alt

অর্থ-বাণিজ্য

অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: দ্রব্যমূল্যের উল্টো যাত্রা

আমিরুল মোমিনিন সাগর : শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে বাড়ছিল নিত্যপণ্যের দাম। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলো। নতুন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল এবার ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙবে পণ্যের দাম কমবে। তবে, বর্তমান সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও না কমে উল্টো বেড়েছে। বাজারে পণ্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতি দেখে ক্রেতারা হতাশ। তারা বলছেন, ‘আগের থেকে দাম (পণ্যের) আরও বাড়ছে!’ বিক্রেতা বলছেন, ‘বাড়ছে বাড়ছে, দাম বাড়ছে!’ আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মানুষের কষ্ট বাড়ছে! একটা বিহিত ব্যবস্থা করা উচিত।’ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর গত তিন মাসের ঢাকা মহানগরীর বাজার দরের তালিকার ১০টি পণ্যের দর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও প্রায় পণ্যের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি আড়ত থেকে এক পাল্লা আলু কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন। আলু কতো দরে কিনলেন? এমন প্রশ্নে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এক পাল্লা (৫ কেজি) ৩৫০ টাকা (প্রতি কেজি ৭০ টাকা)। করার কিছু নাই, খাতি হবে তো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের থেকে দাম (পণ্যের) আরও বাড়ছে! আগে এতো ছিল না। চালের দাম বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বাড়িছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৬০ টাকা।’

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, ‘এ দেশে আর কি হবে? আর হওয়ার কিছু নাই। গরীবের ভাগ্যে যা আছে, তাই হবে। আগে সাত হাজার টাকা বেতন দিয়া চলতে পারছি, এখন পঁচিশ-ত্রিশ হাজার টাকা দিয়াও চলতে পারছি না; আরও দেনা হচ্ছে। এছাড়া করার কিছু নাই।’

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারী উভয় বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। রাজধানির খুচরা বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে স্থান ও জাতভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে পাইকারীতে বস্তা হিসেবে দেশি ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা আর মানভেদে প্রতিপাল্লা আলু ৩৫০ (প্রতি কেজি ৭০) টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারীতে বিক্রি হয়েছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়।

আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে কথা হয় কারওয়ান বাজার পাইকারী আড়ত বিক্রমপুর ভা-ারের বিক্রেতা ওহিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার জীবনেও দেখি নাই, আলুর এতো দাম! ৪০ বছর রানিং (আলু ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত)।’

পেঁয়াজের ঝাঁজ এখনও কমেনি। খুচরা বাজারে জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা আর আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকায়।

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। খুচরা বাজারে মান ও স্থান ভেদে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা, মিনিকেট নামক চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দরদামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চালের পইকারী আড়ত তিতাস এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আবদুল মতিনের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘৫০ কেজি ওজনের ১ বস্তা বিআর-২৮ জাতের চাল ৩০০০ থেকে ৩১০০ টাকা (প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা)। একই ওজনের ১ বস্তা মিনিকেট চাল ৩৪০০শ থেকে ৩৫০০শ টাকা (প্রতিকেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা)। আর গুটি স্বর্ণা ১ বস্তা ২৪০০-২৬০০শ টাকা (প্রতি কেজি ৪৮-৫২ টাকা)।’

গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে কি চালের দাম বেড়েছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ বাড়ছে বাড়ছে, কেজিতে ১-২ টাকা বাড়ছে।’ দাম কমাবাড়ার বিষিয়ে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমদানি না হবে, সাপ্লাই না বাড়বে ততক্ষণ দাম পর্যন্ত কমবে না।’

