alt

অর্থ-বাণিজ্য

খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশ ১০টি ব্যাংকে, বিপাকে ব্যাংকিং খাত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই মাত্র ১০টি ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেখানে তিন মাস আগেও এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশ মাত্র পাঁচটি ব্যাংকে জমা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বর শেষে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেশি। সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা মোট ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জুন মাসে এই অঙ্ক ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকায়, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তিন মাসের ব্যবধানে এই খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের অভাব এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দায়মুক্তি এই সংকটের জন্য দায়ী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী জানান, ঋণগ্রহীতা ও ঋণদাতা উভয়ই অনিয়মের জন্য দায়ী।

তিনি আরও বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি দেখিয়ে ঋণ নেওয়া হয়। ফলে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো।”

বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ তুলনামূলক কম। সেপ্টেম্বর শেষে বিদেশি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ঋণগ্রহীতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশ ১০টি ব্যাংকে, বিপাকে ব্যাংকিং খাত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট খেলাপি ঋণের ৭০ শতাংশই মাত্র ১০টি ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেখানে তিন মাস আগেও এই হার ছিল ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া খেলাপি ঋণের ৫৪ শতাংশ মাত্র পাঁচটি ব্যাংকে জমা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বর শেষে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় বেশি। সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা মোট ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জুন মাসে এই অঙ্ক ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকায়, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তিন মাসের ব্যবধানে এই খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের অভাব এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দায়মুক্তি এই সংকটের জন্য দায়ী। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী জানান, ঋণগ্রহীতা ও ঋণদাতা উভয়ই অনিয়মের জন্য দায়ী।

তিনি আরও বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি দেখিয়ে ঋণ নেওয়া হয়। ফলে খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছে ব্যাংকগুলো।”

বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ তুলনামূলক কম। সেপ্টেম্বর শেষে বিদেশি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ঋণগ্রহীতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

back to top