চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বেকারি পণ্যে বিস্কুট আর কেকও। এসব পণ্যে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিস্কুটে ভ্যাট বসানোয় সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক। এবার এই বিস্কুট থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে সরকার।
পাশাপাশি সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট তুলে নিতে পারে সরকার। শিগগির এই দুই পণ্যের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মেশিনে প্রস্তুত করা বিস্কুটে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এছাড়া হাতে তৈরি বিস্কুটের (প্রতিকেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার।
অন্যদিকে সুপারশপে কেনাকাটায় বাড়তি সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে পারে সরকার। পণ্যের খুচরা মূল্য হিসেবে যে দাম লেখা থাকবে, তা দিলেই চলবে ক্রেতাদের। চলতি বছরের বাজেটের সময় সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে চেইন সুপারশপের মালিকেরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করেন তারা।
প্রতিবছর সুপারশপ খাত থেকে দেড়শ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট পায় এনবিআর। সুপারশপের মালিকদের দাবি, খুচরা মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকলে এবং সঠিকভাবে যথানিয়মে বেচাকেনা হলে সুপারশপ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট তুলে দেওয়া হবে। সুপারশপের পণ্যের গায়ে লেখা খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে। যাতে খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এ জন্য সুপারশপের মালিকদের ভ্যাটের চালান দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। সুপারশপের মালিকেরা নিজেদের মূল্য সংযোজনের অংশের ভ্যাট দেবেন। আগের পর্যায় থেকে ভ্যাট রেয়াত নেবেন। উৎপাদন পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে সুপারশপের মালিকেরা ভ্যাট দেবেন না। আটা, ময়দা, আদা ইত্যাদি পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট নেই।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বেকারি পণ্যে বিস্কুট আর কেকও। এসব পণ্যে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিস্কুটে ভ্যাট বসানোয় সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক। এবার এই বিস্কুট থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে সরকার।
পাশাপাশি সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট তুলে নিতে পারে সরকার। শিগগির এই দুই পণ্যের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মেশিনে প্রস্তুত করা বিস্কুটে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এছাড়া হাতে তৈরি বিস্কুটের (প্রতিকেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার।
অন্যদিকে সুপারশপে কেনাকাটায় বাড়তি সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে পারে সরকার। পণ্যের খুচরা মূল্য হিসেবে যে দাম লেখা থাকবে, তা দিলেই চলবে ক্রেতাদের। চলতি বছরের বাজেটের সময় সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করা হয়। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে চেইন সুপারশপের মালিকেরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করেন তারা।
প্রতিবছর সুপারশপ খাত থেকে দেড়শ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট পায় এনবিআর। সুপারশপের মালিকদের দাবি, খুচরা মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকলে এবং সঠিকভাবে যথানিয়মে বেচাকেনা হলে সুপারশপ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, সুপারশপের কেনাকাটার ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট তুলে দেওয়া হবে। সুপারশপের পণ্যের গায়ে লেখা খুচরা মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে হবে। যাতে খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১৫ শতাংশ ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এ জন্য সুপারশপের মালিকদের ভ্যাটের চালান দেয় এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। সুপারশপের মালিকেরা নিজেদের মূল্য সংযোজনের অংশের ভ্যাট দেবেন। আগের পর্যায় থেকে ভ্যাট রেয়াত নেবেন। উৎপাদন পর্যায়ে যেসব পণ্যে ভ্যাট নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে সুপারশপের মালিকেরা ভ্যাট দেবেন না। আটা, ময়দা, আদা ইত্যাদি পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট নেই।