বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একসঙ্গে এতগুলো সমস্যা আর কোনো দেশে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি পর্যায়ে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক সেমিনারে তিনি বলেন, “ব্যালেন্স অব পেমেন্ট, মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
ডলার সংকট প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। রেমিটেন্সের প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে, যা এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পাচার কমে যাওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।”
তিনি আরও জানান, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করলেও বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। তবে কিছু এগ্রিগেটর বিশেষ করে দুবাই থেকে ডলার বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, “নীতি বাস্তবায়নের পর অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। ছয় মাস পেরিয়েছে, আরও কয়েক মাস লাগবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছি। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হবে।”
ইসলামী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে গভর্নর বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের ফলে ব্যাংকটি স্থিতিশীল হয়েছে। আমানত আসায় আস্থাও বেড়েছে, যা ব্যাংকের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, নতুন আমানতের বড় অংশ সরকার নিয়ে নিচ্ছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেমিনারে সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একসঙ্গে এতগুলো সমস্যা আর কোনো দেশে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি পর্যায়ে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক সেমিনারে তিনি বলেন, “ব্যালেন্স অব পেমেন্ট, মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
ডলার সংকট প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল। রেমিটেন্সের প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে, যা এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পাচার কমে যাওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে।”
তিনি আরও জানান, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করলেও বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। তবে কিছু এগ্রিগেটর বিশেষ করে দুবাই থেকে ডলার বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, “নীতি বাস্তবায়নের পর অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। ছয় মাস পেরিয়েছে, আরও কয়েক মাস লাগবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছি। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হবে।”
ইসলামী ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে গভর্নর বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের ফলে ব্যাংকটি স্থিতিশীল হয়েছে। আমানত আসায় আস্থাও বেড়েছে, যা ব্যাংকের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, নতুন আমানতের বড় অংশ সরকার নিয়ে নিচ্ছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সেমিনারে সামষ্টিক অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা।