যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের জন্য সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা হলে দেওয়া হবে বিপুল পরিমাণে ছাড়। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিন।
দাভোস সম্মেলনে যোগ দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা কোন দেশে বিনিয়োগ করবেন, সেটা তাঁদের ইচ্ছা; এ বিষয়ে তাঁরা পুরোপুরি স্বাধীন। কিন্তু অন্য কোনো দেশ থেকে যুক্তরাস্ট্রে পণ্য রপ্তানি করলে বিপুল হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা হরে বিপুল পরিমাণে করছাড় দেওয়া হবে।’
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যই অপেক্ষা করেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) মঞ্চ। শেষমেশ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বক্তৃতায় ট্রাম্প কর হ্রাস, শিল্পের নিয়ন্ত্রণ শিথিল ও বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এসে পণ্য তৈরি করুন, সেটা করলে কর হার হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কম। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন না করলেও তা বিনিয়োগকারীদের ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপ করা হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশেও ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা, তিনি চান অবিলম্বে সুদহার কমানো হোক, মসৃণ হোক বিনিয়োগের পরিবেশ।
অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের ওপর ভর করেই মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্রথম জামানার মতো এই জামানাতেও তিনি অনেক জাতীয়তাবাদী অবস্থান নেবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদন ফিরিয়ে আনা তাঁর অন্যতম লক্ষ্য।
এ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে প্রাথমিক সফলতাও পেয়েছেন ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, আগামী চার বছরে (ট্রাম্পের শাসনামল) যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব। যদিও ট্রাম্প দাভোসকে বলেছেন, তিনি চান সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগ করুক।
ট্রাম্প বক্তৃতা করার সময় দাভোসের সম্মেলনকক্ষ কানায় কানায় ভরে যায়। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আমলা, বিনিয়োগকারী—সবাই যেন ট্রাম্পের বক্তৃতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অনেকেই ট্রাম্পের দৃঢ় প্রত্যয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। যদিও অনেকের মনে শঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান বানাতে গিয়ে ট্রাম্প না অন্য দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ান।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের জন্য সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা হলে দেওয়া হবে বিপুল পরিমাণে ছাড়। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। টাইম ম্যাগাজিন।
দাভোস সম্মেলনে যোগ দিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা কোন দেশে বিনিয়োগ করবেন, সেটা তাঁদের ইচ্ছা; এ বিষয়ে তাঁরা পুরোপুরি স্বাধীন। কিন্তু অন্য কোনো দেশ থেকে যুক্তরাস্ট্রে পণ্য রপ্তানি করলে বিপুল হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা হরে বিপুল পরিমাণে করছাড় দেওয়া হবে।’
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যই অপেক্ষা করেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) মঞ্চ। শেষমেশ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বক্তৃতায় ট্রাম্প কর হ্রাস, শিল্পের নিয়ন্ত্রণ শিথিল ও বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এসে পণ্য তৈরি করুন, সেটা করলে কর হার হবে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম কম। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদন না করলেও তা বিনিয়োগকারীদের ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপ করা হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশেও ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা, তিনি চান অবিলম্বে সুদহার কমানো হোক, মসৃণ হোক বিনিয়োগের পরিবেশ।
অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের ওপর ভর করেই মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। প্রথম জামানার মতো এই জামানাতেও তিনি অনেক জাতীয়তাবাদী অবস্থান নেবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদন ফিরিয়ে আনা তাঁর অন্যতম লক্ষ্য।
এ প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে প্রাথমিক সফলতাও পেয়েছেন ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, আগামী চার বছরে (ট্রাম্পের শাসনামল) যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব। যদিও ট্রাম্প দাভোসকে বলেছেন, তিনি চান সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগ করুক।
ট্রাম্প বক্তৃতা করার সময় দাভোসের সম্মেলনকক্ষ কানায় কানায় ভরে যায়। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আমলা, বিনিয়োগকারী—সবাই যেন ট্রাম্পের বক্তৃতার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অনেকেই ট্রাম্পের দৃঢ় প্রত্যয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। যদিও অনেকের মনে শঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান বানাতে গিয়ে ট্রাম্প না অন্য দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ান।