২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও ১৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, এখন ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। পূর্বে এই সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে।
জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন ও সংঘাতের কারণে সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন জমা না পড়ায় এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন পাওয়ার পর সরকার এই সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে, যাতে করদাতারা রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় পান। এর আগে, সরকার দুই দফায় দুই মাস সময় বাড়িয়েছিল।
এছাড়া, কোম্পানির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়িয়ে ১৬ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে, যা আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল।
ব্যক্তি ও কোম্পানি শ্রেণির করদাতাদের জন্য আলাদা সময়সীমা:
আইন অনুযায়ী, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তবে বোর্ড চাইলে একক সিদ্ধান্তে আরও এক মাস সময় বাড়াতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন মহামারী বা অন্য কোনো সংকটের সময়ে সরকার চাইলে সময়সীমা বাড়াতে পারে, এবং এই ক্ষেত্রে এনবিআর সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে সময় বৃদ্ধি করে আদেশ জারি করতে পারে।
রিটার্ন জমা ও কর আদায়:
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫২টি অনলাইনে জমা পড়েছে। এর মাধ্যমে মোট ৫ হাজার ৯ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। গত করবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখের বেশি।
নতুন নিয়মে বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা:
এ বছর, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আয়কর রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর প্রযোজ্য হয়। ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার এবং অন্যান্য কিছু কার্যক্রমেও রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া, রিটার্ন জমা দিলে ব্যাংকের সঞ্চয়ে সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ আয়কর দেওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও ১৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, এখন ব্যক্তি শ্রেণির করদাতারা ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। পূর্বে এই সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে।
জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন ও সংঘাতের কারণে সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন জমা না পড়ায় এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদন পাওয়ার পর সরকার এই সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে, যাতে করদাতারা রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় পান। এর আগে, সরকার দুই দফায় দুই মাস সময় বাড়িয়েছিল।
এছাড়া, কোম্পানির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়িয়ে ১৬ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে, যা আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল।
ব্যক্তি ও কোম্পানি শ্রেণির করদাতাদের জন্য আলাদা সময়সীমা:
আইন অনুযায়ী, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তবে বোর্ড চাইলে একক সিদ্ধান্তে আরও এক মাস সময় বাড়াতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন মহামারী বা অন্য কোনো সংকটের সময়ে সরকার চাইলে সময়সীমা বাড়াতে পারে, এবং এই ক্ষেত্রে এনবিআর সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে সময় বৃদ্ধি করে আদেশ জারি করতে পারে।
রিটার্ন জমা ও কর আদায়:
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫২টি অনলাইনে জমা পড়েছে। এর মাধ্যমে মোট ৫ হাজার ৯ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। গত করবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখের বেশি।
নতুন নিয়মে বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা:
এ বছর, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আয়কর রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর প্রযোজ্য হয়। ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার এবং অন্যান্য কিছু কার্যক্রমেও রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়া, রিটার্ন জমা দিলে ব্যাংকের সঞ্চয়ে সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ আয়কর দেওয়া যায়।