alt

অর্থ-বাণিজ্য

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জাহাজ কিছুটা কম এলেও দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কন্টেইনার ওঠানামা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ; তবে কমেছে কার্গোতে আনা পণ্যের পরিমাণ।

জাহাজ আসার সংখ্যা ও কার্গো হ্যান্ডলিং কিছুটা কম হলেও কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমে আসাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, অগাস্ট মাসের আগে- পরে যে অস্থিরতা ছিল সেটি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এটা ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাহাজ আসার সংখ্যা কম মানে আমদানি-রপ্তানি কম তা ঠিক নয়। আগে যেখানে ছোট আকারের জাহাজে ১২০০ থেকে ১৫০০ মতো কন্টেইনার আসতো সেখানে একটু বড় আকারের জাহাজে করে ২০০০ পর্যন্ত কন্টেইনার আসছে। এ অগ্রগতির ধারাবাহিকতা কতটুকু থাকছে তা নতুন বছরের শুরুতে আরও পরিষ্কার হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে আমদানি ও রপ্তানি মিলিয়ে বন্দরে ওঠানামা হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৯১৭ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের হিসেবে) কন্টেইনার।

২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৭ টিইইউস। এ হিসাবে ৭১ হাজার ১৬০টি কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে; শতকরা হিসাবে বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০২২ সালের একই সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৯ টিইইউস।

এ বছরের জুলাইয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ টিইইউস, অগাস্টে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৬৯ টিইইউস, সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ টিইইউস ও অক্টোবরে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়।

অপরদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো (খোলা পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের এ সময়ে যা ছিল ৪ কোটি ৬ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩ টন। কার্গো হ্যান্ডলিং কমেছে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ টন। ২০২২ সালে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬২ টন।

চট্টগ্রাম বন্দরে গত চার মাসে জাহাজ এসেছে ১২৮১টি, যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ১৬১টি কম। ২০২৩ সালের এ সময়ে এসেছিল ১৩৯২টি। ২০২২ সালের একই সময়ে বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা ছিল ১৪৬০টি।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, অতীতে যে সংকট ছিল তা কাটিয়ে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর। এর প্রমাণ গত চার মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় বন্দরে জমে থাকা কন্টেইনারের সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

তিনি বলেন, বন্দরে জাহাজ কম এলেও সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। কারণ অতীতে কিছুটা ছোট জাহাজে কম কন্টেইনার আসত। এখন বড় জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারছে। সেসব জাহাজ বেশি সংখ্যক কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রামে আসছে।

কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অগ্রগতির সূচক নির্দেশ করে বলে মনে করেন বন্দর সচিব।

গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানও আন্দোলন পরবর্তী সময়ে তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউস, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউস বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৬ জুলাই পড়ে থাকা কন্টেইনার ছিল সাড়ে ৪৫ হাজার, যা ধারণক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ। গত তিন মাসে তা কমে ৩৪ হাজারে নেমে এসেছে। এছাড়া বন্দরে জাহাজের গড় অপেক্ষমান সময়ও কমে একদিনে নেমে এসেছে।

জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকালও এক থেকে দেড় দিনে নেমে এসেছে। বন্দরে এলেই সঙ্গে সঙ্গে বার্থিং পাওয়ার তথ্য দেন বন্দর সচিব।

প্রযুক্তির ব্যবহার ৫০ শতাংশ বাড়লে চাকরি হারাতে পারেন ১৮ লাখ মানুষ: বিআইডিএস

ছবি

বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং দেশে ব্যবসার সুযোগ বৃদ্ধি করতে সহযোগি হবে ফিকি

ছবি

নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের বেশিরভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস

ছবি

জ্বালানির আমদানি নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব উৎস ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে মনোনিবেশের আহ্বান

ছবি

চামচা পুঁজিবাদের বিকাশ থেকে অগণতান্ত্রিক মনোভাব তৈরি হয়েছে : রেহমান সোবহান

ছবি

উবার বাংলাদেশের ৮ বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি

করপোরেট গভর্নেন্সে স্বীকৃতি পেল বিএটি বাংলাদেশ

রাণীনগরে ন্যায্যমূল্যের দোকান : স্বল্প আয়ের মানুষের স্বস্তি

ছবি

পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজির ঘটনায় ১১৫ কোটি টাকা জরিমানা

ছবি

মূল্যস্ফীতির চাপে নিত্যপণ্যের বাজার, খাদ্যদ্রব্যে ১৩.৮০% মূল্যবৃদ্ধি

আইএমএফ-এর অধিকাংশ শর্ত পূরণ, চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় ফেব্রুয়ারিতে

এইচআর ম্যানেজমেন্টে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে ‘ট্যালেন্ট লেন্স হাব’

ছবি

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার প্রসারে টিকটকের কর্মশালা

ছবি

৫-৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে রুয়েট সাইবার ফেস্ট ২০২৪

