নতুন নির্দেশিকায় গ্রাহককেন্দ্রিক সুবিধা নিশ্চিত, অপারেটরদের স্বাধীনতা বাড়ানো
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবার জন্য ছোট মেয়াদের ডেটা প্যাকেজগুলো এক বছরের বিরতির পর আবার চালু করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকায় মোবাইল অপারেটরগুলোকে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ডেটা প্যাকেজ চালুর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটররা এবার কয়েক ঘণ্টার প্যাকেজও বিক্রি করতে পারবে। তবে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা বা মিনিটভিত্তিক প্যাকেজ চালু করা যাবে না।
এছাড়া, আগের নির্ধারিত প্যাকেজসংখ্যার সীমাবদ্ধতা তুলে দিয়ে অপারেটরদের প্যাকেজ তৈরির ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, একদিনে তিন জিবি, দুই দিনে পাঁচ জিবি, এবং তিন দিনের প্যাকেজে সর্বোচ্চ আট জিবি ডেটা ভলিউম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রাহকরা একই প্যাকেজ পুনরায় কিনলে বা ‘অটো রিনিউ’ হলে আগের প্যাকেজের অব্যবহৃত ডেটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হবে। এছাড়া বোনাস ডেটার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে গ্রাহকদের এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করতে।
প্যাকেজের বৈচিত্র্য
নতুন নির্দেশিকায় মোট তিন ধরনের প্যাকেজের কথা বলা হয়েছে।
রেগুলার প্যাকেজ: ন্যূনতম মেয়াদ ৭ দিন থেকে ১৫ দিন।
গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ (সিসিএসপি): ন্যূনতম মেয়াদ তিন দিন।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ: ন্যূনতম মেয়াদ সাত দিন।
পাশাপাশি, অপারেটররা গ্রাহকদের পছন্দের সুযোগ দেওয়ার জন্য একটি ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ চালু করবে।
নির্দেশিকায় গ্রাহকদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিমাসে গ্রাহকদের ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য বাংলায় এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। একই তথ্য ই-মেইল, অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
প্রতিদিন গ্রাহকদের সর্বোচ্চ তিনটি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহক যদি ডু নট ডিস্টার্ব (ডিএনডি) সেবা চালু করতে চান, সেটি প্রচারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো। গ্রামীণফোনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান বলেছেন, "এই পদক্ষেপ গ্রাহকদের নতুন উদ্ভাবনী সেবা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।" একইভাবে, রবির করপোরেট কর্মকর্তা একে সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাংলালিংকের করপোরেট প্রধান জানান, নতুন নিয়মে গ্রাহকদের পছন্দ এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ বাড়বে।
নতুন নির্দেশিকায় গ্রাহককেন্দ্রিক সুবিধা নিশ্চিত, অপারেটরদের স্বাধীনতা বাড়ানো
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবার জন্য ছোট মেয়াদের ডেটা প্যাকেজগুলো এক বছরের বিরতির পর আবার চালু করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। রোববার প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকায় মোবাইল অপারেটরগুলোকে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ডেটা প্যাকেজ চালুর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটররা এবার কয়েক ঘণ্টার প্যাকেজও বিক্রি করতে পারবে। তবে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা বা মিনিটভিত্তিক প্যাকেজ চালু করা যাবে না।
এছাড়া, আগের নির্ধারিত প্যাকেজসংখ্যার সীমাবদ্ধতা তুলে দিয়ে অপারেটরদের প্যাকেজ তৈরির ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে, প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, একদিনে তিন জিবি, দুই দিনে পাঁচ জিবি, এবং তিন দিনের প্যাকেজে সর্বোচ্চ আট জিবি ডেটা ভলিউম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রাহকরা একই প্যাকেজ পুনরায় কিনলে বা ‘অটো রিনিউ’ হলে আগের প্যাকেজের অব্যবহৃত ডেটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত হবে। এছাড়া বোনাস ডেটার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে গ্রাহকদের এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করতে।
প্যাকেজের বৈচিত্র্য
নতুন নির্দেশিকায় মোট তিন ধরনের প্যাকেজের কথা বলা হয়েছে।
রেগুলার প্যাকেজ: ন্যূনতম মেয়াদ ৭ দিন থেকে ১৫ দিন।
গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ (সিসিএসপি): ন্যূনতম মেয়াদ তিন দিন।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ: ন্যূনতম মেয়াদ সাত দিন।
পাশাপাশি, অপারেটররা গ্রাহকদের পছন্দের সুযোগ দেওয়ার জন্য একটি ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ চালু করবে।
নির্দেশিকায় গ্রাহকদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিমাসে গ্রাহকদের ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য বাংলায় এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। একই তথ্য ই-মেইল, অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
প্রতিদিন গ্রাহকদের সর্বোচ্চ তিনটি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহক যদি ডু নট ডিস্টার্ব (ডিএনডি) সেবা চালু করতে চান, সেটি প্রচারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলো। গ্রামীণফোনের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান বলেছেন, "এই পদক্ষেপ গ্রাহকদের নতুন উদ্ভাবনী সেবা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।" একইভাবে, রবির করপোরেট কর্মকর্তা একে সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বাংলালিংকের করপোরেট প্রধান জানান, নতুন নিয়মে গ্রাহকদের পছন্দ এবং প্রতিযোগিতার সুযোগ বাড়বে।