আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে এবং দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তা আগের অবস্থানে ফিরতে পারেনি। গত ২২ দিনে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তা ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব। গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আইএমএফের নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, নিট রিজার্ভের হিসাব করতে গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের চারদিন আগে, ৩০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার হিসেবে জানিয়েছিল, যা ২১ আগস্ট পর্যন্ত একই ছিল। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর ১২ সেপ্টেম্বর তা কমে ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে এবং ২ অক্টোবর তা কিছুটা বাড়লেও এখনও ২০ বিলিয়নের নিচেই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন যে, রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়লেও সরকারি এলসি খোলার কারণে ডলার বিক্রি হওয়ায় রিজার্ভ খুব বেশি বাড়েনি।
মহামারীর সময় ২০২০ সালে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং ৫০ বিলিয়নের মাইলফলকের কাছাকাছি ছিল। তবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সাল থেকে রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকে। গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছিল, যা রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিলেও রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে এবং দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তা আগের অবস্থানে ফিরতে পারেনি। গত ২২ দিনে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তা ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব। গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আইএমএফের নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী, নিট রিজার্ভের হিসাব করতে গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের চারদিন আগে, ৩০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার হিসেবে জানিয়েছিল, যা ২১ আগস্ট পর্যন্ত একই ছিল। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর ১২ সেপ্টেম্বর তা কমে ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে এবং ২ অক্টোবর তা কিছুটা বাড়লেও এখনও ২০ বিলিয়নের নিচেই রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন যে, রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়লেও সরকারি এলসি খোলার কারণে ডলার বিক্রি হওয়ায় রিজার্ভ খুব বেশি বাড়েনি।
মহামারীর সময় ২০২০ সালে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং ৫০ বিলিয়নের মাইলফলকের কাছাকাছি ছিল। তবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সাল থেকে রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকে। গত দুই অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছিল, যা রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিলেও রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি।