কোটা আন্দোলনের প্রভাবে এবার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাকি চার দিন যদি এই হারে রেমিট্যান্স আসে, তাহলে গত ১০ মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্সের রেকর্ড হবে। ব্যাংকাররা বলছেন, কোটা আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স কমেছে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ নামের যে আন্দোলন প্রবাসীরা শুরু করেছেন, এটা তার ফল।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২৯ জুলাই সোমবার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৬৮৫ কোটি টাকা। মাসের বাকি চার দিনে (২৮ থেকে ৩১ জুলাই) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ১৮০ কোটি (১.৮০ বিলিয়ন) ডলার হবে যা হবে দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর পরের নয় মাসের পাঁচ মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। চার মাস এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি নিয়ে শুরু হয় নতুন অর্থবছর। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা, মৃত্যু, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ, মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রবাসীদের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স প্রবাহে আরও পতন দেখা দিয়েছে। তবে আগের মাস জুনে এই সূচকে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কথা হয় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাফর আলমের সঙ্গে। কোটা আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স কমেছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ৫-৬ দিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তাই প্রবাসীরা টাকা পাঠাতে পারেনি। এর কারণে গত সপ্তাহে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।’
তবে আগামী কয়েকদিনে এর পরিমাণ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, যেহেতু ইন্টারনেটের কারণে সেসব প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেনি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো পাঠিয়ে দিবে। তখন আবার রেমিট্যান্স বাড়বে। গত সপ্তাহে যেমন কম রেমিট্যান্স এসেছিল, আগামী চারদিন বেশি রেমিট্যান্স আসবে।’
তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, শুধু ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে রেমিট্যান্স কমেনি। এর পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ আন্দোলন। কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছে। তাই রেমিট্যান্স কমেছে।
অর্থনীতিবিদদের এই আশঙ্কার সত্যতা দেখা যায় প্রবাসীদের বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপে। সেসব গ্রুপগুলোতে তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সব প্রবাসীদের উৎসাহিত করছেন। কেউ কেউ আগামী কয়েক মাস কোনো রেমিট্যান্স না পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স কমেছে এমনটা আশঙ্কা করছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যেকোনো দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সুযোগ। এর ফলে দেখা যাবে, প্রবাসীরা অর্থ পাঠাবে, তার আত্মীয়স্বজন টাকা পাবে, কিন্তু দেশে ডলার আসবে না (হুন্ডি)। এই কার্যক্রম অর্থনীতির জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। সরকারের উচিত, যেভাবেই হোক দেশের অবস্থা স্থীতিশীল করা।’
বাংলাদেশে ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ (২.৫৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, টাকার হিসাবে ছিল এক হাজার কোটি টাকা। একক মাসের হিসাবে জুন মাসের রেমিটেন্স ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। গত বছরের জুনের চেয়ে এই বছরের জুনে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি এসেছিল দেশে।
কিন্তু নতুন অর্থবছরের শুরুতে রেমিটেন্স প্রবাহের সেই উল্লম্ফন আর নেই। চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে (১ থেকে ৬ জুলাই) ৩৭ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ৭ থেকে ১৩ জুলাই এসেছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। ১৪ থেকে ২০ জুলাই সপ্তাহে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সাত দিন অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই সপ্তাহে এসেছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে। সব মিলিয়ে ১ থেকে ২৭ জুলাই এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। কয়েক দিন লেনদেন বন্ধের পর ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হয়। ওই দিন লেনদেন চলে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই বৈধ পথে তথা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আসাও সম্ভব ছিল না। এ সময়ের মধ্যে যারা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, ২৪ জুলাইয়ের পর তা দেশে এসেছে।
