গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। সেইসঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। এরপরও বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৯টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও বাজার মূলধন বড় অঙ্কে বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা বা দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
তার আগের তিন সপ্তাহেও ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে। আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা এবং ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৮ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে প্রধান ও বাছাই করা মূল্যসূচক কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমে ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৯ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ।
প্রধান ও বাছাই করা সূচক কমলেও ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ব্র্যাক ব্যাংক, লাভেলো আইসক্রিম এবং আরডি ফুড।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গত সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। সেইসঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। এরপরও বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার মতো। পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৯টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পরও বাজার মূলধন বড় অঙ্কে বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা বা দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
তার আগের তিন সপ্তাহেও ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে। আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, ৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা এবং ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ পাঁচ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৮ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়লেও গত সপ্তাহে প্রধান ও বাছাই করা মূল্যসূচক কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমে ১ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২২ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৬৬ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ৯ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৬ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ৯ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ।
প্রধান ও বাছাই করা সূচক কমলেও ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে বাড়ে ১৩ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি’র শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ব্র্যাক ব্যাংক, লাভেলো আইসক্রিম এবং আরডি ফুড।