alt

অর্থ-বাণিজ্য

‘লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ সিএনজি ফিলিং স্টেশন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৯ জুন ২০২৪

দেশের সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন মালিকরা তাদের সিএনজি বিক্রির কমিশন প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে তারা প্রতি ঘনমিটারে ৮ টাকা কমিশন পান যেটি ২০১৫ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তাদের যুক্তি হচ্ছে- ২০১৫ সালের পর শুধু বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রিতে তাদের ব্যয় বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।

এছাড়া, স্টেশন পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি, গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিক্রি কমে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় প্রতি ঘনমিটারে আরও ৩ টাকা ৫০ পয়সা খরচ হচ্ছে।

তারা জানান, সারাদেশে ৫২৪টি ফিলিং স্টেশন চালু রয়েছে। ৬০ এর অধিক ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে রয়েছে।

গতকাল সকালে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোরঞ্জন ভক্ত অভিযোগ করে বলেন, নীতিগত সুপারিশ সত্ত্বেও সরকার ২০১৫ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের দাম মোকাবিলায় সিএনজি বিক্রির কমিশন সমন্বয় করেনি।

একটি উদাহরণ তুলে ধরে অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, ‘২০১৪ সালে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট (১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা) ৩.৪৫ টাকা, যা কয়েকবার বৃদ্ধির পর এখন প্রতি ইউনিট ৫.০৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুৎ খরচ গড়ে ১.৬০ টাকা বেড়েছে।

সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদকে বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে এক সময় সরকারের পক্ষ থেকে সিএনজি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হয়েছিল। সে কারণে তারা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, ‘এখন অটোগ্যাস (এলপিজি) ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সিএনজি ব্যবসায়ীদের কোটঠাসা করার পায়তারা চলছে।’

ফিলিং স্টেশনগুলিতে সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) বিক্রিও গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর। সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিষ্ঠানের বিলের তথ্য উপস্থান করে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের মার্চ মাসে যে সিএনজি স্টেশনটি ৯৬ হাজার ৯৩ ঘনমিটার সিএনজি বিক্রি করেছে, ২০২৪ সালের মার্চে সেটির বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৭১৮ ঘনমিটার।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে গ্রাহকের কাছে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেও ৩.৫৪ টাকা লাভ ছিল। এখন এটি ৪৩ টাকায় বিক্রি করে লাভ ২.৬৮ টাকায় নেমে এসেছে।’

অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল মামুন বলেন, জমির ইজারা খরচ, পৌরসভার কর, কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এক দশক আগে গড়ে ১০ লাখ টাকা হলে এখন তা ২০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের দাবি বিবেচনার জন্য এক দশক আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিইআরসিকে (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে ফারহান নূর বলেন, ‘২০১৭ সালের জুনে আমাদের দাবি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয় নীতিগত কিছু সুপারিশ দিয়ে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আশা করছিলাম, সমাধান পাবো, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।’

ফারহান নূর বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি। তবে এটি জরুরি পণ্য হওয়ায় ধর্মঘট কিংবা আল্টিমেটামে যাচ্ছি না।’

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

ছবি

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

‘লোকসানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ সিএনজি ফিলিং স্টেশন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪

দেশের সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ফিলিং স্টেশন মালিকরা তাদের সিএনজি বিক্রির কমিশন প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে তারা প্রতি ঘনমিটারে ৮ টাকা কমিশন পান যেটি ২০১৫ সালে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

তাদের যুক্তি হচ্ছে- ২০১৫ সালের পর শুধু বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রিতে তাদের ব্যয় বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।

এছাড়া, স্টেশন পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি, গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিক্রি কমে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় প্রতি ঘনমিটারে আরও ৩ টাকা ৫০ পয়সা খরচ হচ্ছে।

তারা জানান, সারাদেশে ৫২৪টি ফিলিং স্টেশন চালু রয়েছে। ৬০ এর অধিক ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে রয়েছে।

গতকাল সকালে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোরঞ্জন ভক্ত অভিযোগ করে বলেন, নীতিগত সুপারিশ সত্ত্বেও সরকার ২০১৫ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের দাম মোকাবিলায় সিএনজি বিক্রির কমিশন সমন্বয় করেনি।

একটি উদাহরণ তুলে ধরে অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, ‘২০১৪ সালে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট (১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা) ৩.৪৫ টাকা, যা কয়েকবার বৃদ্ধির পর এখন প্রতি ইউনিট ৫.০৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুৎ খরচ গড়ে ১.৬০ টাকা বেড়েছে।

সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদকে বলেন, পরিবেশ বাঁচাতে এক সময় সরকারের পক্ষ থেকে সিএনজি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হয়েছিল। সে কারণে তারা এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন।

তাদের অভিযোগ, ‘এখন অটোগ্যাস (এলপিজি) ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সিএনজি ব্যবসায়ীদের কোটঠাসা করার পায়তারা চলছে।’

ফিলিং স্টেশনগুলিতে সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) বিক্রিও গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর। সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিষ্ঠানের বিলের তথ্য উপস্থান করে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের মার্চ মাসে যে সিএনজি স্টেশনটি ৯৬ হাজার ৯৩ ঘনমিটার সিএনজি বিক্রি করেছে, ২০২৪ সালের মার্চে সেটির বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৭১৮ ঘনমিটার।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে গ্রাহকের কাছে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি ৩০ টাকায় বিক্রি করেও ৩.৫৪ টাকা লাভ ছিল। এখন এটি ৪৩ টাকায় বিক্রি করে লাভ ২.৬৮ টাকায় নেমে এসেছে।’

অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল মামুন বলেন, জমির ইজারা খরচ, পৌরসভার কর, কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এক দশক আগে গড়ে ১০ লাখ টাকা হলে এখন তা ২০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের দাবি বিবেচনার জন্য এক দশক আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিইআরসিকে (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে ফারহান নূর বলেন, ‘২০১৭ সালের জুনে আমাদের দাবি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয় নীতিগত কিছু সুপারিশ দিয়ে বিইআরসিকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আশা করছিলাম, সমাধান পাবো, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।’

ফারহান নূর বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি। তবে এটি জরুরি পণ্য হওয়ায় ধর্মঘট কিংবা আল্টিমেটামে যাচ্ছি না।’

back to top