শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গাজীপুর ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মোট ২২৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১০৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে আশুলিয়ায়। আর ৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে গাজীপুরে।
হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধি, বেতনসহ, সমানুপাতিকহারে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কোথাও কোনো সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বৃহস্পতিবার জানান, সেখানকার ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সে সব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফেরেনি। এছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতিসহ কারখানা থেকে বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। বৃহস্পতিবারও আমরা বসেছিলাম, সেখানে ৬ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় একটি বড় কোম্পানি বেতন দিতে না পারার কারণে সেখানে অগ্নিকা-ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেসময় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলে ৭৯ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সেই বেল্টের ৪০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আজ সেজন্য শ্রমিক অসন্তোষ কম আছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপরও আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি শ্রম ভবনে বসবে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাবো, যে কোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন- সেগুলো সেখানে দেয়ার জন্য বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিটিতে শ্রমিক নেতারা আছেন, মালিকপক্ষ আছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী আছেন- যারা শ্রম আইন নিয়ে কাজ করেন। তাদের কাছে অভিযোগগুলো দিলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে এগুলো সমাধান করতে পারি সেজন্য মূলত আমাদের বর্তমান যে কমিটি তার বাইরে গিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করে দেবো। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারবো।’
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গাজীপুর ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে মোট ২২৭টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১০৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে আশুলিয়ায়। আর ৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে গাজীপুরে।
হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধি, বেতনসহ, সমানুপাতিকহারে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কোথাও কোনো সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।
শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বৃহস্পতিবার জানান, সেখানকার ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা মোতাবেক বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সে সব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফেরেনি। এছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতিসহ কারখানা থেকে বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে’ শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। বৃহস্পতিবারও আমরা বসেছিলাম, সেখানে ৬ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় একটি বড় কোম্পানি বেতন দিতে না পারার কারণে সেখানে অগ্নিকা-ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেসময় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলে ৭৯ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সেই বেল্টের ৪০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আজ সেজন্য শ্রমিক অসন্তোষ কম আছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপরও আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি শ্রম ভবনে বসবে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাবো, যে কোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন- সেগুলো সেখানে দেয়ার জন্য বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিটিতে শ্রমিক নেতারা আছেন, মালিকপক্ষ আছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী আছেন- যারা শ্রম আইন নিয়ে কাজ করেন। তাদের কাছে অভিযোগগুলো দিলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে এগুলো সমাধান করতে পারি সেজন্য মূলত আমাদের বর্তমান যে কমিটি তার বাইরে গিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করে দেবো। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারবো।’