স্থানীয় শিল্পের টিকে থাকার লড়াইয়ে বিশেষ নীতিগত সহায়তার দাবি
বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নীতিগত সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের পুনর্বাসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের এক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এফবিসিসিআই প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি অর্থনীতির বর্তমান সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায়।
বৈশ্বিক মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন সংকটে পড়ে। ২০২৪ সালের বাজেট পরবর্তী সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট এবং প্রবৃদ্ধি কমার কারণে আরও চাপ তৈরি হয়। সুদের হার বৃদ্ধি এবং সংকোচন নীতি গ্রহণ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও রপ্তানিকারকদের সহায়তা, রপ্তানি বিল সময়মতো পরিশোধের সুবিধা দেওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং কৃষি খাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণের দাবি জানায় এফবিসিসিআই।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতারা স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেন। তারা জানান, উচ্চ সুদ ও ডলার সংকটের কারণে অনেক উদ্যোক্তা আর্থিক চাপে পড়েছেন। এসব সমস্যা সমাধান না হলে শিল্প খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
মতবিনিময় সভায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন তিনি।
সভায় এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হকসহ ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন। তারা আর্থিক সংকট নিরসনে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্যোক্তারা মনে করেন, কোভিড পরবর্তী সংকট এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতার প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রম বাড়ানো দরকার। ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রতি তাদের আস্থার কথা জানালেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের আরও সুসমন্বিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
এফবিসিসিআই-এর এই প্রস্তাবনা এবং গভর্নরের প্রতিশ্রুতি স্থানীয় শিল্প খাতকে টিকিয়ে রাখতে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় শিল্পের টিকে থাকার লড়াইয়ে বিশেষ নীতিগত সহায়তার দাবি
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নীতিগত সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের পুনর্বাসনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের এক মতবিনিময় সভায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এফবিসিসিআই প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি অর্থনীতির বর্তমান সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায়।
বৈশ্বিক মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন সংকটে পড়ে। ২০২৪ সালের বাজেট পরবর্তী সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট এবং প্রবৃদ্ধি কমার কারণে আরও চাপ তৈরি হয়। সুদের হার বৃদ্ধি এবং সংকোচন নীতি গ্রহণ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও রপ্তানিকারকদের সহায়তা, রপ্তানি বিল সময়মতো পরিশোধের সুবিধা দেওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং কৃষি খাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণের দাবি জানায় এফবিসিসিআই।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতারা স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ওপর বিশেষ জোর দেন। তারা জানান, উচ্চ সুদ ও ডলার সংকটের কারণে অনেক উদ্যোক্তা আর্থিক চাপে পড়েছেন। এসব সমস্যা সমাধান না হলে শিল্প খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
মতবিনিময় সভায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন তিনি।
সভায় এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হকসহ ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন। তারা আর্থিক সংকট নিরসনে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
উদ্যোক্তারা মনে করেন, কোভিড পরবর্তী সংকট এবং আন্তর্জাতিক অস্থিরতার প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রম বাড়ানো দরকার। ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রতি তাদের আস্থার কথা জানালেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের আরও সুসমন্বিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
এফবিসিসিআই-এর এই প্রস্তাবনা এবং গভর্নরের প্রতিশ্রুতি স্থানীয় শিল্প খাতকে টিকিয়ে রাখতে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।