ঢাকা: ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি খসড়া অনুমোদনের জন্য অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে। এনবিআরের আয়কর বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুমোদন বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি, আশা করি কালকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। সরকার সময় বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক।”
এর আগে সরকার দুই দফায় এক মাস করে রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়েছিল। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল, যা প্রথমে ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল।
তবে কোম্পানির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার সময় আর বাড়ানো হচ্ছে না। কোম্পানির জন্য আগে থেকেই সময় এক মাস বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছিল।
আয়কর আইনের বিধান অনুযায়ী, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার শেষ সময় সাধারণত ৩০ নভেম্বর। এনবিআর চাইলে একক সিদ্ধান্তে এক মাস সময় বাড়াতে পারে, তবে অতিমারির মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের অনুমোদন নিয়ে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।
এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি রিটার্ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫২টি অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত আয়কর বাবদ ৫ হাজার ৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। গত করবর্ষে রিটার্ন জমা পড়েছিল ৪৩ লাখের বেশি।
এ বছর এনবিআরের বিশেষ নির্দেশনায় ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মোবাইল টেলিকম কোম্পানির কর্মী এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর জমা দিতে হয়। এছাড়া, ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করলে ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারের লভ্যাংশের ওপর করের হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারিত হয়।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা: ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এখন ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি খসড়া অনুমোদনের জন্য অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়েছে। এনবিআরের আয়কর বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুমোদন বৃহস্পতিবারের মধ্যে আসতে পারে।
তিনি বলেন, “আমরা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি, আশা করি কালকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। সরকার সময় বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক।”
এর আগে সরকার দুই দফায় এক মাস করে রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়েছিল। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল, যা প্রথমে ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল।
তবে কোম্পানির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার সময় আর বাড়ানো হচ্ছে না। কোম্পানির জন্য আগে থেকেই সময় এক মাস বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারির পরিবর্তে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছিল।
আয়কর আইনের বিধান অনুযায়ী, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন জমার শেষ সময় সাধারণত ৩০ নভেম্বর। এনবিআর চাইলে একক সিদ্ধান্তে এক মাস সময় বাড়াতে পারে, তবে অতিমারির মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারের অনুমোদন নিয়ে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।
এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি রিটার্ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫২টি অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত আয়কর বাবদ ৫ হাজার ৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। গত করবর্ষে রিটার্ন জমা পড়েছিল ৪৩ লাখের বেশি।
এ বছর এনবিআরের বিশেষ নির্দেশনায় ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মোবাইল টেলিকম কোম্পানির কর্মী এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর জমা দিতে হয়। এছাড়া, ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করলে ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারের লভ্যাংশের ওপর করের হার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারিত হয়।