alt

অর্থ-বাণিজ্য

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আগামী ছয় মাসে বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রোববার এক অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, “বর্তমানে অফিসিয়ালভাবে খেলাপি ঋণের হার সাড়ে ১২ শতাংশ হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। এটি আগামী ছয় মাসে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানান, নীতি পরিবর্তন ও আদালতে রিট খারিজ হওয়া এর প্রধান কারণ।

২০১৯ সালে গৃহীত নীতিমালার আওতায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের বকেয়া কিস্তিগুলো খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।

গভর্নর উল্লেখ করেন, “বর্তমান খেলাপি ঋণের অর্ধেকই বড় বড় স্ক্যাম থেকে এসেছে। এস আলম গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পাচার করেছে। এই প্রবণতা ২০১৭ সালের পর থেকে বেড়েছে।”

গভর্নর খেলাপি ঋণ কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করানো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সম্পদের মান নিরীক্ষা শুরু করার কথাও জানান।

১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ১২টি এবং পরে আরও ২০টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, “আমরা আমানতকারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে ব্যাংক বাঁচানো আমার কাজ নয়। ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

আইনি ব্যবস্থা এবং অর্থ ফেরত আনার পরিকল্পনা

অর্থ পাচার বন্ধ এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। নতুন আইনের মাধ্যমে সম্পদের মান যাচাই করে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ ও অর্থ পুনরুদ্ধার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।

“যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, তবুও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব,” যোগ করেন গভর্নর।

ছবি

টানা চার দিন কমার পর ডলারের দাম বাড়লো ১ টাকা ৪০ পয়সা

ছবি

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

রিটার্ন দিলেও কর দেন না ৩০ লাখ করদাতা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের দরপত্র ডাকা হবে না

ই-কমার্স ও ক্রাউডফান্ডিংয়ে সতর্ক থাকতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

এক লাখ ২০ হাজার ডলারের গণ্ডি ছাড়ালো বিটকয়েনের দাম

মূলধনি যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ শতাংশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা ‘ইতিবাচক’ তবে তা প্রকাশে অপারগ বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় নতুন অর্থবছর শুরু

ছবি

বৈদেশিক লেনদেনে স্বস্তি, কমেছে ‘বাণিজ্য ঘাটতি’

ছবি

ডলারের দর কমায় নিলামে ১৭ কোটি ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালকের যোগদান

ছবি

রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনে ৩০০০ টাকা ছাড়

দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীরসহ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪.২৪ শতাংশ, বেড়েছে রপ্তানি ও আমদানি

এক সপ্তাহে ডলারের দাম কমলো ২ টাকা ৯০ পয়সা

ছবি

জুনে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৩২ শতাংশ

সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত-ঋণ-হিসাব বেড়েছে, কমেছে এজেন্ট-আউটলেট

ছবি

“বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়, সত্য বলুন”—মোবাইল কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে তৈয়্যব

‘সিন্ডিকেটের কবজায়’ এয়ারলাইন্সের টিকেট, অভিযোগ অ্যাটাবের

ছবি

২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ হবে সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকা

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

ছবি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে

১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনে যোগ হলো শেয়ারবাজারে

ছবি

চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ডলার ছাড়ালো

ছবি

বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো টেকনো স্পার্ক ৪০ এবং স্পার্ক ৪০ প্রো

ছবি

বাজারে লেনোভোর আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের নতুন পাঁচটি ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

পাল্টা শুল্ক নিয়ে চার উপদেষ্টাকে উদ্বেগ জানালেন ব্যবসায়ীরা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ছয় মাসে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় খেলাপি ঋণ: গভর্নর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আগামী ছয় মাসে বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রোববার এক অনুষ্ঠানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, “বর্তমানে অফিসিয়ালভাবে খেলাপি ঋণের হার সাড়ে ১২ শতাংশ হলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। এটি আগামী ছয় মাসে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিক জানান, নীতি পরিবর্তন ও আদালতে রিট খারিজ হওয়া এর প্রধান কারণ।

২০১৯ সালে গৃহীত নীতিমালার আওতায় মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের বকেয়া কিস্তিগুলো খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।

গভর্নর উল্লেখ করেন, “বর্তমান খেলাপি ঋণের অর্ধেকই বড় বড় স্ক্যাম থেকে এসেছে। এস আলম গ্রুপ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রীসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা পাচার করেছে। এই প্রবণতা ২০১৭ সালের পর থেকে বেড়েছে।”

গভর্নর খেলাপি ঋণ কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমে নিয়ম-নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করানো এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সম্পদের মান নিরীক্ষা শুরু করার কথাও জানান।

১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে ১২টি এবং পরে আরও ২০টি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা নিরীক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, “আমরা আমানতকারীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে ব্যাংক বাঁচানো আমার কাজ নয়। ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”

আইনি ব্যবস্থা এবং অর্থ ফেরত আনার পরিকল্পনা

অর্থ পাচার বন্ধ এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। নতুন আইনের মাধ্যমে সম্পদের মান যাচাই করে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ ও অর্থ পুনরুদ্ধার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।

“যদিও এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া, তবুও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাব,” যোগ করেন গভর্নর।

back to top