সিলেটের ভোলাগঞ্জকে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালে। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে স্থলবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটি স্থলবন্দরে রূপ নিলে সিলেটের অর্থনীতির জন্য লাভজনক বলে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীরা বলে আসলেও এবার চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ বলছে- এখানে স্থলবন্দর অযৌক্তিক এবং অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। বরং শুল্ক স্টেশন থাকলেই ভালো।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মহানরগরের পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে চুনাপথর আমদানি করছেন। ২০১৯ সালে সেসময়ের আওয়ামী লীগ সরকার এ স্টেশনকে দেশের ২৪ নম্বর শুল্কবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে এবং গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভোলাগঞ্জ স্টেশনটির উল্টোদিকে স্থলবন্দর তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে শুধু এপারে স্থলবন্দর করা হলে এখানের ব্যবসায়ীদের উপর চাপ পড়বে। তামাবিল স্থলবন্দরের মতো ওপারে ডাউকি স্থলবন্দর রয়েছে এখানেও তেমন হলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হতো না।
সংবাদ সম্মেলনে সাহাব উদ্দিন আরো বলেন- ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৫২ একর জায়গায় কাজ চলছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের সুবিধাজনক ডাম্পিং স্টেশন ও কার্যলয় থাকছে না। এ বিষয়ে তাদের আপত্তি। এক বছর আগে তাদের উচ্ছেদের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি।
এসব জায়গা ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের সভাপতির।
তিনি অভিযোগ করে বলেন- বন্দর কর্তৃপক্ষ পানির প্রেশার দিয়ে ডাম্পিংয়ে রাখা প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার পাথর নষ্ট করে দিয়েছেন। তারা এসময় প্রতিবাদ করলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তৎকালীন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে এই স্থলবন্দরে শুধু ব্যবসায়ীরা নন, সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন।
সাহাব উদ্দিন এই প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন- প্রকল্পটির অর্ধেক টাকাই লুটপাট করা হবে। স্থলবন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এই প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা দুর্নীতি করেছেন। এই দুর্নীতিকে হালাল করতে এখনো স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে প্রকল্পের মাটি ভরাটে। ভোলাগঞ্জের সবচেয়ে উঁচু এলাকায় বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে মাটি ভরাটের জন্য বড় অংকের টাকা বরাদ্ধ নিয়ে আসা হয়েছে। সব টাকাই লুটপাট করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের দাবি না মান হলে তারা আন্দোলনে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন সভাপতি সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন- অবিলম্বে এই স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হোক। অন্যথায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হবেন। আমরা আন্দোলন চাই না। শান্তি চাই। সরকারের তরফ থেকে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা তাদের ব্যবসা করার স্থান ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বাবুল, সদস্য নোমান আহমদ ও ফখরুল হক।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু সিলেটের ভোলাগঞ্জ বন্দরের। ২০১৯ সালে এটি দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসাবে গেজেটভুক্ত হয়। এর আগ পর্যন্ত সেটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ বন্দর দিয়ে শুধু চুনাপাথর আমদানি করা হচ্ছে বর্তমানে। রপ্তানি হচ্ছে না কোনো পণ্য।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
গত সরকারের সংশ্লিষ্টরা ও ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন- পুরোদমে চালু হলে এ স্থলবন্দর দিয়ে বেড়ে যাবে আমদানি-রপ্তানি। ফলে সিলেট অঞ্চল উপকৃত হওয়ার পাশপাশি দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে এ স্থলবন্দর।
তার বলেন- ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে এখনো চালু হয়নি ইমিগ্রেশন সেবা। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ রক্ষায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। সময় লাগে দুদিন। অথচ এই সেবা থাকলে যা সম্ভব হতো মাত্র ২০ মিনিটে। তাছাড়া স্থলবন্দরটিতে ইমিগ্রেশন সেবা না থায় নানা সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পর্যটকরা ঢুকতে পারছেন না ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরসহ পার্শ্ববর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
ওই সময় ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর আমদানিকারী ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বসেন ভারতের ভোলাগঞ্জ বাজারে। যা স্থল বন্দরের বাংলাদেশ অংশ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের দুই দেশের ব্যবসায়ীরা দুই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকরা ব্যবহার করছেন সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পোস্ট। যার ফলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের পাড়ি দিতে হয় ১৬০ কিলোমিটার পথ।
অন্যদিকে সম্ভাবনাময় কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরসহ অন্য পর্যটনকেন্দ্রে আসতে হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পর্যটকদের পাড়ি দিতে হয় ১৫০ কিলোমিটার পথ। একইভাবে বাংলাদেশের পর্যটকরা ভারতের চেরাপুঞ্জিতে যেতে হলে তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। সেখানেও প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চালু হলে ২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েই চেরাপুঞ্জিতে আসা বিদেশি পর্যটকরা একদিনেই ঘুরে যেতে পারবেন সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র। একইভাবে একদিনেই চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসতে পারবেন বাংলাদেশের পর্যটকরা।
