alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন

‘পুনঃতফসিলের কারণেই ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বেড়েছে’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতি উদার করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদার নীতির কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।

রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যাংকগুলো সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। তা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুনঃতফসিল করা অঙ্ক এক বছর হিসাবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০২৩ সালে শেষে ব্যাংক খাতের পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। একই সময়ে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।

গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ব্যাংকগুলো ৫২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করে। পরের বছর ২০২০ সালে পুনঃতফসিল কম হয়। ওই বছর খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয় ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ২০২১ সালে করা হয় ২৬ হাজার ১১০ কোটি, ২০২২ সালে ৬৩ হাজার ৭২০ কোটি এবং ২০২৩ সালে ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পুনঃতফসিল ঋণ বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় ব্যাংকগুলো ৭১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করেছে। সব মিলিয়ে গত বছরের শেষে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মোট ঋণের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ।

২০২৩ শেষে মোট অনাদায়ি ঋণ ছিল ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।

গত বছর পুনঃতফসিল ঋণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকেও দায়ী করা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে গত বছরের শেষ দিকে অনেক প্রার্থীই তাদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত হন। বছর শেষে নিজেদের আর্থিক হিসাব ভালো দেখাতেও শেষ প্রান্তিকে অনেক খেলাপি গ্রাহকের ঋণ উদার হস্তে নবায়ন করে ব্যাংকগুলো।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হয়। যথাসময়ে ঋণ নবায়ন না হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যায় না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সে সময় বাছবিচার ছাড়াই বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। আবার ২০২২ সালের জুলাইয়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের পুরো ক্ষমতাই ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালাও শিথিল করা হয়।’

ছবি

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ফুডপ্যান্ডা’র কর্মশালা

ছবি

শুরু হলো লিফট এন্ড এস্কেলেটর এর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ২০২৪

ছবি

কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ৬৪ কেজি পাখি মাছ

ছবি

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি কমে হতে পারে ৪ শতাংশ

ছবি

বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেস ২০২৪ অনুষ্ঠিত

ছবি

ইবিএল ও মাস্টারকার্ডের সাথে কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড নিয়ে এলো বাংলালিংক

ছবি

আইসিএসবি কর্পোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার

ছবি

বাজারে স্যামসাংয়ের পরিবেশবান্ধব এসি ও রেফ্রিজারেটর

ছবি

আগামী দুই বছর শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি

ছবি

ব্যাংক বন্ধ আজ

মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরীক্ষামূলক চালু: পরবর্তী সপ্তাহেই যাত্রী পরিবহন শুরু হতে পারে

ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে বাক্কো

ছবি

আইসিএসবি করপোরেট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইউপিজিডিসিএল

ছবি

স্পিড-বেইসড লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করলো গ্রামীণফোন

ছবি

ইউরোমানি সিকিউরিটিজ হাউসেস অ্যাওয়ার্ডস জিতলো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড

ছবি

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ উদ্বোধন

ছবি

দেশের বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়াতে ৪.৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভোমরা স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ৯ দিন বন্ধ

ছবি

ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের পুনরায় সুপারিশ

ছবি

শ্রমিক বেতন পরিশোধে সুদবিহীন ঋণের দাবি বিজিএমইএর

ছবি

জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠন: নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ

ছবি

গভীর সমুদ্রবন্দরের ব্যয় বাড়ানো হলো ৬ হাজার পাঁচশ ৭৩ কোটি টাকা

ছবি

সিঙ্গার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনে বিকাশ পেমেন্টে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক

ছবি

কার্ড টু বিকাশ অ্যাড মানিঃ ক্যাশলেস লেনদেনে ‘স্বাচ্ছন্দ্য’

ছবি

সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ছবি

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরুদ্ধ

ছবি

শেয়ারবাজারে ফের ঢালাও দরপতন

ছবি

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ছবি

নগদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আনলে ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস

ছবি

কারখানায় যেতে ভয় লাগে, বললেন প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী

ছবি

লভ্যাংশ বিতরণে অনিয়ম, ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডিকে তলব

ছবি

নতুন নোট ছাপাবে অন্তর্বর্তী সরকার, থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি

ফরিদপুরে ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ও জরিমানা

ছবি

তেলের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ৯ শতাংশ

ছবি

মেয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে খুলনায় স্টেম ফেস্ট অনুষ্ঠিত

ছবি

বাজারে নতুন স্মার্টফোন হেলিও ৯০

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন

‘পুনঃতফসিলের কারণেই ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বেড়েছে’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতি উদার করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদার নীতির কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।

রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যাংকগুলো সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। তা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুনঃতফসিল করা অঙ্ক এক বছর হিসাবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০২৩ সালে শেষে ব্যাংক খাতের পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। একই সময়ে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা।

গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ব্যাংকগুলো ৫২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করে। পরের বছর ২০২০ সালে পুনঃতফসিল কম হয়। ওই বছর খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয় ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। ২০২১ সালে করা হয় ২৬ হাজার ১১০ কোটি, ২০২২ সালে ৬৩ হাজার ৭২০ কোটি এবং ২০২৩ সালে ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পুনঃতফসিল ঋণ বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় ব্যাংকগুলো ৭১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করেছে। সব মিলিয়ে গত বছরের শেষে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মোট ঋণের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ।

২০২৩ শেষে মোট অনাদায়ি ঋণ ছিল ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।

গত বছর পুনঃতফসিল ঋণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকেও দায়ী করা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে গত বছরের শেষ দিকে অনেক প্রার্থীই তাদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত হন। বছর শেষে নিজেদের আর্থিক হিসাব ভালো দেখাতেও শেষ প্রান্তিকে অনেক খেলাপি গ্রাহকের ঋণ উদার হস্তে নবায়ন করে ব্যাংকগুলো।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হয়। যথাসময়ে ঋণ নবায়ন না হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যায় না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সে সময় বাছবিচার ছাড়াই বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। আবার ২০২২ সালের জুলাইয়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের পুরো ক্ষমতাই ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালাও শিথিল করা হয়।’

back to top