দুদকের আবেদন মেনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মনির হোসেনের সম্পদ জব্দ এবং তাঁর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে, আদালত মনির হোসেনের ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করার অনুমতি দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাঁর আটটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, গত ৯ অক্টোবর দুদক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, মনির হোসেনের ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া, দুদক তদন্তে পায় যে, মনির হোসেনের অর্থের উৎস এবং আয়ের তথ্যের সঙ্গে তার ব্যয়ের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ইঙ্গিত দেয়।
আদালত এই নির্দেশনা দেওয়ার পর মনির হোসেনের স্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য আর্থিক সংস্থান অস্থায়ীভাবে আটক রাখা হবে। এর ফলে, তিনি তার অবৈধ আয়ের অংশ হিসেবে যেকোনো সম্পদ স্থানান্তর বা বিক্রির চেষ্টা করতে পারবেন না।
দুদকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই আদেশের মাধ্যমে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী তদন্ত পরিচালনা করা সম্ভব হবে, এবং তার অবৈধ সম্পদ সম্পর্কিত সব তথ্য উদ্ধার করা যাবে।
অপরদিকে, আদালত বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া তাদের দায়িত্ব। তবে, সেই দায়িত্ব পালনের আগে তাদের যুক্তিসঙ্গত সময় দেওয়া এবং বিচারিক পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি যে শুধু ব্যক্তিগত আয়ের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করে নয়, বরং তার পদমর্যাদা ও রাজনৈতিক সংযোগের কারণে এটি আরও জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি সরকারের দুর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হতে পারে।
এদিকে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি এই ব্যাপারে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং যথাসময়ে এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে জানানো হবে।
দুদকের আবেদন মেনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন সোমবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মনির হোসেনের সম্পদ জব্দ এবং তাঁর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন যে, আদালত মনির হোসেনের ৫ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করার অনুমতি দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাঁর আটটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, গত ৯ অক্টোবর দুদক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, মনির হোসেনের ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া, দুদক তদন্তে পায় যে, মনির হোসেনের অর্থের উৎস এবং আয়ের তথ্যের সঙ্গে তার ব্যয়ের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ইঙ্গিত দেয়।
আদালত এই নির্দেশনা দেওয়ার পর মনির হোসেনের স্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য আর্থিক সংস্থান অস্থায়ীভাবে আটক রাখা হবে। এর ফলে, তিনি তার অবৈধ আয়ের অংশ হিসেবে যেকোনো সম্পদ স্থানান্তর বা বিক্রির চেষ্টা করতে পারবেন না।
দুদকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই আদেশের মাধ্যমে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী তদন্ত পরিচালনা করা সম্ভব হবে, এবং তার অবৈধ সম্পদ সম্পর্কিত সব তথ্য উদ্ধার করা যাবে।
অপরদিকে, আদালত বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া তাদের দায়িত্ব। তবে, সেই দায়িত্ব পালনের আগে তাদের যুক্তিসঙ্গত সময় দেওয়া এবং বিচারিক পদ্ধতির সঠিক প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি যে শুধু ব্যক্তিগত আয়ের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করে নয়, বরং তার পদমর্যাদা ও রাজনৈতিক সংযোগের কারণে এটি আরও জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি সরকারের দুর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হতে পারে।
এদিকে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি এই ব্যাপারে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং যথাসময়ে এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে জানানো হবে।