোনদিন টেকসই হবে না। তাই তিনি সংশোধিত বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার আহŸান জানান।