অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ‘মোটামুটি ভালো’ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে সরকার মরিয়া হয়ে নেই।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের একটি সেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিতে আইএমএফ বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করেছে। তবে চতুর্থ কিস্তি পেতে কিছু শর্ত এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি, বিশেষ করে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে আইএমএফ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়।
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সব শর্ত একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের নিয়ম মেনেই কাজ করছি। কেউ মনে করতে পারে আমরা ঋণের জন্য মরিয়া হয়ে আছি, কিন্তু তা সত্য নয়। আমরা আইএমএফের সব শর্ত ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করব।”
তিনি আরও জানান, তৃতীয় পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যা ১২ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়েও বিলম্ব হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে। বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে, রেমিটেন্স প্রবাহও ভালো। তাই আমরা আইএমএফের অর্থ পেতে মরিয়া নই। বরং আমরা অপেক্ষা করব, যাতে একসঙ্গে দুই কিস্তি পাওয়া যায়, যা জুন মাসে আসতে পারে।”
তিনি জানান, এই প্রস্তাব শুধু বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই আসেনি, বরং আইএমএফেরও কিছু পরামর্শ ছিল। তারা শর্ত বাস্তবায়নের জন্য সময় দিচ্ছে এবং উভয় পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চলতি হিসাবে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ৩৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল। এছাড়া, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে ঋণের তৃতীয় কিস্তির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এ সফরের পর তারা জানিয়েছে, অতিরিক্ত ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে আইএমএফ। বোর্ড অনুমোদন দিলে মোট ঋণের পরিমাণ ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ‘মোটামুটি ভালো’ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে সরকার মরিয়া হয়ে নেই।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের একটি সেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ দিতে আইএমএফ বিভিন্ন শর্ত নির্ধারণ করেছে। তবে চতুর্থ কিস্তি পেতে কিছু শর্ত এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি, বিশেষ করে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে আইএমএফ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়।
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সব শর্ত একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের নিয়ম মেনেই কাজ করছি। কেউ মনে করতে পারে আমরা ঋণের জন্য মরিয়া হয়ে আছি, কিন্তু তা সত্য নয়। আমরা আইএমএফের সব শর্ত ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করব।”
তিনি আরও জানান, তৃতীয় পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যা ১২ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ফলে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়েও বিলম্ব হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে। বৈদেশিক লেনদেনের হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে, রেমিটেন্স প্রবাহও ভালো। তাই আমরা আইএমএফের অর্থ পেতে মরিয়া নই। বরং আমরা অপেক্ষা করব, যাতে একসঙ্গে দুই কিস্তি পাওয়া যায়, যা জুন মাসে আসতে পারে।”
তিনি জানান, এই প্রস্তাব শুধু বাংলাদেশের পক্ষ থেকেই আসেনি, বরং আইএমএফেরও কিছু পরামর্শ ছিল। তারা শর্ত বাস্তবায়নের জন্য সময় দিচ্ছে এবং উভয় পক্ষ সমঝোতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চলতি হিসাবে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ৩৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল। এছাড়া, অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে ঋণের তৃতীয় কিস্তির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এ সফরের পর তারা জানিয়েছে, অতিরিক্ত ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে আইএমএফ। বোর্ড অনুমোদন দিলে মোট ঋণের পরিমাণ ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।