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনের প্রভাবে এবার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে রেমিট্যান্স। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাকি চার দিন যদি এই হারে রেমিট্যান্স আসে, তাহলে গত ১০ মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্সের রেকর্ড হবে। ব্যাংকাররা বলছেন, কোটা আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স কমেছে। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ নামের যে আন্দোলন প্রবাসীরা শুরু করেছেন, এটা তার ফল।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২৯ জুলাই সোমবার রেমিট্যান্সের সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৭ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৬৮৫ কোটি টাকা। মাসের বাকি চার দিনে (২৮ থেকে ৩১ জুলাই) এই হারে এলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের অঙ্ক ১৮০ কোটি (১.৮০ বিলিয়ন) ডলার হবে যা হবে দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর পরের নয় মাসের পাঁচ মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। চার মাস এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি নিয়ে শুরু হয় নতুন অর্থবছর। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা, মৃত্যু, ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ, মামলা, গ্রেপ্তার ও প্রবাসীদের উৎকণ্ঠার প্রেক্ষাপটে রেমিটেন্স প্রবাহে আরও পতন দেখা দিয়েছে। তবে আগের মাস জুনে এই সূচকে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কথা হয় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জাফর আলমের সঙ্গে। কোটা আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স কমেছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ৫-৬ দিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তাই প্রবাসীরা টাকা পাঠাতে পারেনি। এর কারণে গত সপ্তাহে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।’
তবে আগামী কয়েকদিনে এর পরিমাণ বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, যেহেতু ইন্টারনেটের কারণে সেসব প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেনি, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো পাঠিয়ে দিবে। তখন আবার রেমিট্যান্স বাড়বে। গত সপ্তাহে যেমন কম রেমিট্যান্স এসেছিল, আগামী চারদিন বেশি রেমিট্যান্স আসবে।’
তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, শুধু ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে রেমিট্যান্স কমেনি। এর পেছনে রয়েছে প্রবাসীদের ‘রেমিট্যান্স শাটডাউন’ আন্দোলন। কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছে। তাই রেমিট্যান্স কমেছে।
অর্থনীতিবিদদের এই আশঙ্কার সত্যতা দেখা যায় প্রবাসীদের বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপে। সেসব গ্রুপগুলোতে তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সব প্রবাসীদের উৎসাহিত করছেন। কেউ কেউ আগামী কয়েক মাস কোনো রেমিট্যান্স না পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স কমেছে এমনটা আশঙ্কা করছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘যেকোনো দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সুযোগ। এর ফলে দেখা যাবে, প্রবাসীরা অর্থ পাঠাবে, তার আত্মীয়স্বজন টাকা পাবে, কিন্তু দেশে ডলার আসবে না (হুন্ডি)। এই কার্যক্রম অর্থনীতির জন্য খারাপ ফল বয়ে আনবে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। সরকারের উচিত, যেভাবেই হোক দেশের অবস্থা স্থীতিশীল করা।’
বাংলাদেশে ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ (২.৫৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, টাকার হিসাবে ছিল এক হাজার কোটি টাকা। একক মাসের হিসাবে জুন মাসের রেমিটেন্স ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি (২.৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। গত বছরের জুনের চেয়ে এই বছরের জুনে ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি এসেছিল দেশে।
কিন্তু নতুন অর্থবছরের শুরুতে রেমিটেন্স প্রবাহের সেই উল্লম্ফন আর নেই। চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ছয় দিনে (১ থেকে ৬ জুলাই) ৩৭ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। পরের সপ্তাহে অর্থাৎ ৭ থেকে ১৩ জুলাই এসেছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। ১৪ থেকে ২০ জুলাই সপ্তাহে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সাত দিন অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই সপ্তাহে এসেছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে। সব মিলিয়ে ১ থেকে ২৭ জুলাই এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৫ লাখ (১.৫৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। কয়েক দিন লেনদেন বন্ধের পর ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হয়। ওই দিন লেনদেন চলে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই বৈধ পথে তথা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আসাও সম্ভব ছিল না। এ সময়ের মধ্যে যারা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, ২৪ জুলাইয়ের পর তা দেশে এসেছে।