এয়ার টিকেটের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ তদন্তে কমিটি
বিমান ভাড়ায় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে দেশের প্রায় ২৫টি এয়ারলাইন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকের আগে নাসিমুল গনি বলেন, “এভিয়েশন সেক্টরে নানা সমস্যা রয়েছে। আমরা অনুসন্ধান করছি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যমুখী ফ্লাইটের টিকেটের দাম অস্বাভাবিক বেশি কেন পড়ে যাচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়ায় কিছু নিয়ম মানা হচ্ছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্বৃত্তপনা দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের (জেনারেল সেলস এজেন্ট) সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের অভিজ্ঞতা শুনে, সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় বের করাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে অন্যান্য দেশের মতো টিকেটের মূল্য যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে আনা যায়।”
এয়ার টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার ১০ দফা নির্দেশনা জারি করে। এর আগে, প্রবাসীদের ভোগান্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের ট্র্যাভেল এজেন্টদের সংগঠন (আটাব) ২৬ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিল, কিছু এয়ারলাইন্স ও ট্র্যাভেল এজেন্ট সিন্ডিকেট করে টিকেটের দাম বাড়াচ্ছে। অভিযোগে বলা হয়, এয়ারলাইন্সগুলো নির্দিষ্ট কিছু এজেন্টকে একসঙ্গে প্রচুর টিকেট বুকিং বা ব্লক করার সুযোগ দিচ্ছে, যার ফলে সাধারণ এজেন্টরা টিকেট বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে না। পরে এসব ব্লক করা টিকেট কয়েকগুণ বেশি দামে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
টিকেটের দাম কমানো এবং বাল্ক টিকেট বিক্রি ও মজুতদারি বন্ধের দাবি জানায় আটাব। এরপর সরকার ১০টি নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
টিকেট বুকিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু নিশ্চিত না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
গ্রুপ বুকিং করা টিকেট সাত দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বরসহ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা বাতিল করতে হবে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গঠিত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে। নাসিমুল গনি বলেন, “আমরা টিকেটের ভাড়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছি না, কেবল তদন্ত করছি। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এয়ার টিকেটের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ তদন্তে কমিটি
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিমান ভাড়ায় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে দেশের প্রায় ২৫টি এয়ারলাইন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকের আগে নাসিমুল গনি বলেন, “এভিয়েশন সেক্টরে নানা সমস্যা রয়েছে। আমরা অনুসন্ধান করছি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যমুখী ফ্লাইটের টিকেটের দাম অস্বাভাবিক বেশি কেন পড়ে যাচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়ায় কিছু নিয়ম মানা হচ্ছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্বৃত্তপনা দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় খতিয়ে দেখাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের (জেনারেল সেলস এজেন্ট) সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের অভিজ্ঞতা শুনে, সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় বের করাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে অন্যান্য দেশের মতো টিকেটের মূল্য যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে আনা যায়।”
এয়ার টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার ১০ দফা নির্দেশনা জারি করে। এর আগে, প্রবাসীদের ভোগান্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের ট্র্যাভেল এজেন্টদের সংগঠন (আটাব) ২৬ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিল, কিছু এয়ারলাইন্স ও ট্র্যাভেল এজেন্ট সিন্ডিকেট করে টিকেটের দাম বাড়াচ্ছে। অভিযোগে বলা হয়, এয়ারলাইন্সগুলো নির্দিষ্ট কিছু এজেন্টকে একসঙ্গে প্রচুর টিকেট বুকিং বা ব্লক করার সুযোগ দিচ্ছে, যার ফলে সাধারণ এজেন্টরা টিকেট বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে না। পরে এসব ব্লক করা টিকেট কয়েকগুণ বেশি দামে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
টিকেটের দাম কমানো এবং বাল্ক টিকেট বিক্রি ও মজুতদারি বন্ধের দাবি জানায় আটাব। এরপর সরকার ১০টি নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—
টিকেট বুকিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু নিশ্চিত না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
গ্রুপ বুকিং করা টিকেট সাত দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নম্বরসহ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা বাতিল করতে হবে।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গঠিত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে। নাসিমুল গনি বলেন, “আমরা টিকেটের ভাড়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছি না, কেবল তদন্ত করছি। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।