প্রথম প্রান্তিকে ঋণ প্রতিশ্রুতি ৯৯ শতাংশ কম, রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রকল্প কার্যক্রম ব্যাহত
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে গেছে। একই সময়ে ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে রয়েছে, পরিশোধ করা হয়েছে ছাড় পাওয়া অর্থের চেয়েও বেশি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই প্রান্তিকে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার ঋণ ছাড় হয়েছে, যেখানে আগের অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এর বিপরীতে, বাংলাদেশ ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করেছে, যা ছাড় পাওয়া অর্থের চেয়ে প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি।
এর আগে এমন চিত্র দেখা যায়নি, কারণ সাধারণত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ অর্থ ছাড়ের তুলনায় কম থাকে। তবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কোটা আন্দোলনের প্রভাবে দেশি-বিদেশি প্রকল্প কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা অর্থ ছাড়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, ঋণ ছাড় কমার পাশাপাশি বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণও নজিরবিহীনভাবে কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে এই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ২৮৮ কোটি ৫ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমে আরও চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রথম প্রান্তিকে ঋণ প্রতিশ্রুতি ৯৯ শতাংশ কম, রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রকল্প কার্যক্রম ব্যাহত
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে গেছে। একই সময়ে ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে রয়েছে, পরিশোধ করা হয়েছে ছাড় পাওয়া অর্থের চেয়েও বেশি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই প্রান্তিকে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার ঋণ ছাড় হয়েছে, যেখানে আগের অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এর বিপরীতে, বাংলাদেশ ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করেছে, যা ছাড় পাওয়া অর্থের চেয়ে প্রায় ২৮ কোটি ডলার বেশি।
এর আগে এমন চিত্র দেখা যায়নি, কারণ সাধারণত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ অর্থ ছাড়ের তুলনায় কম থাকে। তবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কোটা আন্দোলনের প্রভাবে দেশি-বিদেশি প্রকল্প কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা অর্থ ছাড়ে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, ঋণ ছাড় কমার পাশাপাশি বিদেশি ঋণের নতুন প্রতিশ্রুতির পরিমাণও নজিরবিহীনভাবে কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে এই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ২৮৮ কোটি ৫ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমে আরও চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।