সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ‘ব্যর্থ’ কোম্পানীতে পরিণত করার যড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বীমা উন্নয়ন কতৃপক্ষের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসকের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অচলাবস্থার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
বুধবার মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া ‘একটি মহল’ কোম্পানীটি ‘দখলের ষড়যন্ত্র’ করছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ কারনে তারা বেশকিছুদিন যাবৎ কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেছেন, ‘যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আইন ও নীতিমালা লংঘন করে কোম্পানীর ১৭ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত ওই বরখাস্তের আদেশ বাতিল করেছে। এসব নানা কারণে ইতোমধ্যে কোম্পানীর ৫০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।’
প্রশাসককে অপসারণসহ ৮ দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে কোন ধারণা না থাকায় বর্তমান প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের নেতৃত্বে লাভজনক একটি বীমা কোম্পানী এখন উল্টো পথে হাটছে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে এই প্রথম বারের মতো গ্রাহকের বিমা দাবির ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি কোম্পানীটি। নানা অজুহাতে কোম্পানীর সকল প্রকার সেবা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে কোম্পানীতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কোম্পানী সংশ্লিষ্ট ২৮ হাজার পরিবার ও তাদের উপর নির্ভরশীল ৭০ হাজার বীমা পরিবারের সদস্য এবং ৮ লক্ষাধিক গ্রাহক সংকটের মূখে পড়েছে।’
মালিকানা বদলের মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স ধ্বংসের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘আগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইওি) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিলো বীমা উন্নয়ন কতৃপক্ষ। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতির তদন্ত না করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী একের এক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করেন। যা পরে উচ্চ আদালত রহিত করে। নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ ও কর্ম পরিবেশ নষ্ট করে কর্মীদের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেছেন।’
বর্তমান প্রশাসককে সরিয়ে সেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগসহ ৮দফা দাবি তুলে ধরেন কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সাহিল। তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগার কর্ম বিরতি চলবে। কোনভাবেই কর্মীরা কোম্পানীটি ধ্বংসের আয়োজন মেনে নিবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসক একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার মাঝে ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সারাদেশের প্রায় ২৭ হাজার বীমা কর্মীর কমিশনের টাকা আটকে রাখা থেকে শুরু করে আইটিসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের নামে সহকর্মীদের দিয়ে জোর করে মামলা করানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সকল নিয়ম লংঘন করে নিজের বেতন ৫ লাখ টাকা এবং বোনাস বাবদ আরও ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা। অথচ ১৭ জন শীর্ষ নির্বাহী ও ৩৩ জন ড্রাইভারের বেতন আটকে রাখা হয়েছে। ডিএমডি পদমর্যাদায় নিযুক্ত তার সাবেক ৪ সহকর্মীকে গড়ে ২ লাখ টাকা বেতনে নিয়োগের এক মাসের মধ্যেই নিয়মের বাইরে গিয়ে উৎসব ভাতা প্রদান করা হয়। কম বেতনের কর্মীদের জন্য ভর্তুকিমূল্যে খাবার সরবরাহের ক্যান্টিন ভেঙ্গে সশস্ত্র আনসারদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ কোম্পানী স্বার্থবিরোধী নানাবিধি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ‘ব্যর্থ’ কোম্পানীতে পরিণত করার যড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বীমা উন্নয়ন কতৃপক্ষের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসকের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ প্রতিষ্ঠানটিতে ‘অচলাবস্থার’ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
বুধবার মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া ‘একটি মহল’ কোম্পানীটি ‘দখলের ষড়যন্ত্র’ করছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ কারনে তারা বেশকিছুদিন যাবৎ কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেছেন, ‘যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আইন ও নীতিমালা লংঘন করে কোম্পানীর ১৭ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত ওই বরখাস্তের আদেশ বাতিল করেছে। এসব নানা কারণে ইতোমধ্যে কোম্পানীর ৫০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।’
প্রশাসককে অপসারণসহ ৮ দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন কোম্পানীর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ইন্স্যুরেন্স বিষয়ে কোন ধারণা না থাকায় বর্তমান প্রশাসক এসএম ফেরদৌসের নেতৃত্বে লাভজনক একটি বীমা কোম্পানী এখন উল্টো পথে হাটছে। প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে এই প্রথম বারের মতো গ্রাহকের বিমা দাবির ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি কোম্পানীটি। নানা অজুহাতে কোম্পানীর সকল প্রকার সেবা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে কোম্পানীতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কোম্পানী সংশ্লিষ্ট ২৮ হাজার পরিবার ও তাদের উপর নির্ভরশীল ৭০ হাজার বীমা পরিবারের সদস্য এবং ৮ লক্ষাধিক গ্রাহক সংকটের মূখে পড়েছে।’
মালিকানা বদলের মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্স ধ্বংসের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘আগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইওি) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে সোনালী লাইফ ইন্সুইরেন্সে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছিলো বীমা উন্নয়ন কতৃপক্ষ। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতির তদন্ত না করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী একের এক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়াই শীর্ষ নির্বাহীদের বরখাস্ত করেন। যা পরে উচ্চ আদালত রহিত করে। নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নিজস্ব লোকজন নিয়োগ দিয়েছেন। সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ ও কর্ম পরিবেশ নষ্ট করে কর্মীদের ধর্মঘটে যেতে বাধ্য করেছেন।’
বর্তমান প্রশাসককে সরিয়ে সেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগসহ ৮দফা দাবি তুলে ধরেন কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সাহিল। তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগার কর্ম বিরতি চলবে। কোনভাবেই কর্মীরা কোম্পানীটি ধ্বংসের আয়োজন মেনে নিবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসক একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার মাঝে ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সারাদেশের প্রায় ২৭ হাজার বীমা কর্মীর কমিশনের টাকা আটকে রাখা থেকে শুরু করে আইটিসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের নামে সহকর্মীদের দিয়ে জোর করে মামলা করানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সকল নিয়ম লংঘন করে নিজের বেতন ৫ লাখ টাকা এবং বোনাস বাবদ আরও ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা। অথচ ১৭ জন শীর্ষ নির্বাহী ও ৩৩ জন ড্রাইভারের বেতন আটকে রাখা হয়েছে। ডিএমডি পদমর্যাদায় নিযুক্ত তার সাবেক ৪ সহকর্মীকে গড়ে ২ লাখ টাকা বেতনে নিয়োগের এক মাসের মধ্যেই নিয়মের বাইরে গিয়ে উৎসব ভাতা প্রদান করা হয়। কম বেতনের কর্মীদের জন্য ভর্তুকিমূল্যে খাবার সরবরাহের ক্যান্টিন ভেঙ্গে সশস্ত্র আনসারদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ কোম্পানী স্বার্থবিরোধী নানাবিধি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’