alt

অর্থ-বাণিজ্য

নাবিল গ্রুপের এমডির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঋণ কেলেঙ্কারিতে আলোচিত রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, তার বাবা-মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

সোমবার বিএফআইইউর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক ব্যাংকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ -এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম, তার বাবা জাহান বকস মণ্ডল, মা আনুয়ারা বেগম, স্ত্রী ইসরাত জাহান, ছেলে এজাজ আবরার এবং মেয়ে আফরাত ইবনাথের ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তা জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তার তথ্য (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) পাঠানোর অনুরোধ করেছে বিএফআইইউ।

ইসলামী ব্যাংক আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ঋণ কেলেঙ্কারিতে রাজশাহীভিত্তিক নাবিল গ্রুপের নাম আসে। এই গ্রুপ নিয়ম ভেঙে নামে-বেনামে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা আলোচিত নাবিল গ্রুপকে নামে ও ভিন্ন নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান এবং রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি শাখা থেকে। নিয়ম ভেঙে গ্রুপটিকে বিশেষ সুবিধায় সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করেছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপ দুইভাবে ঋণ নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ঋণ, আরেকটি হল পরোক্ষ ঋণ।

প্রত্যক্ষ ঋণগুলো নাবিলের গ্রুপভুক্ত কোম্পানির নামে হলেও পরোক্ষ ঋণগুলো কাগজে কলমে অন্য কোম্পানির নামে নেওয়া হয়েছে। তবে পরোক্ষভাবে ঋণগুলো ওই সময় নাবিল গ্রুপকেই দেওয়া হয়। এসব কোম্পানি ভিন্ন কয়েকটি শাখা থেকে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এক্ষেত্রেও ব্যাংকের একক ঋণ সীমার নিয়ম নীতি মানা হয়নি।

আর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। একক ঋণ সীমার নিয়ম এক্ষেত্রেও মানা হয়নি।

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

ছবি

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

ছবি

কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হয়রানি দূর করার দাবি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

নাবিল গ্রুপের এমডির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঋণ কেলেঙ্কারিতে আলোচিত রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, তার বাবা-মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

সোমবার বিএফআইইউর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক ব্যাংকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ -এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী আমিনুল ইসলাম, তার বাবা জাহান বকস মণ্ডল, মা আনুয়ারা বেগম, স্ত্রী ইসরাত জাহান, ছেলে এজাজ আবরার এবং মেয়ে আফরাত ইবনাথের ব্যক্তিগত হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে পরিচালিত হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার পাশাপাশি তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তা জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তার তথ্য (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) পাঠানোর অনুরোধ করেছে বিএফআইইউ।

ইসলামী ব্যাংক আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর ঋণ কেলেঙ্কারিতে রাজশাহীভিত্তিক নাবিল গ্রুপের নাম আসে। এই গ্রুপ নিয়ম ভেঙে নামে-বেনামে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন ও ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা আলোচিত নাবিল গ্রুপকে নামে ও ভিন্ন নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান এবং রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি শাখা থেকে। নিয়ম ভেঙে গ্রুপটিকে বিশেষ সুবিধায় সীমার অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করেছে ব্যাংকটি।

ইসলামী ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ও সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাবিল গ্রুপ দুইভাবে ঋণ নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা সরাসরি ঋণ, আরেকটি হল পরোক্ষ ঋণ।

প্রত্যক্ষ ঋণগুলো নাবিলের গ্রুপভুক্ত কোম্পানির নামে হলেও পরোক্ষ ঋণগুলো কাগজে কলমে অন্য কোম্পানির নামে নেওয়া হয়েছে। তবে পরোক্ষভাবে ঋণগুলো ওই সময় নাবিল গ্রুপকেই দেওয়া হয়। এসব কোম্পানি ভিন্ন কয়েকটি শাখা থেকে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এক্ষেত্রেও ব্যাংকের একক ঋণ সীমার নিয়ম নীতি মানা হয়নি।

আর নাবিল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। একক ঋণ সীমার নিয়ম এক্ষেত্রেও মানা হয়নি।

back to top