alt

অর্থ-বাণিজ্য

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সংস্কার হয় না: সানেম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ রাজনৈতিক পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় যেসব সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, বিভিন্ন কারণে তা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সংস্কার হয় না। যেসব কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী আছে, তারা নিজেদের স্বার্থে সংস্কার হতে দেয় না।

অনেক ক্ষেত্রে সংস্কারের চাহিদা বা চাপ বাইরে থেকে যতটা আসে, ভেতর থেকে ততটা আসে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতাকাঠামো অনেকটা মধ্যবাম ঘরানার, সে কারণে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী যেসব সংস্কার অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হওয়া দরকার, তা হয় না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সানেমের অষ্টম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা ভার্চ্যুয়ালি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য ছিল ইমপ্লিকেশনস ফর জিওইকোনমিক ফ্র্যাগমেন্টশন ফর সাউথ এশিয়া (দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পেশ করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ফান্সিসকো ডি ওহনসোর্জ। তিনি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাজার উন্মুক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে বিভিন্ন দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যকার সংযোগ অতটা না থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা বিনিয়োগ পাচ্ছে। বাণিজ্যও করছে অনেক দেশের সঙ্গে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর পরিমাণ অতটা বেশি নয় যে পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা থেকে এ অঞ্চলের দেশগুলো তেমন কোনো সুবিধা নিতে পারে।’

ফান্সিসকোর পরামর্শ, এ বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উচিত যত বেশি বাজার উন্মুক্ত করা যায়, তত বেশি উন্মুক্ত করা। কখন কে শত্রু হয়ে যায়, তা বলা যায় না।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু একই সঙ্গে বিষয়টি বহুপক্ষীয় সহযোগিতার আবরণে দেখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যথাযথ পরিমাণে অর্থায়ন পাচ্ছে কি না এবং তাদের অভিযোগ-আপত্তি ঠিকঠাক আমলে নেওয়া হচ্ছে কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ। তার বক্তব্য, এ উপস্থাপনায় বহুপক্ষীয় কাঠামোর বিষয়টি আসেনি।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘সহযোগিতা কেবল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদীয়মান দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি। তা না করে কেবল বাণিজ্য-সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে যদি দেখা যায়, সেই দেশ শেষমেশ আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে, তাহলে লাভ নেই।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে আইসিআরআইইআরের পরিচালক দীপক মিশ্র পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘পূর্ব এশিয়ার সব কটি দেশের সঙ্গে চীনের কমবেশি সীমান্তবিরোধ আছে। কিন্তু প্রতিটি দেশের সঙ্গেই চীনের অবাধ বাণিজ্য আছে, অর্থাৎ তারা রাজনীতিকে অর্থনীতি থেকে আলাদা করতে পেরেছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বেলায় ঘটছে ঠিক তার বিপরীত, এখানে রাজনীতি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তার পরামর্শ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতিপ্রণেতাদের আরও বেশি নমনীয় ও গতিশীল হতে হবে। একই সঙ্গে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক মনোভাবের রাশ টেনে ধরে উদ্যোক্তার মনোভাব নিতে হবে।’

আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দীপক মিশ্র, সেটি হলো বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলো থেকে সরে যাচ্ছে বা তার ঘোষণা দিয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বাণিজ্যের সম্ভাবনা আরও বাড়াতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সান্তাইয়ানান দেবরাজন বলেন, ‘চীন ও তাইওয়ান পরস্পরের শত্রু। তারপরও দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা নেই। এমনকি চীন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী, অর্থাৎ তারাও অর্থনীতিকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে পেরেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন আপেক্ষিক স্বাধীনতা ভোগ করছে। যদিও একটা সময় তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অর্থাৎ অর্থনীতিকে যে রাজনীতি থেকে আলাদা করা সম্ভব, তার নজির আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ ধরনের নীতি প্রণয়ন করতে হবে।’

সিলেটের ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দর চায় না চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ

সিটিসি গ্রান্ট প্রোগ্রামের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

ছবি

বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার প্রধান সমস্যা মূলধনের অভাব: বিবিএস এর জরিপ

প্রথম ছয় মাসে সব বাজারেই বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি

বাজার মূলধন সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়লো শেয়ারবাজারে

ছবি

বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

সার সংরক্ষণে চার জেলায় গোডাউন নির্মাণের সিদ্ধান্ত

ছবি

জাপানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে চুক্তির অনুমোদন

এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন

রমজানের আগে ৯ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো যেন রাজনৈতিক কারণে থেমে না যায়: গভর্নর

ছবি

পাঁচ বছরে সবনিম্ন অবস্থায় দেশের বিনিয়োগ

ছবি

অর্থনীতির এত সমস্যা একসঙ্গে অন্য কোথাও হয়নি: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

ছবি

শনিবার ঢাকায় জাকাত মেলা শুরু

ছবি

সূচক-লেনদেন দুটোই বেড়েছে শেয়ারবাজারে

৬ মাসে রপ্তানি করা যাবে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল

জ্বালানি চাহিদা মেটানো কঠিন তবে চেষ্টা করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এস আলমের ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমার তথ্য

