alt

অর্থ-বাণিজ্য

১শ’ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা তথা উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত। গত এক যুগে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চাকরির বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পড়াশোনা না থাকাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়ন ও পুনর্র্নিধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এক যুগ ধরে প্রতিবছর গড়ে ২ শতাংশ হারে শ্রমশক্তি বেড়েছে। অর্থাৎ প্রতিবছর কয়েক লাখ তরুণ চাকরির বাজারে আসছেন। অন্যদিকে গত দুই দশকে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তরুণদের কর্মসংস্থানের অবস্থা খারাপ হয়েছে। অর্থাৎ বিগত দিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি।

বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার আরও অনেক বেশি, ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে মোট বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৯ শতাংশই এ বয়সের। আর তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষিত, তাদের বড় অংশই বেকারত্বে ভুগছেন।

টাস্কফোর্স জানায়, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দেশে টারশিয়ারি অর্থাৎ স্নাতক পাস করা জনসংখ্যার হার অনেকটা অপরিবর্তিত ছিল। যেমন ২০০০ সালে এই হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১০ সালে সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। তবে গত এক দশকে স্নাতক পাস করা জনসংখ্যার এই হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে স্নাতক পাস জনসংখ্যার হার বেড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছায়। কিন্তু স্নাতক পাস জনসংখ্যা বাড়লেও তাঁদের জন্য চাকরির সুযোগ সেভাবে বাড়েনি। ফলে এই শ্রেণির বেকারত্ব বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে টারশিয়ারি পর্যায়ে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন উচ্চশিক্ষিত (টারশিয়ারি) ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনই বেকার অবস্থায় রয়েছেন। সে তুলনায় নিম্নমাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কম।

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটি হচ্ছে, স্নাতক পাস করা তরুণদের মধ্যে ৬০ শতাংশই এসেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন কলেজ থেকে। তাদের মধ্যে মানবিক বিষয়ে ৩১ শতাংশ এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ৩২ শতাংশ পড়েছেন। অর্থাৎ টারশিয়ারি শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ চাকরির বাজারের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পড়ালেখা করেননি।

টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার শ্রমবাজারে চাকরির চাহিদার সঙ্গে দক্ষতার অসংগতিও দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে যারা কাজে যুক্ত আছেন, তাদের ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছেন। এ কারণে চাকরির বাজারে কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দেশে শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণে যুক্ত নেই, এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

যুব বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে ১৭টি সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে রয়েছে—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক কারিগরি ও ভোকেশনাল বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষা শিক্ষাকে উৎসাহিত করা এবং এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া। তাতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে কেয়ারগিভিং, রান্না ও হসপিটালিটির মতো বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া। পেশাজীবীদের বিদেশে পড়তে বা কাজে যাওয়ার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা। দেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তা বাড়ানো। টারশিয়ারি (উচ্চশিক্ষা) পর্যায়ের পড়াশোনায় চাকরির বাজারের সঙ্গে সমন্বয় এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

ছবি

মার্চে প্রবাসী আয় নতুন রেকর্ড সৃষ্টি, ৩০০ কোটি ডলারের পথে

ছবি

পার্বত্য অঞ্চলে অর্ধশতাধিক টাওয়ার বন্ধ, চাঁদাবাজির অভিযোগ রবির

এলডিসি উত্তরণের কর্মকৌশল বাস্তবায়নে ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

ছবি

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি শাফিউজ্জামান

স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ

ছবি

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সীমা বাড়লো

মজুত বাড়াতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

ঋণখেলাপির নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন পেছানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

ছবি

আইপিও আবেদনে বিনিয়োগের শর্ত তুলে নেয়ার সুপারিশ

ছবি

রেমিট্যান্সে রেকর্ড, একক মাস হিসেবে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মার্চে

ছবি

রমজানের প্রথমার্ধে বিকাশে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা

ছবি

বিনিয়োগ সম্মেলনে ঢাকায় আসবে জারা, স্যামসাং, মেটা, উবার, টেলিনর, টয়োটাসহ বড় বড় ব্র্যান্ড

ছবি

২৪ দিনে এল ২৭০ কোটি ডলার প্রবাসী আয়

৪০৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের উন্নয়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি

ডিভিডেন্ড বিতরণের শর্ত শিথিলতার দাবি

ছবি

ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ১০ তারিখের মধ্যে দিতে নির্দেশ

মেগা নয়, কর্মসংস্থানের প্রকল্প নেয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা

