আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় খুলনা-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যদিও উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তাকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া, তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিচারে ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
রায়ের বিষয়ে মিজানুর রহমানের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, "শেখ পরিবারের রোষানলে পড়ে রাজনৈতিকভাবে মাইনাস করতেই তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, অথচ মাত্র ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা মনে করি, এ রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।"
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় খুলনা-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতের রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যদিও উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তাকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া, তার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিচারে ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
রায়ের বিষয়ে মিজানুর রহমানের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, "শেখ পরিবারের রোষানলে পড়ে রাজনৈতিকভাবে মাইনাস করতেই তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, অথচ মাত্র ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মোটেও সত্য নয়।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা মনে করি, এ রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।"