শিল্প ও কর্মসংস্থান খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রোববার রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘পলিসি অ্যালাইনমেন্ট টু এনহ্যান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের কোনো বাজে এজেন্ডা নেই। আমরা ব্যবসায়ী, কৃষক, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে আগামী বাজেটে শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি সংস্কার করা হবে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংকিং খাতে বকেয়ার মতো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ করেছি। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ এখনও মোকাবিলা করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের অনিয়মের প্রভাব মোকাবিলা করতে সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। “বড় ব্যবসায়ীদের অনেকে অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এতে ব্যাংকিং খাত সংকটে পড়েছে। তবুও আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।”
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে নীতি সংস্কার চলছে বলেও জানান উপদেষ্টা। এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজস্ব, বন্দর ব্যবস্থাপনা, কাস্টমস, এবং পুঁজিবাজারে সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে, কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংকটের উদাহরণ তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, শ্রমিকদের বেতন দিতে বেক্সিমকোর মতো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
ভ্যাট বাড়ানোর প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা আছে। তবে আমরা আগামী বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্স আরও যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করব।”
সংলাপে উপস্থিত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতারা কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানান। তারা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কর বাড়ানোর কারণে ব্যবসার পরিবেশ প্রতিকূল হচ্ছে।
আগামী বাজেটে শিল্প ও কর্মসংস্থানের জন্য সহনশীল নীতি প্রণয়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন অর্থ উপদেষ্টা।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিল্প ও কর্মসংস্থান খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রোববার রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘পলিসি অ্যালাইনমেন্ট টু এনহ্যান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের কোনো বাজে এজেন্ডা নেই। আমরা ব্যবসায়ী, কৃষক, ক্ষুদ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে আগামী বাজেটে শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি সংস্কার করা হবে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংকিং খাতে বকেয়ার মতো বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ করেছি। তবে মূল্যস্ফীতির চাপ এখনও মোকাবিলা করতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের অনিয়মের প্রভাব মোকাবিলা করতে সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। “বড় ব্যবসায়ীদের অনেকে অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এতে ব্যাংকিং খাত সংকটে পড়েছে। তবুও আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।”
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে নীতি সংস্কার চলছে বলেও জানান উপদেষ্টা। এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজস্ব, বন্দর ব্যবস্থাপনা, কাস্টমস, এবং পুঁজিবাজারে সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অপরদিকে, কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংকটের উদাহরণ তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, শ্রমিকদের বেতন দিতে বেক্সিমকোর মতো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
ভ্যাট বাড়ানোর প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা আছে। তবে আমরা আগামী বাজেটে ভ্যাট-ট্যাক্স আরও যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করব।”
সংলাপে উপস্থিত বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতারা কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার দাবি জানান। তারা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও কর বাড়ানোর কারণে ব্যবসার পরিবেশ প্রতিকূল হচ্ছে।
আগামী বাজেটে শিল্প ও কর্মসংস্থানের জন্য সহনশীল নীতি প্রণয়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন অর্থ উপদেষ্টা।