সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এমনকি তিনি এও বলেন, মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে, তিনি তা জানেন না।
সরকার কি তাহলে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না। তারপর ঘোষণা দেব।’ অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এর ঘোষণা হয়নি। উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমিতো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনি¤œ ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াত প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।
রেলওয়ের কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘সরকার সাধ্যমতো সব দিয়েছে। যেসব দাবি যৌক্তিক ছিল, সেগুলো আমরা মেনে নিয়েছি। ওভারটাইম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন যদি বলে আরও চাই, তাহলে সমস্যা।’ কিন্তু অনেকেরই অনেক দাবি দাওয়া আছে। রেলওয়ের কর্মচারীদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেটা রেলমন্ত্রী বলতে পারবেন, এটা তার বলার বিষয় নয়। সরকার খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি ও সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়।
ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ ক্রয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। যেমন, চাল, চিনি, মসুর ডাল ইত্যাদি। রোজার আগে থেকে শুরু করে রোজা শেষ হওয়া পর্যন্ত এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সেই সঙ্গে বাজারের পর্যবেক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। সারের বিষয়েও আলাপ হয়েছে।’
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এমনকি তিনি এও বলেন, মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে, তিনি তা জানেন না।
সরকার কি তাহলে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিলো? কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না। তারপর ঘোষণা দেব।’ অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এর ঘোষণা হয়নি। উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাবনা গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো এখনো ঘোষণা দেইনি। আমিতো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনি¤œ ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে ইতোমধ্যে পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীর বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসাবে এটি বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে বাড়তি খরচ হবে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের খসড়া প্রস্তাবে ব্যয় কিছুটা কমাতে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে ভাতার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম গ্রেডে ১০ শতাংশ দেওয়া হলে পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকার প্রয়োজন ছিল। আর ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ব্যয় আরেকটু বেড়ে দাঁড়াত প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগ এ পরিমাণ টাকার সংস্থান করে সংশোধিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করে।
রেলওয়ের কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘সরকার সাধ্যমতো সব দিয়েছে। যেসব দাবি যৌক্তিক ছিল, সেগুলো আমরা মেনে নিয়েছি। ওভারটাইম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন যদি বলে আরও চাই, তাহলে সমস্যা।’ কিন্তু অনেকেরই অনেক দাবি দাওয়া আছে। রেলওয়ের কর্মচারীদের অন্যান্য দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেটা রেলমন্ত্রী বলতে পারবেন, এটা তার বলার বিষয় নয়। সরকার খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি ও সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়।
ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ ক্রয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। যেমন, চাল, চিনি, মসুর ডাল ইত্যাদি। রোজার আগে থেকে শুরু করে রোজা শেষ হওয়া পর্যন্ত এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সেই সঙ্গে বাজারের পর্যবেক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলবে। সারের বিষয়েও আলাপ হয়েছে।’