শুক্রবার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। গত সপ্তাহের ন্যায় এ সপ্তাহেও মুলা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ টাকায়। বাজারে ১ কেজি মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, গোলাপী রঙয়ের গোল বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা-পটল-ঝিঙা-চিচিঙ্গা-ভেন্ডি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া ৪শ থেকে ৫শ গ্রাম ওজনের এক পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, একপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এক প্রশ্নের জবাবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান সংবাদকে বলেন, ‘মানুষের কষ্ট বাড়ছে, এটা তো অস্বীকার করার উপাই নাই। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এমনকি আমাদের মতো মধ্যবিত্তরাও হিমসিম খাচ্ছি। এটার একটা বিহিত ব্যবস্থা করা উচিত। বর্তমান যারা আছেন, তারা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন কিন্তু তার প্রতিফলন/প্রভাব বাজারে পড়ছে না। আরও জোরালো পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তাহলে মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।’

‘দাম বৃদ্ধির কারণ একমাত্র সিন্ডিকেট নয় বলে আমার মনে হয়। আরও অনেক কারণ আছে,’ বলেও মনে করেন তিনি।

রাণীনগরে ন্যায্যমূল্যের দোকান : স্বল্প আয়ের মানুষের স্বস্তি

ছবি

পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির ঘটনায় ১১৫ কোটি টাকা জরিমানা

ছবি

মূল্যস্ফীতির চাপে নিত্যপণ্যের বাজার, খাদ্যদ্রব্যে ১৩.৮০% মূল্যবৃদ্ধি

আইএমএফ-এর অধিকাংশ শর্ত পূরণ, চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় ফেব্রুয়ারিতে

এইচআর ম্যানেজমেন্টে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে ‘ট্যালেন্ট লেন্স হাব’

ছবি

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার প্রসারে টিকটকের কর্মশালা

ছবি

৫-৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে রুয়েট সাইবার ফেস্ট ২০২৪

থ্রি মিলিয়ন ক্লাবে প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং

ছবি

চার ধরনের নতুন নোট আসছে, নকশায় যুক্ত হবে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি

ছবি

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

দুই বছরের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার সুপারিশ

ছবি

২৮ উপায়ে ‘দুর্নীতি’, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ‘পাচার’

ছবি

বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাক্কো ও বিটিআরসি যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

বেসিস ও এনআরবি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ছবি

মুক্তাগাছায় ২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এডিবির অর্থায়ন

শ্বেতপত্র কমিটি: দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি, দেশ থেকে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা

ছবি

ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার বাড়ছে, জানুয়ারি থেকে কার্যকর

ছবি

ব্যাংক খাতের সংকট: দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ১০ ব্যাংক

ছবি

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

ছবি

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

ছবি

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি ব্লুবুক ২০২৪ প্রকাশ

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ছবি

প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ

ছবি

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

ছবি

সবজি-পেঁয়াজের দাম কমেছে, নাগালে আসছে নতুন আলুও

ছবি

ন্যায়সংগত সমাজ গঠনে গভীর সংস্কার প্রয়োজন: রেহমান সোবহান

ছবি

একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ওপাস কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের যাত্রা শুরু

ছবি

পিএমআই বাংলাদেশের পুরস্কার পেল বাংলালিন্ক

২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করলো এয়ার এ্যাস্ট্রা

দেশে বিওয়াইডির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি

বেক্সিমকো শিল্প পার্কে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

ছবি

অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি

ছবি

মেডিকেল প্রফেশনালদের জন্য কো-ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট কার্ড চালু

ছবি

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আইসিসিবি’র কর্মশালা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস: দ্রব্যমূল্যের উল্টো যাত্রা

আমিরুল মোমিনিন সাগর

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে বাড়ছিল নিত্যপণ্যের দাম। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলো। নতুন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল এবার ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙবে পণ্যের দাম কমবে। তবে, বর্তমান সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও না কমে উল্টো বেড়েছে। বাজারে পণ্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতি দেখে ক্রেতারা হতাশ। তারা বলছেন, ‘আগের থেকে দাম (পণ্যের) আরও বাড়ছে!’ বিক্রেতা বলছেন, ‘বাড়ছে বাড়ছে, দাম বাড়ছে!’ আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মানুষের কষ্ট বাড়ছে! একটা বিহিত ব্যবস্থা করা উচিত।’ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর গত তিন মাসের ঢাকা মহানগরীর বাজার দরের তালিকার ১০টি পণ্যের দর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও প্রায় পণ্যের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার পাইকারি আড়ত থেকে এক পাল্লা আলু কিনে ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন। আলু কতো দরে কিনলেন? এমন প্রশ্নে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এক পাল্লা (৫ কেজি) ৩৫০ টাকা (প্রতি কেজি ৭০ টাকা)। করার কিছু নাই, খাতি হবে তো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগের থেকে দাম (পণ্যের) আরও বাড়ছে! আগে এতো ছিল না। চালের দাম বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বাড়িছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৬০ টাকা।’

