এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ১৯.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম রিজার্ভ এত নিচে নামলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ গণনা করে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুসৃত মানদণ্ড। বিপিএম-৬ অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গ্রস বা মোট রিজার্ভ বর্তমানে ২৪.৫০ বিলিয়ন ডলার।
গত ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২০.৫৫ বিলিয়ন ডলার, এবং গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫.৬১ বিলিয়ন ডলার। তবে গত দুই বছর ধরে রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং ৫০ বিলিয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
মহামারী পরবর্তী সময়ে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভে চাপ তৈরি হয়।
গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে, যার ফলে রিজার্ভ আরও হ্রাস পায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব গ্রহণের পর জানিয়েছেন, তিনি রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, এতে রিজার্ভ আবার বাড়বে।
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ১৯.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম রিজার্ভ এত নিচে নামলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ গণনা করে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুসৃত মানদণ্ড। বিপিএম-৬ অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ নির্ধারণ করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গ্রস বা মোট রিজার্ভ বর্তমানে ২৪.৫০ বিলিয়ন ডলার।
গত ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২০.৫৫ বিলিয়ন ডলার, এবং গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫.৬১ বিলিয়ন ডলার। তবে গত দুই বছর ধরে রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং ৫০ বিলিয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।
মহামারী পরবর্তী সময়ে জ্বালানি ও খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভে চাপ তৈরি হয়।
গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে, যার ফলে রিজার্ভ আরও হ্রাস পায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব গ্রহণের পর জানিয়েছেন, তিনি রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, এতে রিজার্ভ আবার বাড়বে।