মাতারবাড়ীসহ দুই প্রকল্পে ৫৮ কোটি ডলার দেবে জাপান

ছবি

আসছে আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ফেরত পাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা

ছবি

ব্যাংক দেউলিয়া হলে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ফেরত পাবেন আমানতকারীরা

ছবি

ইএসকিউআর অ্যাওয়ার্ড পেলো বিসিপিসিএল

ছবি

বিনিয়োগে ভয় না পেতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

সমন্বয় করে অতিরিক্ত ছুটি নিতে পারবেন পোশাককর্মীরা

ছবি

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়ন করতে হবে: লুৎফে সিদ্দিকী

ছবি

নতুন নোট রাখার জায়গা না থাকলে ব্যাংক থেকে তুলে নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে চাপ বেড়েছে

ছবি

শেয়ারবাজারে উত্থান, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে

ছবি

এক হাজার কোটি টাকা ব্যাংকঋণ নিলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক

ছবি

ঈদে ৯ দিন ব্যাংক বন্ধ, এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ

ছবি

৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংকের সেবা চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে

ছবি

সূচকের উত্থানে লেনদেন ছাড়ালো ৫০৪ কোটি

ভারত থেকে এলো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল

বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে, কিন্তু অসমতা বেড়েছে: সেলিম জাহান

টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজারের লেনদেন

tab

অর্থ-বাণিজ্য

১শ’ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা তথা উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন বেকারের মধ্যে ২৮ জনই উচ্চশিক্ষিত। গত এক যুগে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চাকরির বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পড়াশোনা না থাকাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়ন ও পুনর্র্নিধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এক যুগ ধরে প্রতিবছর গড়ে ২ শতাংশ হারে শ্রমশক্তি বেড়েছে। অর্থাৎ প্রতিবছর কয়েক লাখ তরুণ চাকরির বাজারে আসছেন। অন্যদিকে গত দুই দশকে দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়লেও তরুণদের কর্মসংস্থানের অবস্থা খারাপ হয়েছে। অর্থাৎ বিগত দিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি।

বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে সামগ্রিক বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার আরও অনেক বেশি, ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে মোট বেকার জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭৯ শতাংশই এ বয়সের। আর তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষিত, তাদের বড় অংশই বেকারত্বে ভুগছেন।

টাস্কফোর্স জানায়, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দেশে টারশিয়ারি অর্থাৎ স্নাতক পাস করা জনসংখ্যার হার অনেকটা অপরিবর্তিত ছিল। যেমন ২০০০ সালে এই হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১০ সালে সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। তবে গত এক দশকে স্নাতক পাস করা জনসংখ্যার এই হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে স্নাতক পাস জনসংখ্যার হার বেড়ে ৯ শতাংশে পৌঁছায়। কিন্তু স্নাতক পাস জনসংখ্যা বাড়লেও তাঁদের জন্য চাকরির সুযোগ সেভাবে বাড়েনি। ফলে এই শ্রেণির বেকারত্ব বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে টারশিয়ারি পর্যায়ে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন উচ্চশিক্ষিত (টারশিয়ারি) ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনই বেকার অবস্থায় রয়েছেন। সে তুলনায় নিম্নমাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করা তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব কম।

আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটি হচ্ছে, স্নাতক পাস করা তরুণদের মধ্যে ৬০ শতাংশই এসেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন কলেজ থেকে। তাদের মধ্যে মানবিক বিষয়ে ৩১ শতাংশ এবং সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ৩২ শতাংশ পড়েছেন। অর্থাৎ টারশিয়ারি শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ চাকরির বাজারের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পড়ালেখা করেননি।

টাস্কফোর্স প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার শ্রমবাজারে চাকরির চাহিদার সঙ্গে দক্ষতার অসংগতিও দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে যারা কাজে যুক্ত আছেন, তাদের ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছেন। এ কারণে চাকরির বাজারে কাঠামোগত ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দেশে শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণে যুক্ত নেই, এমন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

যুব বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে ১৭টি সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে রয়েছে—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক কারিগরি ও ভোকেশনাল বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষা শিক্ষাকে উৎসাহিত করা এবং এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া। তাতে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে কেয়ারগিভিং, রান্না ও হসপিটালিটির মতো বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া। পেশাজীবীদের বিদেশে পড়তে বা কাজে যাওয়ার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা। দেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তা বাড়ানো। টারশিয়ারি (উচ্চশিক্ষা) পর্যায়ের পড়াশোনায় চাকরির বাজারের সঙ্গে সমন্বয় এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

back to top