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, ‘এ দেশে আর কি হবে? আর হওয়ার কিছু নাই। গরীবের ভাগ্যে যা আছে, তাই হবে। আগে সাত হাজার টাকা বেতন দিয়া চলতে পারছি, এখন পঁচিশ-ত্রিশ হাজার টাকা দিয়াও চলতে পারছি না; আরও দেনা হচ্ছে। এছাড়া করার কিছু নাই।’

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা ও পাইকারী উভয় বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। রাজধানির খুচরা বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে স্থান ও জাতভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে পাইকারীতে বস্তা হিসেবে দেশি ডায়মন্ড/কাডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা আর মানভেদে প্রতিপাল্লা আলু ৩৫০ (প্রতি কেজি ৭০) টাকা। গত সপ্তাহে পাইকারীতে বিক্রি হয়েছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়।

আলুর দাম বাড়ার বিষয়ে কথা হয় কারওয়ান বাজার পাইকারী আড়ত বিক্রমপুর ভা-ারের বিক্রেতা ওহিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার জীবনেও দেখি নাই, আলুর এতো দাম! ৪০ বছর রানিং (আলু ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত)।’

পেঁয়াজের ঝাঁজ এখনও কমেনি। খুচরা বাজারে জাতভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা আর আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকায়।

চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। খুচরা বাজারে মান ও স্থান ভেদে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা, মিনিকেট নামক চাল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দরদামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট চালের পইকারী আড়ত তিতাস এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আবদুল মতিনের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘৫০ কেজি ওজনের ১ বস্তা বিআর-২৮ জাতের চাল ৩০০০ থেকে ৩১০০ টাকা (প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা)। একই ওজনের ১ বস্তা মিনিকেট চাল ৩৪০০শ থেকে ৩৫০০শ টাকা (প্রতিকেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা)। আর গুটি স্বর্ণা ১ বস্তা ২৪০০-২৬০০শ টাকা (প্রতি কেজি ৪৮-৫২ টাকা)।’

গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে কি চালের দাম বেড়েছে? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ বাড়ছে বাড়ছে, কেজিতে ১-২ টাকা বাড়ছে।’ দাম কমাবাড়ার বিষিয়ে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমদানি না হবে, সাপ্লাই না বাড়বে ততক্ষণ দাম পর্যন্ত কমবে না।’

শুক্রবার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। গত সপ্তাহের ন্যায় এ সপ্তাহেও মুলা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ টাকায়। বাজারে ১ কেজি মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, গোলাপী রঙয়ের গোল বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা-পটল-ঝিঙা-চিচিঙ্গা-ভেন্ডি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া ৪শ থেকে ৫শ গ্রাম ওজনের এক পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, একপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এক প্রশ্নের জবাবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান সংবাদকে বলেন, ‘মানুষের কষ্ট বাড়ছে, এটা তো অস্বীকার করার উপাই নাই। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এমনকি আমাদের মতো মধ্যবিত্তরাও হিমসিম খাচ্ছি। এটার একটা বিহিত ব্যবস্থা করা উচিত। বর্তমান যারা আছেন, তারা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন কিন্তু তার প্রতিফলন/প্রভাব বাজারে পড়ছে না। আরও জোরালো পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তাহলে মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।’

‘দাম বৃদ্ধির কারণ একমাত্র সিন্ডিকেট নয় বলে আমার মনে হয়। আরও অনেক কারণ আছে,’ বলেও মনে করেন তিনি।

back to top