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিলেটের ভোলাগঞ্জকে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালে। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে স্থলবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটি স্থলবন্দরে রূপ নিলে সিলেটের অর্থনীতির জন্য লাভজনক বলে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীরা বলে আসলেও এবার চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপ বলছে- এখানে স্থলবন্দর অযৌক্তিক এবং অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়। বরং শুল্ক স্টেশন থাকলেই ভালো।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মহানরগরের পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে চুনাপথর আমদানি করছেন। ২০১৯ সালে সেসময়ের আওয়ামী লীগ সরকার এ স্টেশনকে দেশের ২৪ নম্বর শুল্কবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে এবং গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভোলাগঞ্জ স্টেশনটির উল্টোদিকে স্থলবন্দর তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে শুধু এপারে স্থলবন্দর করা হলে এখানের ব্যবসায়ীদের উপর চাপ পড়বে। তামাবিল স্থলবন্দরের মতো ওপারে ডাউকি স্থলবন্দর রয়েছে এখানেও তেমন হলে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হতো না।
সংবাদ সম্মেলনে সাহাব উদ্দিন আরো বলেন- ভোলাগঞ্জে স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৫২ একর জায়গায় কাজ চলছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের সুবিধাজনক ডাম্পিং স্টেশন ও কার্যলয় থাকছে না। এ বিষয়ে তাদের আপত্তি। এক বছর আগে তাদের উচ্ছেদের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি।
এসব জায়গা ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের সভাপতির।
তিনি অভিযোগ করে বলেন- বন্দর কর্তৃপক্ষ পানির প্রেশার দিয়ে ডাম্পিংয়ে রাখা প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার পাথর নষ্ট করে দিয়েছেন। তারা এসময় প্রতিবাদ করলে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তৎকালীন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে এই স্থলবন্দরে শুধু ব্যবসায়ীরা নন, সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছেন।
সাহাব উদ্দিন এই প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন- প্রকল্পটির অর্ধেক টাকাই লুটপাট করা হবে। স্থলবন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান এই প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা দুর্নীতি করেছেন। এই দুর্নীতিকে হালাল করতে এখনো স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে প্রকল্পের মাটি ভরাটে। ভোলাগঞ্জের সবচেয়ে উঁচু এলাকায় বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে মাটি ভরাটের জন্য বড় অংকের টাকা বরাদ্ধ নিয়ে আসা হয়েছে। সব টাকাই লুটপাট করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
চুনাপাথর আমদানিকাক গ্রুপের দাবি না মান হলে তারা আন্দোলনে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন সভাপতি সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন- অবিলম্বে এই স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হোক। অন্যথায় সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হবেন। আমরা আন্দোলন চাই না। শান্তি চাই। সরকারের তরফ থেকে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা তাদের ব্যবসা করার স্থান ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানীকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বাবুল, সদস্য নোমান আহমদ ও ফখরুল হক।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু সিলেটের ভোলাগঞ্জ বন্দরের। ২০১৯ সালে এটি দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসাবে গেজেটভুক্ত হয়। এর আগ পর্যন্ত সেটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ বন্দর দিয়ে শুধু চুনাপাথর আমদানি করা হচ্ছে বর্তমানে। রপ্তানি হচ্ছে না কোনো পণ্য।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
গত সরকারের সংশ্লিষ্টরা ও ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন- পুরোদমে চালু হলে এ স্থলবন্দর দিয়ে বেড়ে যাবে আমদানি-রপ্তানি। ফলে সিলেট অঞ্চল উপকৃত হওয়ার পাশপাশি দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে এ স্থলবন্দর।
তার বলেন- ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে এখনো চালু হয়নি ইমিগ্রেশন সেবা। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ রক্ষায় দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। সময় লাগে দুদিন। অথচ এই সেবা থাকলে যা সম্ভব হতো মাত্র ২০ মিনিটে। তাছাড়া স্থলবন্দরটিতে ইমিগ্রেশন সেবা না থায় নানা সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পর্যটকরা ঢুকতে পারছেন না ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরসহ পার্শ্ববর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
ওই সময় ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে চুনাপাথর আমদানিকারী ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বসেন ভারতের ভোলাগঞ্জ বাজারে। যা স্থল বন্দরের বাংলাদেশ অংশ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের দুই দেশের ব্যবসায়ীরা দুই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকরা ব্যবহার করছেন সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পোস্ট। যার ফলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের পাড়ি দিতে হয় ১৬০ কিলোমিটার পথ।
অন্যদিকে সম্ভাবনাময় কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরসহ অন্য পর্যটনকেন্দ্রে আসতে হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পর্যটকদের পাড়ি দিতে হয় ১৫০ কিলোমিটার পথ। একইভাবে বাংলাদেশের পর্যটকরা ভারতের চেরাপুঞ্জিতে যেতে হলে তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। সেখানেও প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। ভোলাগঞ্জে ইমিগ্রেশন চালু হলে ২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েই চেরাপুঞ্জিতে আসা বিদেশি পর্যটকরা একদিনেই ঘুরে যেতে পারবেন সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র। একইভাবে একদিনেই চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসতে পারবেন বাংলাদেশের পর্যটকরা।