সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো তুলনামূলক ভালো ব্যাংক থেকে ধার পেতে যাচ্ছে। আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংকগুলো। এর জন্য প্রথমে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে।
প্রাথমিকভাবে চুক্তি সইয়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো, বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে আট ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আপাতত তীব্র সংকটে পড়া পাঁচ ব্যাংককে প্রথম ধাপে তারল্য সহায়তা দেয়া হলেও আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি ব্যাংকগুলোকেও তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিতে অনুমিত দেয়ার তথ্য জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা বলেন, ‘পাঁচ ব্যাংক তারল্য সহায়তা পাবে। যেসব ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেগুলো সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊধ্বর্তন আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে চুক্তি সইয়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে বৃহস্পতিবার চিঠি দেয়া হয়েছে।’
এই ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সরকার পতনের পর এগুলোর পর্ষদ এস আলম মুক্ত করা হয়েছে। আগের পর্ষদ ভেঙে নতুনদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব ব্যাংকের বাইরে ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে। এ পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে আট ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘নানা অনিয়মে ধুকতে থাকা এই পাঁচ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। কারণ এসব ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট চলছে। আপাতত এসব ব্যাংক আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার পেলে গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারবে। তাতে তারল্য কিছুটা সংকট কাটবে।’
গত ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এস আলমের এসব শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোকে আগের সরকারের সময়কার গভর্নরের বিশেষ সুবিধায় দেয়া তারল্য সহায়তা বন্ধ করে দেন নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
এতে ব্যাংকগুলোতে তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়। অন্যদিকে অনিয়মের মাধ্যমে এস আলমের বিপুল ঋণ নেয়ার তথ্য সামনে এলে গ্রাহকরা এসব ব্যাংকে নতুন করে আমানত রাখতে দ্বিধায় পড়ে। এতে এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা চাহিদা মোতাবেক নগদ টাকা তুলতে না পেরে বিপাকে পড়েন।
এরপর গভর্নর আহসান মনসুর এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা যাতে টাকা তুলতে ও লেনদেন করতে পারেন সেজন্য আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয়ার নির্দেশনা দেন। এজন্য যেসব ব্যাংক টাকা ধার দেবে তাদের গ্যারান্টি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘তারল্য সংকটের বিষয়টি সব ব্যাংকে নয়, কিছু কিছু ব্যাংকে সমস্যা আছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে যাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সেই সব ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। বোর্ডের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে অনেক ঋণ দেয়া হয়েছে। আসলে অলিগার্করা ব্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আমরা গভর্নরের সঙ্গে পরামর্শ নিতে কাজ করছি এসব দুর্বল ব্যাংকে কীভাবে ঠিক করা যায়।’
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো তুলনামূলক ভালো ব্যাংক থেকে ধার পেতে যাচ্ছে। আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংকগুলো। এর জন্য প্রথমে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে।
প্রাথমিকভাবে চুক্তি সইয়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো, বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে আট ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আপাতত তীব্র সংকটে পড়া পাঁচ ব্যাংককে প্রথম ধাপে তারল্য সহায়তা দেয়া হলেও আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি ব্যাংকগুলোকেও তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিতে অনুমিত দেয়ার তথ্য জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা বলেন, ‘পাঁচ ব্যাংক তারল্য সহায়তা পাবে। যেসব ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেগুলো সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে অর্থ দেবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊধ্বর্তন আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে চুক্তি সইয়ের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে বৃহস্পতিবার চিঠি দেয়া হয়েছে।’
এই ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সরকার পতনের পর এগুলোর পর্ষদ এস আলম মুক্ত করা হয়েছে। আগের পর্ষদ ভেঙে নতুনদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব ব্যাংকের বাইরে ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে। এ পর্যন্ত বিশেষ ধার চেয়ে আট ব্যাংক চিঠি দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘নানা অনিয়মে ধুকতে থাকা এই পাঁচ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। কারণ এসব ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট চলছে। আপাতত এসব ব্যাংক আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার পেলে গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারবে। তাতে তারল্য কিছুটা সংকট কাটবে।’
গত ৫ আগস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। এস আলমের এসব শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোকে আগের সরকারের সময়কার গভর্নরের বিশেষ সুবিধায় দেয়া তারল্য সহায়তা বন্ধ করে দেন নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
এতে ব্যাংকগুলোতে তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হয়। অন্যদিকে অনিয়মের মাধ্যমে এস আলমের বিপুল ঋণ নেয়ার তথ্য সামনে এলে গ্রাহকরা এসব ব্যাংকে নতুন করে আমানত রাখতে দ্বিধায় পড়ে। এতে এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা চাহিদা মোতাবেক নগদ টাকা তুলতে না পেরে বিপাকে পড়েন।
এরপর গভর্নর আহসান মনসুর এসব ব্যাংকের গ্রাহকরা যাতে টাকা তুলতে ও লেনদেন করতে পারেন সেজন্য আন্তঃব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয়ার নির্দেশনা দেন। এজন্য যেসব ব্যাংক টাকা ধার দেবে তাদের গ্যারান্টি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘তারল্য সংকটের বিষয়টি সব ব্যাংকে নয়, কিছু কিছু ব্যাংকে সমস্যা আছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে যাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সেই সব ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। বোর্ডের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে অনেক ঋণ দেয়া হয়েছে। আসলে অলিগার্করা ব্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আমরা গভর্নরের সঙ্গে পরামর্শ নিতে কাজ করছি এসব দুর্বল ব্যাংকে কীভাবে ঠিক করা যায়।’