alt

অর্থ-বাণিজ্য

এস আলমের ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমার তথ্য

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোচিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকার জমা হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত পাঁচ বছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ওই লেনদেনের তথ্য পেয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।বুধবার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ও কর কর্মকর্মতাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দার আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’র কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি শিল্পগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য আছে। সাতজন কর কর্মকর্তা এক মাসেও ১০টি কম্পিউটারে ওই লেনদেনের তথ্য এন্ট্রির কাজ শেষ করতে পারেননি। ২০২৪ সালের ৩০ জুন ওই শিল্পগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ছিল ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যার বিপরীতে সুদ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। অথচ এসব অর্থের বড় অংশই ওই শিল্পগোষ্ঠীর আয়কর নথিতে দেখানো হয়নি। এখন আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

সিআইসির মহাপরিচালক বলেন, ‘এস আলমের দুই ছেলে জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা হোয়াইট করেছে। কিন্তু ওই ব্যাংক আজ পর্যন্ত আমাকে তথ্য দেয়নি। তদন্ত করে দেখা গেল, এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটেছে। পরে ক্লিয়ারিং হয়। অথচ আইন শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। তখন সে ব্যাংক ওলটপালট করে আগের ডেটে পে অর্ডার দেয়। এটা হেড অফিস থেকে করা হয়। আরও অনেক সমস্যা আছে।’

ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও একটা রানিং ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করেছি। এর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে এসব ‘অলিগার্ক শ্রেণির’ বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজ করার অনুরোধ জানান সিআইসির মহাপরিচালক।’

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এনবিআরের চাহিদা অনুসারে তথ্য দেওয়া ব্যাংকের আইনি দায়িত্ব। তথ্য না দিলে আইনে কঠোর হওয়ার কথা বলা আছে। সেটি হলে ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে খেলাপি হয়ে যাবে। তখন ওই সব ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।’

অনুষ্ঠানে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকের ব্যাংক হিসাব বিবরণী এনে দেখেছি, প্রতিদিন বিপুল অর্থ উত্তোলন হচ্ছে। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে, জানি না। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা।’

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় কর গোয়েন্দা সেল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কর গোয়েন্দারা। ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আছে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ।

সার সংরক্ষণে চার জেলায় গোডাউন নির্মাণের সিদ্ধান্ত

ছবি

জাপানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে চুক্তির অনুমোদন

এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন

রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো যেন রাজনৈতিক কারণে থেমে না যায়: গভর্নর

ছবি

পাঁচ বছরে সবনিম্ন অবস্থায় দেশের বিনিয়োগ

ছবি

অর্থনীতির এত সমস্যা একসঙ্গে অন্য কোথাও হয়নি: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

ছবি

শনিবার ঢাকায় জাকাত মেলা শুরু

ছবি

সূচক-লেনদেন দুটোই বেড়েছে শেয়ারবাজারে

৬ মাসে রপ্তানি করা যাবে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল

জ্বালানি চাহিদা মেটানো কঠিন তবে চেষ্টা করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সুপারশপে প্রত্যাহার, বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাট কমাতে পারে সরকার

চলতি বছর শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ

ছবি

২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে এনবিআর

ছবি

সিন্ডিকেট ঠেকাতে অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

সাড়ে সাত মাসে রিটার্ন দিল মাত্র ১৩ হাজার কোম্পানি

পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেন

এডিবির অর্থায়ন বেড়ে হবে ৩৬ বিলিয়ন, পাবে বাংলাদেশও

‘শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য’

ছবি

৭ মাসে ভারতে রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমে ব্যাপক সাড়া

ছবি

হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশের ক্যাম্পাস রোডশো শুরু

ছবি

সর্বজনীন পেনশনে আগ্রহী নয় ৯৯ শতাংশ পোশাকশ্রমিক: জরিপ

গ্যাসের দাম বাড়লে একটার পর একটা কারখানা বন্ধ হবে: বিটিএমএ

উপজেলার ব্যবসায়ীদের করজালে আনার সুপারিশ

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে এনবিআর

ছবি

আমানত-ঋণ বিতরণ বেড়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে

ছবি

বাড়ছে ব্যাংকের আমানত, কমছে মানুষের হাতে থাকা টাকার পরিমাণ

ছবি

বসুন্ধরা চেয়ারম্যান পরিবারের বিদেশি বিনিয়োগ অবরুদ্ধ, দুবাইয়ে ফ্ল্যাট জব্দ

বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে সরকার

ঈদে আসছে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনও

ছবি

রিটার্ন জমা পড়লো প্রায় ৩৮ লাখ

ছবি

রেমিটেন্সে ভর করে বাড়ছে রিজার্ভ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

এস আলমের ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমার তথ্য

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলোচিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকার জমা হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত পাঁচ বছরের হিসাব পর্যালোচনা করে ওই লেনদেনের তথ্য পেয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।বুধবার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ও কর কর্মকর্মতাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দার আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’র কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি শিল্পগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য আছে। সাতজন কর কর্মকর্তা এক মাসেও ১০টি কম্পিউটারে ওই লেনদেনের তথ্য এন্ট্রির কাজ শেষ করতে পারেননি। ২০২৪ সালের ৩০ জুন ওই শিল্পগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ছিল ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যার বিপরীতে সুদ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। অথচ এসব অর্থের বড় অংশই ওই শিল্পগোষ্ঠীর আয়কর নথিতে দেখানো হয়নি। এখন আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

সিআইসির মহাপরিচালক বলেন, ‘এস আলমের দুই ছেলে জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা হোয়াইট করেছে। কিন্তু ওই ব্যাংক আজ পর্যন্ত আমাকে তথ্য দেয়নি। তদন্ত করে দেখা গেল, এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটেছে। পরে ক্লিয়ারিং হয়। অথচ আইন শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। তখন সে ব্যাংক ওলটপালট করে আগের ডেটে পে অর্ডার দেয়। এটা হেড অফিস থেকে করা হয়। আরও অনেক সমস্যা আছে।’

ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও একটা রানিং ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করেছি। এর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে এসব ‘অলিগার্ক শ্রেণির’ বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের কাজ করার অনুরোধ জানান সিআইসির মহাপরিচালক।’

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এনবিআরের চাহিদা অনুসারে তথ্য দেওয়া ব্যাংকের আইনি দায়িত্ব। তথ্য না দিলে আইনে কঠোর হওয়ার কথা বলা আছে। সেটি হলে ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠান হিসেবে খেলাপি হয়ে যাবে। তখন ওই সব ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।’

অনুষ্ঠানে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকের ব্যাংক হিসাব বিবরণী এনে দেখেছি, প্রতিদিন বিপুল অর্থ উত্তোলন হচ্ছে। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে, জানি না। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা।’

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় কর গোয়েন্দা সেল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কর গোয়েন্দারা। ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আছে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ।

back to top