শিল্পখাতে নৈরাজ্য, অস্থিরতা, এবং উৎপাদনের স্থবিরতার মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তারা দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসও বৃদ্ধি করেছে।
এডিবি তাদের ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক, সেপ্টেম্বর ২০২৪’ প্রতিবেদনে জানায়, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে কোটা নিয়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সরকার পতনের কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ৮ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ও বাণিজ্য পরিস্থিতিতে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
বিশেষত পোশাক খাতের অস্থিরতা ও কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণে রপ্তানি আদেশ বাতিলের ঘটনা বাড়ছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার হার কমেছে, যা শিল্পখাতকে আরও দুর্বল করে তুলছে। শিল্প শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষও বাড়ছে, যার মধ্যে ওষুধ শিল্পে সমস্যার লক্ষণ দেখা গেছে।
ব্যাংকিং খাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে, কয়েকটি ব্যাংকে গ্রাহকরা বেতন উত্তোলন করতে পারছে না। বিদেশি সহায়তার সম্ভাবনা কম থাকায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রাজস্ব আদায়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক প্রকল্পকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করার পরিকল্পনা করছে।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিল্পখাতে নৈরাজ্য, অস্থিরতা, এবং উৎপাদনের স্থবিরতার মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তারা দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসও বৃদ্ধি করেছে।
এডিবি তাদের ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক, সেপ্টেম্বর ২০২৪’ প্রতিবেদনে জানায়, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
এর আগে, আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে কোটা নিয়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সরকার পতনের কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ৮ সেপ্টেম্বর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ও বাণিজ্য পরিস্থিতিতে উদ্বেগ রয়ে গেছে।
বিশেষত পোশাক খাতের অস্থিরতা ও কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণে রপ্তানি আদেশ বাতিলের ঘটনা বাড়ছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলার হার কমেছে, যা শিল্পখাতকে আরও দুর্বল করে তুলছে। শিল্প শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষও বাড়ছে, যার মধ্যে ওষুধ শিল্পে সমস্যার লক্ষণ দেখা গেছে।
ব্যাংকিং খাতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে, কয়েকটি ব্যাংকে গ্রাহকরা বেতন উত্তোলন করতে পারছে না। বিদেশি সহায়তার সম্ভাবনা কম থাকায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রাজস্ব আদায়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক প্রকল্পকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ও ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করার পরিকল্পনা করছে।