সুপারশপে প্রত্যাহার, বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাট কমাতে পারে সরকার

চলতি বছর শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ

ছবি

২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে এনবিআর

ছবি

সিন্ডিকেট ঠেকাতে অনুসন্ধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ

সাড়ে সাত মাসে রিটার্ন দিল মাত্র ১৩ হাজার কোম্পানি

পতনে শেয়ারবাজার, কমেছে লেনদেন

এডিবির অর্থায়ন বেড়ে হবে ৩৬ বিলিয়ন, পাবে বাংলাদেশও

‘শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য বন্ড মার্কেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য’

ছবি

৭ মাসে ভারতে রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমে ব্যাপক সাড়া

ছবি

হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশের ক্যাম্পাস রোডশো শুরু

ছবি

সর্বজনীন পেনশনে আগ্রহী নয় ৯৯ শতাংশ পোশাকশ্রমিক: জরিপ

গ্যাসের দাম বাড়লে একটার পর একটা কারখানা বন্ধ হবে: বিটিএমএ

উপজেলার ব্যবসায়ীদের করজালে আনার সুপারিশ

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাজেট প্রস্তাবনা চেয়েছে এনবিআর

ছবি

আমানত-ঋণ বিতরণ বেড়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সংস্কার হয় না: সানেম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ রাজনৈতিক পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় যেসব সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, বিভিন্ন কারণে তা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সংস্কার হয় না। যেসব কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী আছে, তারা নিজেদের স্বার্থে সংস্কার হতে দেয় না।

অনেক ক্ষেত্রে সংস্কারের চাহিদা বা চাপ বাইরে থেকে যতটা আসে, ভেতর থেকে ততটা আসে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতাকাঠামো অনেকটা মধ্যবাম ঘরানার, সে কারণে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী যেসব সংস্কার অর্থনীতি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে হওয়া দরকার, তা হয় না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সানেমের অষ্টম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা ভার্চ্যুয়ালি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য ছিল ইমপ্লিকেশনস ফর জিওইকোনমিক ফ্র্যাগমেন্টশন ফর সাউথ এশিয়া (দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা পেশ করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ফান্সিসকো ডি ওহনসোর্জ। তিনি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাজার উন্মুক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে বিভিন্ন দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যকার সংযোগ অতটা না থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা বিনিয়োগ পাচ্ছে। বাণিজ্যও করছে অনেক দেশের সঙ্গে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর পরিমাণ অতটা বেশি নয় যে পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা থেকে এ অঞ্চলের দেশগুলো তেমন কোনো সুবিধা নিতে পারে।’

ফান্সিসকোর পরামর্শ, এ বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উচিত যত বেশি বাজার উন্মুক্ত করা যায়, তত বেশি উন্মুক্ত করা। কখন কে শত্রু হয়ে যায়, তা বলা যায় না।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু একই সঙ্গে বিষয়টি বহুপক্ষীয় সহযোগিতার আবরণে দেখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যথাযথ পরিমাণে অর্থায়ন পাচ্ছে কি না এবং তাদের অভিযোগ-আপত্তি ঠিকঠাক আমলে নেওয়া হচ্ছে কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ। তার বক্তব্য, এ উপস্থাপনায় বহুপক্ষীয় কাঠামোর বিষয়টি আসেনি।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘সহযোগিতা কেবল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদীয়মান দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি। তা না করে কেবল বাণিজ্য-সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে যদি দেখা যায়, সেই দেশ শেষমেশ আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে, তাহলে লাভ নেই।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে আইসিআরআইইআরের পরিচালক দীপক মিশ্র পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘পূর্ব এশিয়ার সব কটি দেশের সঙ্গে চীনের কমবেশি সীমান্তবিরোধ আছে। কিন্তু প্রতিটি দেশের সঙ্গেই চীনের অবাধ বাণিজ্য আছে, অর্থাৎ তারা রাজনীতিকে অর্থনীতি থেকে আলাদা করতে পেরেছে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বেলায় ঘটছে ঠিক তার বিপরীত, এখানে রাজনীতি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তার পরামর্শ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতিপ্রণেতাদের আরও বেশি নমনীয় ও গতিশীল হতে হবে। একই সঙ্গে নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বুদ্ধিবৃত্তিক মনোভাবের রাশ টেনে ধরে উদ্যোক্তার মনোভাব নিতে হবে।’

আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দীপক মিশ্র, সেটি হলো বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলো থেকে সরে যাচ্ছে বা তার ঘোষণা দিয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বাণিজ্যের সম্ভাবনা আরও বাড়াতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সান্তাইয়ানান দেবরাজন বলেন, ‘চীন ও তাইওয়ান পরস্পরের শত্রু। তারপরও দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা নেই। এমনকি চীন তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী, অর্থাৎ তারাও অর্থনীতিকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে পেরেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন আপেক্ষিক স্বাধীনতা ভোগ করছে। যদিও একটা সময় তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অর্থাৎ অর্থনীতিকে যে রাজনীতি থেকে আলাদা করা সম্ভব, তার নজির আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ ধরনের নীতি প্রণয়ন করতে হবে।’

back to top