থ্রি মিলিয়ন ক্লাবে প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিং

ছবি

চার ধরনের নতুন নোট আসছে, নকশায় যুক্ত হবে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি

ছবি

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

দুই বছরের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার সুপারিশ

ছবি

২৮ উপায়ে ‘দুর্নীতি’, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ‘পাচার’

ছবি

বিপিও শিল্পের উন্নয়নে বাক্কো ও বিটিআরসি যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

বেসিস ও এনআরবি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ছবি

মুক্তাগাছায় ২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এডিবির অর্থায়ন

শ্বেতপত্র কমিটি: দেড় দশকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি, দেশ থেকে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা

ছবি

ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার বাড়ছে, জানুয়ারি থেকে কার্যকর

ছবি

ব্যাংক খাতের সংকট: দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ১০ ব্যাংক

ছবি

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

ছবি

সরকারি প্রকল্পে ১৫ বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন

ছবি

ইউনিলিভার বাংলাদেশের সাসটেইনেবিলিটি ব্লুবুক ২০২৪ প্রকাশ

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

ছবি

প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ

ছবি

বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯৩ শতাংশ

ছবি

সবজি-পেঁয়াজের দাম কমেছে, নাগালে আসছে নতুন আলুও

ছবি

ন্যায়সংগত সমাজ গঠনে গভীর সংস্কার প্রয়োজন: রেহমান সোবহান

ছবি

একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ওপাস কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের যাত্রা শুরু

tab

অর্থ-বাণিজ্য

চার মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬%

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জাহাজ কিছুটা কম এলেও দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কন্টেইনার ওঠানামা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ; তবে কমেছে কার্গোতে আনা পণ্যের পরিমাণ।

জাহাজ আসার সংখ্যা ও কার্গো হ্যান্ডলিং কিছুটা কম হলেও কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমে আসাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, অগাস্ট মাসের আগে- পরে যে অস্থিরতা ছিল সেটি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এটা ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাহাজ আসার সংখ্যা কম মানে আমদানি-রপ্তানি কম তা ঠিক নয়। আগে যেখানে ছোট আকারের জাহাজে ১২০০ থেকে ১৫০০ মতো কন্টেইনার আসতো সেখানে একটু বড় আকারের জাহাজে করে ২০০০ পর্যন্ত কন্টেইনার আসছে। এ অগ্রগতির ধারাবাহিকতা কতটুকু থাকছে তা নতুন বছরের শুরুতে আরও পরিষ্কার হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে আমদানি ও রপ্তানি মিলিয়ে বন্দরে ওঠানামা হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৯১৭ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের হিসেবে) কন্টেইনার।

২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৭ টিইইউস। এ হিসাবে ৭১ হাজার ১৬০টি কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে; শতকরা হিসাবে বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০২২ সালের একই সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৯ টিইইউস।

এ বছরের জুলাইয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ টিইইউস, অগাস্টে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৬৯ টিইইউস, সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ টিইইউস ও অক্টোবরে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়।

অপরদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো (খোলা পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন। ২০২৩ সালের এ সময়ে যা ছিল ৪ কোটি ৬ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩ টন। কার্গো হ্যান্ডলিং কমেছে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ টন। ২০২২ সালে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৩ কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬২ টন।

চট্টগ্রাম বন্দরে গত চার মাসে জাহাজ এসেছে ১২৮১টি, যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ১৬১টি কম। ২০২৩ সালের এ সময়ে এসেছিল ১৩৯২টি। ২০২২ সালের একই সময়ে বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা ছিল ১৪৬০টি।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, অতীতে যে সংকট ছিল তা কাটিয়ে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর। এর প্রমাণ গত চার মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো থাকায় বন্দরে জমে থাকা কন্টেইনারের সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

তিনি বলেন, বন্দরে জাহাজ কম এলেও সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। কারণ অতীতে কিছুটা ছোট জাহাজে কম কন্টেইনার আসত। এখন বড় জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারছে। সেসব জাহাজ বেশি সংখ্যক কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রামে আসছে।

কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অগ্রগতির সূচক নির্দেশ করে বলে মনে করেন বন্দর সচিব।

গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানও আন্দোলন পরবর্তী সময়ে তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউস, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউস বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৬ জুলাই পড়ে থাকা কন্টেইনার ছিল সাড়ে ৪৫ হাজার, যা ধারণক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ। গত তিন মাসে তা কমে ৩৪ হাজারে নেমে এসেছে। এছাড়া বন্দরে জাহাজের গড় অপেক্ষমান সময়ও কমে একদিনে নেমে এসেছে।

জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল দেশের প্রধান এ সমুদ্র বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকালও এক থেকে দেড় দিনে নেমে এসেছে। বন্দরে এলেই সঙ্গে সঙ্গে বার্থিং পাওয়ার তথ্য দেন বন্দর সচিব।

back to top