সরকার পরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হলেও তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির লেনদেন অবরুদ্ধ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেন চালু রাখতে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাসহ ব্যবসায়ীও রয়েছেন। বিএফআইইউ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে তাদের লেনদেন স্থগিত করেছে। তবে, ব্যবসায়িক গ্রুপ বা কোম্পানিগুলোর ওপর এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভুল সিদ্ধান্ত:
কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএফআইইউ-এর নির্দেশনা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করে ফেলেছে, যা কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে বেতন পরিশোধ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বাধা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণের ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ব্যক্তির ব্যক্তিগত লেনদেন স্থগিত হলেও তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোনো ব্যক্তি অনিয়মে জড়িত হলেও তার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন চালু রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থ পাচার ও ঋণ জটিলতা:
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিএফআইইউ-এর তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যেখানে অর্থ পাচার ও ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব ব্যক্তি দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, কোনো কোম্পানির স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা না দিয়ে কেবল ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ-এর ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট ও সন্দেহজনক লেনদেনের ভিত্তিতে বিএফআইইউ ব্যক্তিগত ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা প্রদান করেছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক লেনদেন অবরুদ্ধ করা হয়নি।”
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভুলভাবে এই নির্দেশনাকে ব্যাখ্যা করে ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করেছে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করছে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কারণে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এবং পরবর্তী পদক্ষেপ:
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে যে, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সরকার পরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হলেও তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির লেনদেন অবরুদ্ধ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেন চালু রাখতে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতাসহ ব্যবসায়ীও রয়েছেন। বিএফআইইউ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে তাদের লেনদেন স্থগিত করেছে। তবে, ব্যবসায়িক গ্রুপ বা কোম্পানিগুলোর ওপর এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভুল সিদ্ধান্ত:
কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিএফআইইউ-এর নির্দেশনা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করে ফেলেছে, যা কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে বেতন পরিশোধ, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বাধা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণের ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে প্রভাব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ব্যক্তির ব্যক্তিগত লেনদেন স্থগিত হলেও তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোনো ব্যক্তি অনিয়মে জড়িত হলেও তার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন চালু রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থ পাচার ও ঋণ জটিলতা:
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিএফআইইউ-এর তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যেখানে অর্থ পাচার ও ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এসব ব্যক্তি দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে, কোনো কোম্পানির স্বাভাবিক লেনদেনে বাধা না দিয়ে কেবল ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
বিএফআইইউ-এর ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট ও সন্দেহজনক লেনদেনের ভিত্তিতে বিএফআইইউ ব্যক্তিগত ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা প্রদান করেছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক লেনদেন অবরুদ্ধ করা হয়নি।”
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভুলভাবে এই নির্দেশনাকে ব্যাখ্যা করে ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করেছে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি করছে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কারণে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা মোটেই কাম্য নয়।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এবং পরবর্তী পদক্ষেপ:
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে যে, কেবলমাত্র ব্যক্তিগত লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কোম্পানির দৈনন্দিন লেনদেন যেন বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।