দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, ফলে কমেছে প্রধান মূল্যসূচকও। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
অবশ্য এরপর আবার দাম বাড়ার তালিকা বড় হয় এবং সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। এভাবে কয়েকবার উর্ধ্বমুখী এবং পরক্ষণে আবার দরপতন হয়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। এতে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৩৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। এছাড়া ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রবি’র শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ টাকার। ১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডিকম অনলাইন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, জিকিউ বলপেন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, ফলে কমেছে প্রধান মূল্যসূচকও। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
অবশ্য এরপর আবার দাম বাড়ার তালিকা বড় হয় এবং সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। এভাবে কয়েকবার উর্ধ্বমুখী এবং পরক্ষণে আবার দরপতন হয়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার প্রবণতা দেখা যায়। এতে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৩৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। এছাড়া ৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪০১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রবি’র শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ টাকার। ১৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডিকম অনলাইন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী পেপার, ওরিয়ন ইনফিউশন, জিকিউ বলপেন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৩টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।