অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেছেন, সরকারের খরচ কমানোর মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে। তিনি বলেন, “সারা জীবন আমরা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করব আর কর আদায়ের জন্য একই মানুষকে ‘জবাই’ করব, তা হতে পারে না।”
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক এই আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
এতে ব্যবসায়ী, ব্যাংকারদের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
আলোচনায় সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, আগামী ২০-২৫ বছরে দেশের জনমিতির সুবিধা নিতে হলে উৎপাদনশিল্পের বিকল্প নেই। বৈশ্বিক উৎপাদন খাতের ২৮ শতাংশ এখনো চীনের দখলে, এবং চীন পৃথিবীতে তৈরি হওয়া চারটি জিনিসের একটি তৈরি করে। তবে, তিনি হতাশার সঙ্গে জানান যে, দেশে বর্তমানে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং বিনিয়োগও সরে যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, তাইওয়ানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ উদ্যোগের কথা ছিল, কিন্তু নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যা এবং উৎপাদন খরচের অনিশ্চয়তা কারণে তারা ইন্দোনেশিয়াতে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে অবদানের কমতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, "দেশে ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, যা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।" তিনি ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগী দেশগুলো কীভাবে ব্যবসার খরচ কমাচ্ছে, সেটি দেখে আমাদের সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”
নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, প্রতিবছর ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে এবং বিদেশি চিকিৎসাসেবাসহ বিভিন্ন খাতে এই অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় এই অর্থবহ লেনদেনগুলো আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “বিদেশে চিকিৎসাসেবার খরচ আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে, এবং ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি সমাধান করা যেতে পারে।”
ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় আনার গুরুত্বেও তিনি আলোকপাত করেন এবং ভারতের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, অ্যামাজন গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারত প্রায় দেড় লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে, যা বাংলাদেশের জন্যও বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
নাসিম মঞ্জুর বলেন, ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যাতে খরচের পাশাপাশি বিদেশি লেনদেনও দেশের মধ্যে থাকে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেছেন, সরকারের খরচ কমানোর মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে। তিনি বলেন, “সারা জীবন আমরা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করব আর কর আদায়ের জন্য একই মানুষকে ‘জবাই’ করব, তা হতে পারে না।”
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক এই আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
এতে ব্যবসায়ী, ব্যাংকারদের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
আলোচনায় সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, আগামী ২০-২৫ বছরে দেশের জনমিতির সুবিধা নিতে হলে উৎপাদনশিল্পের বিকল্প নেই। বৈশ্বিক উৎপাদন খাতের ২৮ শতাংশ এখনো চীনের দখলে, এবং চীন পৃথিবীতে তৈরি হওয়া চারটি জিনিসের একটি তৈরি করে। তবে, তিনি হতাশার সঙ্গে জানান যে, দেশে বর্তমানে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং বিনিয়োগও সরে যাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, তাইওয়ানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ উদ্যোগের কথা ছিল, কিন্তু নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যা এবং উৎপাদন খরচের অনিশ্চয়তা কারণে তারা ইন্দোনেশিয়াতে স্থানান্তরিত হচ্ছে।
এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে অবদানের কমতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, "দেশে ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে, যা প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।" তিনি ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগী দেশগুলো কীভাবে ব্যবসার খরচ কমাচ্ছে, সেটি দেখে আমাদের সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।”
নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, প্রতিবছর ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে এবং বিদেশি চিকিৎসাসেবাসহ বিভিন্ন খাতে এই অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় এই অর্থবহ লেনদেনগুলো আনার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “বিদেশে চিকিৎসাসেবার খরচ আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে, এবং ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি সমাধান করা যেতে পারে।”
ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় আনার গুরুত্বেও তিনি আলোকপাত করেন এবং ভারতের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, অ্যামাজন গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারত প্রায় দেড় লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে, যা বাংলাদেশের জন্যও বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
নাসিম মঞ্জুর বলেন, ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যাতে খরচের পাশাপাশি বিদেশি লেনদেনও দেশের মধ্যে থাকে।