alt

অর্থ-বাণিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার, দ্রুত অপসারণের তাগিদ

বিপজ্জনক ৩৩৪ কন্টেইনারের মধ্যে ৪৮টি দ্রুত ধ্বংসের প্রয়োজন, বিশেষ পরিকল্পনার উদ্যোগ শুল্ক বিভাগের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে বহু বছর ধরে সংরক্ষিত বিপজ্জনক রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনারগুলোর কারণে নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৩৩৪টি কন্টেইনারের মধ্যে ৪৮টি কন্টেইনার অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বন্দরের কর্মকর্তারা। এ বিষয়টি নিয়ে বন্দরের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কন্টেইনার অপসারণে একটি বিশেষ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর বিভিন্ন পণ্য সংরক্ষণে দেশের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ৫৩ হাজার ৫১৮ ইউনিট কন্টেইনার ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, থিনার, সোডিয়াম সালফেট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং এজেন্টসহ বিভিন্ন দাহ্য রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার পড়ে রয়েছে। কিছু কন্টেইনার প্রায় ২২ বছর ধরে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এসব কন্টেইনারের মধ্যে ২৮৭টি নিলামে তোলা সম্ভব হলেও অবশিষ্ট ৪৮টি কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পণ্যগুলো ধ্বংস করতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, দাহ্য পদার্থ ভর্তি এসব কন্টেইনার দীর্ঘদিন ধরে রাখা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। দ্রুত এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “কাস্টম কমিশনারকে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। কয়েকদিন আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তাঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আর যে সব কন্টেইনার অকশন হবে না, সে সব যেন দ্রুত ধ্বংস করা হয়। বন্দর যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে।”

শুল্ক বিভাগও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কন্টেইনার ধ্বংস করতে হবে, সেগুলোর বিষয়ে বন্দরের সহযোগিতায় বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, যেসব কন্টেইনার নিলামযোগ্য, সেগুলোর নিলাম কার্যক্রমও দ্রুত শুরু করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “বিপজ্জনক পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পর্যায়ের একটি আলোচনা চলছে। তাঁরা সম্মত হয়েছেন যে, তাঁদের কারিগরি সহযোগিতায় আমরা এসব ধ্বংস করার ব্যবস্থা করছি। পুরো কার্যক্রম শেষ হলে আমরা এসব কন্টেইনার তাঁদের কাছে হস্তান্তর করব।”

গত সপ্তাহে প্রায় ১৪ বছরের পুরনো বিপজ্জনক পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও শুল্ক কর্মকর্তারা জানান।

বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং শুল্ক বিভাগের সম্মিলিত উদ্যোগে বিপজ্জনক রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার দ্রুত অপসারণ করা গেলে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা সংকট হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছবি

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে নতুন শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’ আলোচনার দরজা খোলা

ছবি

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে, ভারত ছয় নম্বরে

পাঁচ কার্যদিবসে বিদেশি ও প্রবাসী বিও হিসাব কমেছে প্রায় পাঁচশ’

সূচকের উত্থানে সপ্তাহ শুরু, লেনদেন ৫৭৩ কোটি

ছবি

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আদিল চৌধুরী

ছবি

খাদ্যপণ্যের দাম কমায় স্বস্তি, জুনে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৪৮%

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে গড় ব্যয় ৩০ পয়সা

রিটার্ন জমায় যেসব খাতে মিলবে করছাড়

ছবি

সেলসফোর্স বাজারে আনল এজেন্টফোর্স ৩ এআই এজেন্ট পরিচালনায় সহজ সমাধান

ছবি

আড়াই মাস পর ডিএসইএক্স ছুঁই ছুঁই পাঁচ হাজারের কাছে

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর: বিদেশি অপারেটর আসার আগে এনসিটির ভার নিল ড্রাইডক

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার, দ্রুত অপসারণের তাগিদ

বিপজ্জনক ৩৩৪ কন্টেইনারের মধ্যে ৪৮টি দ্রুত ধ্বংসের প্রয়োজন, বিশেষ পরিকল্পনার উদ্যোগ শুল্ক বিভাগের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে বহু বছর ধরে সংরক্ষিত বিপজ্জনক রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনারগুলোর কারণে নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৩৩৪টি কন্টেইনারের মধ্যে ৪৮টি কন্টেইনার অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বন্দরের কর্মকর্তারা। এ বিষয়টি নিয়ে বন্দরের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কন্টেইনার অপসারণে একটি বিশেষ পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর বিভিন্ন পণ্য সংরক্ষণে দেশের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ৫৩ হাজার ৫১৮ ইউনিট কন্টেইনার ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, থিনার, সোডিয়াম সালফেট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং এজেন্টসহ বিভিন্ন দাহ্য রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার পড়ে রয়েছে। কিছু কন্টেইনার প্রায় ২২ বছর ধরে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এসব কন্টেইনারের মধ্যে ২৮৭টি নিলামে তোলা সম্ভব হলেও অবশিষ্ট ৪৮টি কন্টেইনারে থাকা রাসায়নিক পণ্যগুলো ধ্বংস করতে হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, দাহ্য পদার্থ ভর্তি এসব কন্টেইনার দীর্ঘদিন ধরে রাখা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। দ্রুত এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, “কাস্টম কমিশনারকে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। কয়েকদিন আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তাঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। আর যে সব কন্টেইনার অকশন হবে না, সে সব যেন দ্রুত ধ্বংস করা হয়। বন্দর যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে।”

শুল্ক বিভাগও এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কন্টেইনার ধ্বংস করতে হবে, সেগুলোর বিষয়ে বন্দরের সহযোগিতায় বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, যেসব কন্টেইনার নিলামযোগ্য, সেগুলোর নিলাম কার্যক্রমও দ্রুত শুরু করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “বিপজ্জনক পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পর্যায়ের একটি আলোচনা চলছে। তাঁরা সম্মত হয়েছেন যে, তাঁদের কারিগরি সহযোগিতায় আমরা এসব ধ্বংস করার ব্যবস্থা করছি। পুরো কার্যক্রম শেষ হলে আমরা এসব কন্টেইনার তাঁদের কাছে হস্তান্তর করব।”

গত সপ্তাহে প্রায় ১৪ বছরের পুরনো বিপজ্জনক পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও শুল্ক কর্মকর্তারা জানান।

বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং শুল্ক বিভাগের সম্মিলিত উদ্যোগে বিপজ্জনক রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার দ্রুত অপসারণ করা গেলে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা সংকট হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

back to top